আজ এস এস সি পরীক্ষা শেষ হল। ঈশ্ এতদিন ছাদে না উঠে কতগুলো বিকেল যে রোমেল নষ্ট করেছে! আহা কি ভাল লাগছে আজ! কি সুন্দর তুলতুলে বিকেল! কি সুন্দর পাশের দোতলা বাড়ীর ঐ কামিনী গাছ! গাছের পেছনে নীচতলার জানালাটাকেও ভারী চমৎকার লাগছে আজ। নাকি জানালার ফ্রেমে দেখতে পাওয়া মেয়েটার জন্যেই সবকিছু এত মধুর মনে হচ্ছে? রোমেল ওদিন বাবা আর মা’কে বলাবলি করতে শুনছিল, মুন্নাদের নীচতলায় নাকি নতুন প্রতিবেশী এসেছে। ক’দিন ধরে রোমেল সুযোগ পেলেই ছাদে উঠে হাত পা ছোঁড়াছুঁড়ি করে এক আধটু ব্যায়াম করার চেষ্টা করে। ছাদে ওঠা বাবার নিষেধ, তাই ব্যায়ামের অজুহাতটা দেখাতে হয়।
বেসুরো গলায় গলার ব্যায়ামটা সাড়তে সাড়তে বেশ কয়েকবার মেয়েটার দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করেছে সে। কিন্তু পাষানী নির্বিকার। কামিনি গাছটার একটা ডাল ঐ জানালার অর্ধেকটা প্রায় ঢেকে ফেলাতে চোখের ব্যায়ামটায় একটু সমস্যা হয়। তাদের বাড়ী থেকে ওবাড়ীর দূরত্ব প্রায় ফুট দশেক। ওবাড়ীর সামনে ছোট্ট এক চিলতে ঊঠোন।
রোমেলদের তিন তলার ছাদ থেকে ভাললাগা জানালাটা তেরছা ভাবে চোখে পড়ে। তার ভাবতে ভাল লাগে, জানলাটা যেন একটি পালকির মত দেখতে। পালকির দুয়ারের ফাঁক গলে দেখা যায় কোন লাজুক বধুর ঘোমটা টানা আবছা অবয়ব, আহ্ কি যে ভাল লাগে। খালি বুকটা আরো খালি খালি মনে হয়। সামনের ঐ বেরসিক গাছটা বড় বিরক্তিকর।
ধুশ্শ্ ..কামিনি গাছ একটা গাছ হল, ছ্যা। মেয়েটা কখন যে এসে জানালার পাশে বসে বা কখন যে উঠে যায় সে আজ পর্যন্ত দেখতে পায়নি। থাক ওসব তার না ভাবলেও চলবে। আচ্ছা মেয়েটার নাম কি? উম্ম্ম্.. তার নাম দেয়া যাক ‘কামিনী’। না না, কামিনি একটা নাম হল? ফালতু! বরং নাম দেয়া যাক..‘বৈকালী’।
বিকাল বেলার কেলি, বৈকালী। আরে দারুন নাম দেয়া গেল তো! সে কবি হয়ে গেল বুঝি?
বৈকালী সম্ভবত খুবই ধার্মিক। মাথায় সবসময় একটা স্কার্ফ দেয়া থাকে। আচ্ছা মেয়েটা সবসময় জানালার দিকে পাশ ফিরে বসে কেন? সপ্তাহ খানেক পার হয়ে গেল। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে শুধু মেয়েটার স্কার্ফ পড়া মাথাটাই দেখতে পেয়েছে, তাও আবার একপাশ থেকে।
এ কয়দিনে সে কিছুটা অগ্রসর যে হয়নি তা নয়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে ভেতর থেকে কে একজন এসে রুমের বাতিটা জ্বালিয়ে দিয়ে যায়। আচ্ছা মেয়েটা মাঝে মাঝে তার দিকে তাকিয়ে হাত নেড়েছে কি? নাকি সবই তার উচাটন মনের ভাবনা? ওবাড়ীর দোতলায় মুন্না’রা থাকে। সামনের বড় রাস্তার মুখে যে স্কুলটা সেখানে সে ক্লাস ফোরে পড়ে। তাকে দিয়ে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করা যায়।
