আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
কয়েকদিন আগে পোষ্ট দিয়েছিলাম যে কিশোর, কিশোরী তথা ১৮ এর নীচে কাউকে মাল্টিমিডিয়া সম্পন্ন মোবাইল ফোন সেট না দিয়ে সাধারণ সেট দিতে। নতুবা পর্ণগ্রাফি নিশ্চিত ভাবে সিংহভাগ কিশোর কিশোরীর কাছে যাবে।
Click This Link
যাই হৌক এ প্রসঙ্গে দৈনিক আমাদের সময় আরো ভয়াবহ রিপোর্ট করেছে। নিম্নে তা তুলে ধরা হল।
***************************
কম্পিউটার, ল্যাপটপের পর এবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পর্নো ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
মোবাইল পর্নো ছবির মোহজালে আটকে বিপথগামী হয়ে পড়ছে তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে স্কুলগামী কিশোর-কিশোরী পর্যন্ত।
সাপ্তাহিক-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিশোর-কিশোরীরাই মূলত পর্নো ছবির প্রধান ক্রেতা। শুধু পর্নো ছবি দেখাই নয়, অজান্তে এসব কিশোর-কিশোরী পর্নো ছবির কুশিলবও হয়ে যাচ্ছে। এর পেছনেও রয়েছে সিন্ডিকেট। দেশ ও দেশের বাইরে বসে এই সিন্ডিকেট কামিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মিডিয়াতে নায়িকা বানানোর একধরনের পুরনো ফাঁদ। এই ফাঁদে পা দিয়ে অনেকে হয়ে যাচ্ছেন পর্নো ছবির নায়িকা। এর পরিণতিতে অনেকের ভাগ্যে জুটছে পতিতার জীবন।
বাড়ছে ধর্ষণসহ নানাধরনের সামাজিক অপরাধ। এই অপরাধ কেবল কঠোর কোনো আইন দ্বারা রোধ করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সমাজ বিশ্লেষকরা।
ধর্ষকরা ধর্ষণ করার সময় ভিডিও করছে। তারপরে ছেড়ে দিচ্ছে বাজারে। তারপর ক্রমেই বিষয়টি ব্যাপকতা পেতে থাকে। অনেক স্কুলপড়-য়া ছেলেমেয়েরাও শখের বসে নিজেদের নগ্ন দৃশ্য নিজেরা ধারণ করে। বন্ধুদের হাতে ঘুরে তা চলে আসে জনসমাজে।
গোপন ক্যামেরায় গোপন দৃশ্য ধারণ করার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এই অবস্থায় ভিন্নমাত্রা যোগ করে মোবাইল ক্যামেরা। মোবাইল ক্যামেরা এখন খুবই সহজলভ্য। তিন-চার হাজার টাকা দামের মোবাইল সেট দিয়েও এখন ছবি তোলা এবং ভিডিও করা যায়।
রাজধানীর ইস্টার্ন প্লাজায় মোবাইল পর্নো ছবির সর্ববৃহদ মার্কেট গড়ে উঠেছে।
এখানকার ৯৫টি মোবাইল ফোনের দোকানের মধ্যে অধিকাংশ দোকানেই পর্নো ছবি আপলোড করা হয়। এই দোকানগুলোতে মোবাইল সেট বিক্রির পাশাপাশি পর্নো ছবি আপলোডের ব্যবসাও হয়ে থাকে বলে জানা গেছে। দেশি-বিদেশি দুই ধরনের পর্নো ছবিই আপলোড করা হয় এখানে। বিদেশি পর্নো ছবি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা হয়। আর দেশি পর্নো ছবি বাইরে থেকে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে কিনে এনে খুচরা বিক্রি করেন দোকানিরা।
এখানে ১ জিবি থেকে ২ জিবি পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ রয়েছে।
১ জিবি মেমরি কার্ড পূর্ণ করতে নেয়া হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। দুই গিগা হলে ৪০০ টাকা। ইস্টার্ন প্লাজার প্রতিটি দোকানে গড়ে প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকার মতো বিক্রি হয় পর্নো ছবি। এছাড়া মোতালেব প্লাজা, কর্নফুলি গার্ডেন সিটি, ইস্টার্ন মল্লিকা, নাহার প্লাজা, ইস্টার্ন প্লাস টু গুলশান, উত্তরাসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় পর্নো ছবি মোবাইল ফোনে আপলোড করা হয়।
রিপোর্টার: শাহজাহান আকন্দ শুভ,
সম্পাদনা: হাসান জাকির।
দৈনিক আমাদের সময় ১৮ইঅক্টোবর ২০০৯ইং।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।