অতি সংক্ষেপঃআমি পেশায় একজন চিকিৎসক...নেশায় একজন ভাবুক...আর মনে প্রানে একজন মানুষ... ...মুক্তিযুদ্ধের সময় শুনেছিলাম অনেকেই জান বাঁচানোর ভয়ে নিজের অল্পবয়সী সন্তানদের শিখিয়ে রাখত,
"পাক আর্মি জিজ্ঞেস করলে বলবা তুমি পাকিস্তান সাপোর্ট কর। ভুলেও তাদের সামনে বেশি কথা বলবা না। "
ব্লগার রাজীব হায়দারের খুনের ঘটনায় মর্মাহত হলাম। কে বা কারা কাজটা করেছে তা না বোঝার কথা না। আমি নিজেও আজ প্রথমবারের মত উনার ব্লগ পড়লাম।
সত্যি কথা বলতে এতই জঘন্য লাগল যে ৫মিনিটের বেশি পড়তে পারলাম না। আমি নাস্তিক না,তাই আমার কাছে যে নাস্তিকতা ভালো লাগবেনা এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার মানে তো এই না যে তাকে এভাবে খুন হতে হবে!তার মানে তো এই না যে সবাই রাজাকারদের ফাঁসির কথা ভুলে নিজের নাস্তিকতা আর আস্তিকতা প্রমাণের জন্য উঠে পরে লাগবে। এটা কি সেই সময় আসল যে রাস্তাঘাটে দা-বটি নিয়ে শিবির আক্রমণ করলে আমরা বলব,
"ভাই আমি ১০০% ছাগু,বিশ্বাস করেন জীবনে বহুবার পশ্চিম দিক দাঁড়িয়ে মুরগী জবাই দিছি!"
আফসোস লাগে তারা যেটা করতে পারে আমরা সেটা পারিনা। আমি জানিনা তাদের ধর্মের কোন অধ্যায় তাদেরকে নির্বিচারে কাউকে জবাই করার অনুমতি দেয়।
আমিও মুসলিম,আমার ধর্মে তো এমন কোথাও বলা হয়নাই। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি কোন ধর্মেই এই অনুমতি দেয়নাই। দেয়নাই বলেই এতদিন ধরে ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে যারা শাহবাগে বিক্ষোভ করে এসেছে সেই শাহবাগের মত ব্যস্ত এলাকাতেও না তারা একটা গাড়ি ভাংচুর করেছে,না কাউকে একটা থাপ্পড় মেরেছে।
না পারলাম তাদের মত ধর্ম পালন করতে,না পারলাম দিনে দুপুরে রাস্তায় পথচারী খুন করে সেই খুনি হাতে মাইক নিয়ে বড় বড় স্লোগান দিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ খোঁজা কোন দলের নিষ্পাপ সেবক হতে।
সাধারণ জনগণ আজীবন সাধারণই থেকে যায়,তাদের কাজের মাঝেও তাই সাধারণত্ব লেগেই থাকে।
কিন্তু,যখন অনেক সাধারণ মানুষ এক হয়,তখন অনেকের 'অ' এসে সাধারনের সামনে যুক্ত হয়ে তাকে এক অসাধারণ রূপ দেয়। আমি সেই অসাধারনের মাঝে এক সাধারণ হতে চাই,তাই মরতে মরতে হলেও রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই। ...
পরিশেষে একটা লাইন বলতে চাই,
"মানুষ তাহার পবিত্র পায়ে-দলা মাটি দিয়া তৈরী করিল ইট,রচনা করিল মন্দির-মসজিদ। সেই মন্দির-মসজিদের দুটো ইট খসিয়া পড়িল বলিয়া তাহার জন্য দুইশত মানুষের মাথা খসিয়া পড়িবে?যে একথা বলে,আগে তাহারই বিচার হোক। " ---কাজী নজরুল ইসলাম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।