একদিন মুন্না স্কুল থেকে ফেরার সময় রোমেল তাকে ডেকে হাতে একটা ক্যাটবেরি চকোলেট ধরিয়ে দেয়। এই সামান্য ক্যাটবেরি’র সাহায্য নিয়ে যা সে জানতে পারে তা হল, নীচতলার প্রতিবেশীরা এসেছে প্রায় মাস দুয়েক আগে। কর্ত্রীটি গৃহিণী আর কর্তাটা সকালে যায় সন্ধ্যায় ফেরে। বৈকালী সম্পর্কে কিছু জানতে চাওয়ার আগেই মুন্নার বাবাকে বাসার দিকে এগিয়ে আসতে দেখা গেল। এটুকু তথ্যই আপাতত যথেষ্ট মনে করে মুন্নাকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয় সে।
ধুর্ মেয়েটার নামটাও জানা হল না। থাক, নামতো একটা দেয়া আছেই এত তাড়াহুড়োর কিছু নেই। ধাপে ধাপে এগুতে হবে। কিন্তু তার তর সইছিল না যেন আর। একদিন সে অনেক যত্নে বেশ সময় নিয়ে তার আবেগগুলো একটি নীল খামে বন্দী করে।
সেই সাথে অযত্ন অবহেলায় খাম ছাড়া সাদা কাগজে সাদামাটা ভাবে আরো একটি লেখা তৈরী করে, সেটা মুন্নার জন্যে। বিকেলে লেখা দু’টি নিয়ে সে পুলকিত মনে ছাদে উঠে আসে। মুন্না তখন চার হাতেপায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ধূলো উড়িয়ে উঠোনে খেলছিল। রোমেল শিশ্ দিয়ে মুন্নাকে ডাক দেয়। সে কাছে আসলে রোমেল প্রথমে খাম ছাড়া চিঠিটা দলা পাকিয়ে ছুঁড়ে দেয়।
সেখানে বড় বড় করে লেখা রয়েছে, ‘তোমাকে একটু পরে যে জিনিসটা দিব, সেটা ঐ কামিনি গাছটার পাশে যে জানালাটা রয়েছে সেই জানালায় যে মেয়েটা বসে থাকে তাকে দিয়ে আসবে। ’ এটা পড়ে মুন্না রোমেলের দিকে মুখ তুলে তাকায়। চোখেমুখে চিঠির অর্থ না বোঝার ভাষা। রোমেল আঙ্গুল দিয়ে মায়াবি জানালাটি দেখিয়ে খামটা এমন আলতো করে মুন্নাদের উঠোনে ফেলে যাতে খামের গায়ে কোন চোট না লেগে যায়। তারপর চাপা গলায় বলে, ‘ঐ জানালার পাশে যে বসে থাকে, তাকে দিয়ে আসবে’।
খামটা মাটি স্পর্শ করার আগে মুন্না লুফে নেয়ার চেষ্টা করে এবং সফল হয়। তবে তার ময়লা হাতের চাপে খামটা কিছুটা দুমড়ে মুচড়ে যায়। রোমেলের ভেতরটা ব্যাথায় কঁকিয়ে ওঠে। ছোঁড়াটা হয়তো রোমেলের দুর্বলতা টের পেয়েই বলে উঠল, ‘ক্যাটবেরি?’ রোমেল ইশারায় বোঝায়, ‘পরে। ’ মুন্না ‘আচ্ছা’ বলে চলে যায়।
রোমেল দাঁত কটমট করে বিড়বিড় করে, ‘হারামজাদা’।
পরদিন দুপুরে রোমেল কম্পিউটারের সামনে মন হারিয়ে অন্যমনষ্ক। হাতের মুঠোয় মুঠোফোন। এমন সময় মা ঢোকেন রুমে। ততক্ষনাৎ সে কম্পিউটারের দিকে ঝুঁকে মনযোগী হয়ে ওঠে।
মা জিজ্ঞেস করলেন, ‘কি করছিস রুমু?’ রোমেল কপাল কুঁচকে বলল, ‘দেখতেই তো পাচ্ছো, কম্পিউটারে কাজ করছি। ’ মা মুচকি হেসে বললেন, ‘তা মাউসের জায়গায় মোবাইল ধরে আছিস কেন বাবা?’ মুন্নার দৃষ্টি কম্পিউটার হতে তড়িৎ হাতে ধরা মোবাইলের দিকে ছুটে যায়। মা-মন-মাউস-মোবাইল, ওফ্ চারটি ‘ম’ যেন তার মাথার ভেতর দামামা বাজিয়ে চলেছে। ছেলের অসহায় অবস্থা দেখে মা প্রসঙ্গ পাল্টালেন, ‘আজ মুন্নার মা এসেছিল। ’ হায় খোদা! সবকিছু ফাঁস হয়ে গেল বুঝি? আরো দু’টি ‘ম’ এসে যুক্ত হল যে! মা বললেন, ‘রাতে ওদের বাসায় দাওয়াত আছে।
