দৈনন্দিন জীবনে যা ঘটছে মাঝে দিনলিপি আকারে ঐগুলা নিয়েই লিখবো ভাবছি.। জানি আপনারা পড়বেন। কিন্তু পড়ার সময় মনে রাখবেন এটা আমার ডায়েরী। আমার চিন্তা ভাবনায় যা আসে নির্দ্বিধায় লিখবো। এটা নিয়ে কারো সাথে কোন ঝগড়া করার ইচ্ছা আমার নাই।
ঘাঁড় ধরে পড়াচ্ছিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ছি। অনেক কিছু জানতে পারছি... মানুষটা কোন মহাপুরুষ ছিলেন না যে কোন ভুল ত্রুটি করতে পারবেন না। উনি একজন সাধারন মানুষ ছিলেন যিনি ভুলত্রুটির মধ্যে দিয়েই শুধু বাবার একটা কথা মনে রেখে এগিয়ে গিয়েছিলেন,
Honesty of purpose & sincerity of purpose !
তাই এক ভুলত্রুটি সহ মানুষটিই এই জাতিকে মুক্ত করতে পেরেছিলেন। কিন্তু উনার সেসব ছোটখাটো ভুলত্রুটি, একগুঁয়েমিকে ছুতো বানিয়ে আজ দেশের বেকুব রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বে হুজুগে বাঙ্গালী উনাকে এত্তো নীচে নামাতে পারছে কিভাবে জানিনা।
জাতি হিসেবে বাঙ্গালীকে নিয়ে আমি লজ্জিত।
ভাবছি মাঝে মাঝে পঠিত কিছু অংশ বন্ধুদের জন্যে তুলে দেব। আজ প্রথম অংশ দিলাম।
--------------------------------------------------------
বন্ধুবান্ধবরা বলে, "তোমার জীবনী লেখ। " সহকর্মীরা বলে, "রাজনৈতিক জীবনের ঘটনাগুলি লিখে রাখ, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
" আমার সহধর্মীনী একদিন জেলগেটে বসে বলল,
"বসেই তো আছ। লেখ তোমার জীবন কাহিনী। "
বললাম, "লিখতে যে পারিনা, আর কী-ই বা এমন করেছি যে লিখা যায়? আমার জীবনের ঘটনাগুলি জেনে জনসাধারনের কি কোন কাজে লাগবে? কিছুই তো করতে পারলাম না। শুধু এইটুকু বলতে পারি, নীতি ও আদর্শের জন্যে সামান্য একটু ত্যাগ স্বীকার করার চেষ্টা করেছি। "
একদিন সন্ধ্যায় বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে জমাদার সাহেব চলে গেলেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ছোট্ট কোঠায় বসে বসে জানালা দিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে ভাবছি, সোহরাওয়ার্দী সাহেবের কথা। কেমন করে তার সাথে আমার পরিচয় হল, কেমন করে তার সান্নিধ্য আমি পেয়েছিলাম। কিভাবে তিনি আমাকে কাজ করতে শিখিয়েছিলেন এবং কেমন করে তার স্নেহ আমি পেয়েছিলাম।
হঠাৎ মনে হল লিখতে ভালো না পারলেও ঘটনা যতদূর মনে আছে লিখে রাখতে আপত্তি কী? সময় তো কিছু কাটবে। বই ও কাগজ পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে চোখ দুইটাও ব্যথা হয়ে যায়।
তাই খাতাটা নিয়ে লেখা শুরু করলাম। আমার অনেক কিছুই মনে আছে। স্মরণশক্তিও কিছুটা আছে। দিন তারিখ সামান্য এদিক ওদিক হতে পারে, তবে ঘটনাগুলি ঠিক হবে আশা করি। আমার স্ত্রী যার ডাকনাম রেণু- আমাকে কয়েকটা খাতাও কিনে জেলগেটে জমা দিয়ে গিয়েছিলো।
জেল কতৃপক্ষ যথারীতি পরীক্ষা করে খাতা কয়টা আমাকে দিয়েছেন। রেণু আরও একদিন জেলগেটে বসে আমাকে অনুরোধ করেছিলো। তাই আজ লিখতে শুরু করলাম।
--------------------♣-----------------
পুরো পান্ডুলিপিটা পড়লে বুঝা যায় উনার স্মৃতিশক্তি শুধু ভালো না, যথেষ্ট ভালো ছিলো। সবার ভালো লাগলে ভবিষ্যতে আরও দেবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।