তৃতীয় বিশ্ব নয়, বাংলাদেশকে দেখতে চাই প্রথম বিশ্বের কাতারে
অব্যবহৃত ট্রাফিক সিগনাল লাইটের বিদ্যুৎ আসে কোথা থেকে?
আচ্ছা ট্রফিক পুলিশের কাজ কি?
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা বুঝি তা হচ্ছেঃ ট্রফিক পুলিশের কাজ হচ্ছে রাস্তায় চলাচলরত যানবাহনগুলোকে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে সহায়তা করা। সবাই যাতে ট্রাফিক সিগনাল মেনে চলে সেদিকে খেয়াল রাখা ও সিগনাল মানতে সাহায্য করা। তাছাড়া কেউ যদি সিগনাল অমান্য করে তাহলে তার বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়াও ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব।
কিন্তু আমরা ঢাকার রাস্তায় কি দেখি? অন্যকে ট্রাফিক সিগনাল মানানো যাদের দায়িত্ব তারা নিজেরাই সিগনালকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজের খেয়াল-খুশি মত রাস্তা আটকাচ্ছে ও ছাড়ছে। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর প্রধান প্রধান সিগনালগুলোতে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে একদিকে নির্দিষ্ট সময় পর পর সিগনালের বাতি জ্বলছে আর অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশ তার ইচ্ছেমত রাস্তা বন্ধ করছে ও ছাড়ছে।
সিগনাল মেনে চললে একটা রাস্তা যেখানে সর্বোচ্চ ৫ মিনিট বন্ধ থাকার কথা সেখানে ট্রাফিক পুলিশের মহান ইচ্ছায় ১০-১৫ মিনিট এমনকি কখনো ২০ মিনিটও বন্ধ থাকতে দেখা যায়। গত ক'দিন আগে কুড়িল বিশ্বরোডে ৩৫ মিনিট এক জায়গায় আটকে থাকার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। রাস্তা জ্যাম ছিল এমন না। ট্রাফিক পুলিশ এপাশ বন্ধ করে যেন বেমালুম ভুলে গেছে। বিপরীত দিক থেকে গাড়ি আসছে তো আসছেই।
কিন্তু এপাশ ছাড়ার কোন নাম নেই। ঢাকার রাস্তার অসহনীয় যানজটের অনেক কারনের মাঝে এটাও যে একটা কারন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
যানজট যেখানে কমানো যাচ্ছে না, সেখানে রাস্তার সমস্ত যানবাহন ধীর গতিতে হলেও চলমান রাখাটাই একমাত্র সমাধান। আর সেক্ষেত্রে সিগনালের বিকল্প নেই। কারন এতে করে নির্দিষ্ট ও সমান সময় পরপর প্রতিটি রাস্তা খুলবে এবং যানগুলো এগুবে।
কেউ সিগনালে আটকা পড়লেও সে আর কয়টি সিগনাল পরে সেখান থেকে ছুটবে তা হিসাব করতে পারবে।
কিন্তু বর্তমানে সেটা সম্ভব হচ্ছেনা কারন এর পুরোটাই এখন নির্ভর করছে ট্রাফিক পুলিশের মর্জির উপর। যদি উনি সদয় হয়ে রাস্তা ছাড়েন তবেই কেবল ছাড়া পাওয়া যাবে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছেঃ
যদি ট্রাফিক পুলিশই নিজের মনমত সব নিয়ণ্ত্রণ করবে তবে কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তায় ট্রাফিক সিগনাল বসানোর প্রয়োজন কি?
আর সরকার যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের দোহাই দিয়ে সাধারণ জনগনের জীবন অতীষ্ট করে তুলেছে সেখানে এই অব্যবহৃত ট্রাফিক সিগনালের লাইট দিন-রাত ২৪ ঘন্টা, সপ্তাহের ৭ দিন জ্বালাতে যে বিদ্যুৎ লাগছে তার পরিমানটা কত এবং তা কোথা থেকে আসছে, মাননীয় বিদ্যুৎ মণ্ত্রী বলবেন কি?
চিত্র সূত্রঃ গুগল ইমেজ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।