পর্ব-১
পর্ব-২
সব কিছুর নামকরণের একটা বিশেষ কারণ থাকে বা বিশেষ কোন পরিস্থিতির কারনেই কোন স্থান, কাল বা পাত্রের নামকরন করা হয়। বিভিন্ন জেলার নামকরণ কিভাবে হলো, তার প্রচলিত ধারণাগুলো নিচে দেয়ার চেষ্টা করলাম। এ পর্বে দেখুন-
রংপুরঃ রঙ্গপুর থেকে রংপুরের উৎপত্তি। ’রঙ্গ’ অর্থ আনন্দ আর ’পুর’ অর্থ স্থান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ এখানে চম্পাবতী নামে একজন সুন্দরী বাঈজী বাস করতেন।
তিনি নাঁচের কারণে নবাবদের প্রিয় ছিলেন। তার নাম থেকে চাঁপাই এবং নবাবরা নিয়মিত আসতেন বলে নবাবগঞ্জ। এই দুইয়ে মিলে নাম হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ।
জয়পুরহাটঃ রাজা জয়পালের নামানুসারে জয়পুরহাটের নামকরণ করা হয়েছে।
নওগাঃ এক সময় ৯টি ছক বা মহল্লা নিয়ে একটি জনপদ গঠিত হয়।
সন্নিহিত এই ৯টি ছক বা মহল্লা থেকে কালক্রমে নওগাঁ নামকরণ হয়েছে।
দিনাজপুরঃ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি দীনুজ রায়ের নামানুসারে দিনাজপুর হয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন রাজা দীনুজ মর্দন দেবের নাম থেকেই দিনাজপুর নাম হয়েছে।
গাইবান্দ্ধাঃ রাজা বিরাঠের গো-চারণ ভুমিতে গাভী বা গাই বেঁধে রাখা হতো, এই থেকে গাইবান্দ্ধা নাম হয়েছে।
কুড়িগ্রামঃ মহারাজা বিশ্বসিংহের দ্বারা কুড়িটি পরিবারকে উচ্চ শ্রেণীর হিন্দুরূপে স্বীকৃতি দিয়ে এই অঞ্চলে প্রেরণ করেন।
এই কুড়িটি পরিবারের আগমনের কাহিনী থেকে নামকরণ করা হয় কুড়িগ্রাম।
লালমনিরহাটঃ রেল শ্রমিকরা বনজঙ্গল কাটতে গিয়ে লালমনি পেয়েছিল বলে লালমনিরহাটের উৎপত্তি। অনেকের মতে, ফকির মজনু শাহ’র ঘনিষ্ঠ ধর্নাঢ্য এক মহিলা যার নামানুসারে লালমনিরহাট নামকরণ করা হয়।
নীলফামারীঃ ব্রিটীশ আমলে এখানে একটি নীল চাষের বড় ফার্ম ছিল। নীল ফার্ম বা নীল খামার থেকে পরে হয়ে যায় নীলফামারী।
পঞ্চগড়ঃ পাঁচটি গড়ের সমষ্টি পঞ্চগড়। গড়গুলো হলো- পীরগড়, রাজগড়, ভিত্তর গড়, সিদ্ধেশ্বরী গড় এবং গোসেন গড়। এই পাঁচটি গড়ের জন্যই নাম হয়েছে পঞ্চগড়।
ঠাকুরগাঁওঃ নারায়ণ চক্রবর্তী ও যতীশ চক্রবর্তী নামে দুই ভাই বাস করতেন এখানে। তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তির কারনে তাদের বাড়িকে বলা হতো ঠাকুরবাড়ি।
এই ঠাকুরবাড়ি থেকেই পরবর্তীকালে নাম হলো ঠাকুরগাঁও।
চুয়াডাঙ্গাঃ নবাব আলীবর্দী খাঁর হরিণ চুরির অপরাধে অভিযুক্ত চুয়া মল্লিককে স্বপরিবারে এখানে নির্বাসন দেয়া হয়। চুয়া মল্লিকের নামানুসারে পরে চুয়াডাঙ্গা হয়।
মাগুরাঃ মাঘ নামটি এতই পরিচিত ছিল যে, পর্যায়ক্রমে এই মাঘ থেকে মাগুরা হয়েছে। কেউবা বলেন, এখানে অনেক মাগুর মাছ পাওয়া যেত বলে নাম হয়েছে মাগুরা।
নড়াইলঃ নড়াইল জমিদার পরিবারের নামানুসারে নড়াইল হয়েছে।
ঝিনাইদহঃ এখানে নদীর ধারে ঝিনুক কুড়ানো শ্রমিকদের বসতি গড়ে ওঠে এবং ঝিনুক কুড়ানো অঞ্চল নামে পরিচিতি লাভ করে। ঝিনুককে আঞ্চলিক ভাষায় বলে ঝিনাই আর দহ শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে। এই দুয়ে মিলে ঝিনাইদহ নামের উদ্ভব।
....চলবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।