আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর.............



চাঁদপুরে রোমহর্ষক নির্যাতনের পর ১১ নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে রসু খাঁ নামে এক সিরিয়াল কিলার। একটি চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার পর, গতকাল রাতের জিজ্ঞাসাবাদে- শিউরে ওঠার মতো এ তথ্য জানতে পেরেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আজ সকালে রসু খাঁ-কে চাঁদপুরের ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রসু খাঁ জানায় : ১৫ বছর আগে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ১০১ নারীকে হত্যার প্রতিজ্ঞার করেছিল সে। এরপর নানা কৌশলে নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে, অভিসারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাদের হত্যা করাটা রসু খাঁর নেশায় পরিণত হয়।

প্রচণ্ড প্রতিহিংসা-পরায়ণ এ নেশাদার খুনিকে গত ৭ই অক্টোবর রাতে গাজিপুরের টঙ্গীর নিরাশপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। চাঁদপুরে সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের আবুল খাঁর ছেলে রসু খাঁ পেশায় কখনও ছিল চোর, কখনও ডাকাত, হকার, রিকশা-চালক কিংবা ভাড়াটে দখলদার। ১৬ বছর আগে সে টঙ্গি এলাকায় বসবাস শুরু করে। এ সময় প্রভাবশালী পরিবারের মেয়ে শারমীনের সঙ্গে পরিচয়। রসু তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে, শারমীনের পরিবার তাকে ধরে নিয়ে বেদম মারধর করে।

এরপর থেকেই নারী হত্যার নেশায় মেতে ওঠে রসু। শপথ নেয় : ১০১টি নারী-হত্যা করে সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজারে গিয়ে বাকি জীবন কাটাবে। ১১ বছর আগে গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জের লারুয়া গ্রামের মনু নামের এক মেয়েকে বিয়ে করলেও, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় রসু তাকে মেনে নেয়নি। পরে মনুর ছোট বোনকে বিয়ে করে সে টঙ্গিতে বসবাস শুরু করে। বর্তমানে সে ৩ ছেলে ও ১টি মেয়ের জনক।

২০০৭ সালের প্রথম দিকে শ্যালক মান্নানের স্ত্রী রানীকে হত্যার মধ্য দিয়ে রসু খাঁ তার হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। এরপর একে একে তার হাতে প্রাণ হারিয়েছে ফরিগঞ্জের ৬ জন, চাঁদপুরের ৪ এবং হাইমচরের ১ নারী। শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতভাগ্য এসব নারীর বয়স ১৭ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন সময়ে নানাজনের সহযোগিতা নেওয়ার কথাও স্বীকার করেছে রসু খাঁ। এর ভিত্তিতে টঙ্গি থেকে তার ভাগ্নে জহিরুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.