প্রথমে ছাগুরা বললোঃ শাহবাগে তো মানুষই যায় নাই। পারলে আমাদের মত একটা ছাগু সমাবেশ করে দেখাক। এই বলে তারা শাহবাগের একটা ছবি দিল এবং ছাগু সমাবেশের একটা ছবি দিল। তারা বোঝাল তরুণদের আন্দোলন কোন আন্দোলনই না।
দ্বিতীয়ত ছাগুরা বললোঃ ইতিমধ্যে জনতা যোগ দিচ্ছে।
ক্রমেই ফুসে উঠছে আন্দোলন। বিশাল সমাবেশে পরিণত হচ্ছে প্রজন্ম চত্ত্বর। ছাগুরা তখন বললো, কিছু গাঞ্জাখোর আর পতিতারা সেখানে যাচ্ছে। নাচ গান আর গাজা খাওয়া হচ্ছে সেখানে। এটা আন্দোলন নয় গাজা খাওয়ার আসর।
তৃতীয়ত ছাগুরা বললোঃ শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর আওয়ামী দখলে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রণ করছে আন্দোলন। এ আন্দোলন জনতার নয়, আওয়ামী লীগের। তারা আন্দোলনের সাথে সহমত হত এবং যোগ দিত, যদি আওয়ামী লীগ সেখানে না থাকতো।
চতুর্থত ছাগুরা বললোঃ যখন আওয়ামী লীগ নেতাদের বোতল ছুড়ে বিদায় দেওয়া হল, তখন তারা বললো, এ আন্দোলনে ইসলাম অবমাননা হচ্ছে।
আন্দোলন ইসলামবিরোধী। দেশ থেকে ইসলাম মুছে ফেলতে এ আন্দোলন কাজ করছে।
পঞ্চমত ছাগুরা বললোঃ যখন আলেম ওলামারা আন্দোলনে যোগ দিল, তখন ছাগুরা এই আলেম ওলামাদের রাজারবাগী সহ আরো নানা উপাধিতে ভূষিত করলো। দেশের বৃহত্তম ঈদের জামায়াতের ইমাম শোলাকিয়ার ইমাম যখন শত শত আলেমদের নিয়ে যোগ দিল, তখন তাকে তারা আওয়ামী লীগ বানিয়ে দিল। ইসলামের একমাত্র ঠিকাদার জামাত-শিবির।
জামাত-শিবির বাদে আর কেউ মুসলমান নয়, এটা বলতে লাগলো তারা।
ষষ্ঠত ছাগুরা বললোঃ যখন হাজার মোমবাতি জ্বলে উঠলো, শিশুদের কোলে নিয়ে বাবা মায়েরা যখন এলো সমাবেশে, যেন শিশুরা তাদের কানে জয় বাংলা শ্লোগান শুনে অবচেতনে হয়ে ওঠে মুক্তিকামী বাঙালি, যখন গৃহিনী মায়েরা বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসলো তারা রাজপথে থাকা হাজার সন্তানের জন্য, যখন রিক্সাওয়ালারা ভাড়া নিচ্ছিল না কারণ তার আট মাসের গর্ভবতী ফুপু ধর্ষিত হয়েছিল কাদের মোল্লার দ্বারা, যখন একজন ভিখারী তারা সারা দিনের উপার্জন দিয়ে খাবার কিনে পাঠিয়েছিল এ প্রজন্মের কাছে, যখন আন্দোলনকারীরা পানির বোতল থেকে এক ঢোকের বেশী পানি খাচ্ছিল না, তার পাশের সঙ্গীটি যাতে পর্যাপ্ত পানি পায়, যখন খাবারের প্যাকেটটি একজন ক্ষুধা উপেক্ষা করে নিজে না খেয়ে পাশের জনকে দিয়ে দিচ্ছিল, আর সে দিচ্ছিল পাশের জনকে, এভাবে শেষ মাথায় পৌছে যাচ্ছিল খাবারের প্যাকেটটি, তখন তারা বুঝতে পারলো তাদের পরাজয় আসন্ন। তাই তারা আশ্রয় নিল আরেক ১৪ই ডিসেম্বরের। ১৬ই ডিসেম্বরের আগে আসে ১৪ই ডিসেম্বর। কাপুরুষরা সম্মুখে যুদ্ধ করে না, পিছন থেকে ছুরি মারে।
এই আন্ডকোষহীন কাপুরুষ জামাত-শিবির তাই একা পেয়ে হত্যা করলো আমাদের ভাই রাজিবকে। সম্মুখ যুদ্ধে সারা দেশের জনতার প্রতিরোধে তারা যখন পরাজিত, তখন তারা আশ্রয় নিল চোরাগুপ্তা হামলার। কুকুরের বাচ্চারা পারলে সামনে এসে মুখোমুখি লড়াই কর খানকির বাচ্চারা। বিচি গালিয়ে পেটের ভিতর ঢুকিয়ে দিব। তোদের জন্ম হয়েছে নিজামীর পায়খানা থেকে।
তোদের জন্মই নষ্ট। তোদের চরিত্রে গুয়ের গন্ধ। নষ্ট জন্ম, নষ্ট চরিত্রের তোরা এখন এসেছিল আস্তিক-নাস্তিক নিয়ে? শুয়োরের বাচ্চারা তোদের ঘেটুবাবারা একাত্তরে এভাবেই হিন্দু-মুসলমান নিয়ে ভাগ করেছিল। সেই একই পদ্ধতি খাটাচ্ছিস এবার।
আমাদের মনে হয় এবার সময় এসেছে পালটা প্রতিরোধ করার।
মুক্তিকামী জনতা এবার গড়ে তুলবে পালটা চোরাগুপ্তা বাহিনী। ভদ্রলোকের সাথে ভদ্রলোকের মত যুদ্ধ করতে হয় আর জারজের সাথে যুদ্ধ করতে হয় জারজের মত। এই জামাত-শিবির জারজদের সাথে জারজের মতই যুদ্ধ করতে হবে। একে একে খুজে বের করতে হবে এদের। হত্যা করে ফেলে রাখতে হবে এদের রাস্তায়।
যাতে এরা কোনদিন সাহস না পায় রাস্তায় বের হবার। এরা যেমন রগ কাটে, এদেরও তেমন এক এক করে রগ কেটে পঙ্গু করে দিতে হবে জীবনের জন্য। এরা যেন বাকী জীবন পঙ্গুত্ব নিয়ে কুকুর বেড়ালের মত বেচে থাকে এই বাংলাদেশে। সময় হয়েছে ওদের শেষ করে দেবার। আমদেরো আবার হিটলিষ্ট বানানোর সময় হয়েছে।
এ হিটলিষ্টে থাকবে প্রতিটি জামাত কর্মী, শিবির সদস্য। এদের একটাই শাস্তি, হয় পঙ্গুত্ব, নতুবা মৃত্যু। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।