তোর বাবা যেতে পারবে না.. তুই গিয়ে খেয়ে আসিস। ’ যাক বাবা, যা ভেবেছিল তা নয়।
উল্লসিত মনে মুন্নাদের বাসায় পা রাখে রোমেল। বসার কোন জায়গা নেই কোথাও। ডাইনিং টেবিল - ড্রইং রুমের সোফা - শো পিস্ রাখার টুল সহ সব ক’টি চেয়ারে অতিথিদের অসহিঞ্চু শরীর অপেক্ষা করছে।
এককোনে মুন্নাকে দেখা গেল এক রাশভারী মহিলার পাশে বসে ললিপপ খাচ্ছে। মুন্না রোমেলকে দেখে মহিলাটির কানে কানে কি যেন বলল। এতগুলো মানুষের মাঝে থেকেও রোমেলের নিজেকে বড় একা একা মনে হল। সে সন্তর্পনে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যায়। ছাদে ওঠার সাথে সাথে বাজে একটি গন্ধ তার নাকে এসে লাগে।
চিলেকোঠার বাইরের দেয়ালের সাথে চল্লিশ ওয়াটের একটি বাল্ব জ্বলছে। এককোণে একটি ভাঙ্গা টয়লেট চোখে পড়ল তার। টয়লেটের নীচের অংশের দেয়াল চুয়ে কালচে রঙের কিঞ্চিত তরল গড়িয়ে এসে জমাট বেঁধে এক জায়গায় বিশ্রাম নিচ্ছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও টয়লেটে ঢুকে হালকা হয় সে। দম বন্ধ অবস্থায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ সেড়ে বের হয়ে আসে।
ধুপধাপ করে কে যেন ছাদের দিকে উঠে আসছে। ভয়ে তার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে। আচ্ছা সে অত ভয় পাচ্ছে কেন? উৎকন্ঠিত ভাবে একটু আড়াল খুঁজতে থাকে রোমেল। ঐ দুর্গন্ধে ঢুকতে গিয়েও ঢোকে না। টয়লেটের পাশেই অন্ধকারে দাঁড়িয়ে কিছুটা লুকোনোর চেষ্টা করে নিজেকে।
মাথার ওপর খোলা আকাশের দিকে অভিযোগের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সে। মনে মনে বলে, ‘হে আল্লা আমি একটা মাসুম বাচ্চা.. কেন আমার মনের উপর এত জুলুম চালানো হচ্ছে?’ ছাদের দরজার দিকে তাকিয়ে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল তার। বান্দরটা এসে উপস্থিত। সে আড়াল ছেড়ে বেরিয়ে আসে। মুন্না লাফাতে লাফাতে নাকি সুরে বলছে, ‘আমার ক্যাটবেরি কই..আমার ক্যাটবেরি কই?’ অনেক কষ্টে রাগ সামলায় রোমেল।
শালা এখনো কাজের কাজ কিছুই হল না, সব সময় শুধু খাই খাই। মুখে বলল, ‘নুকু নুকু নুকু নুকু. ..তারপর..মুন্না সোনা..চিঠিটা দিয়েছিলে?’ মুন্না ঠোঁটের দু’প্রান্ত যথাসম্ভব প্রসারিত করে বলল, ‘আমি যখন গিয়েছিলাম তখন উনি ঘুম.. তাই আন্টিকে দিয়ে এসেছি। আন্টি তোমাকে চিনে না তো তাই তুমি যখন আসলে তখন তোমাকে চিনিয়ে দিয়েছি। ’ ওপরে মেঘেদের বিন্দুমাত্র আনাগোনা নেই। তারাগুলো এতই স্পষ্ট যে, প্রেমিকার অপেক্ষায় অপেক্ষমান কোন প্রেমিকপুরুষ অনায়াসে গুনে ফেলতে পারে সবকটা।
আসমানকে এত শান্তশিষ্ট মনে হলেও কোথায় যেন প্রচন্ড শব্দে বাজ পড়ল বলে মনে হল রোমেলের। আচ্ছা, এই হারামজাদা ইচ্ছে করে তাকে ফাঁসায়নিতো? প্রেমের প্রথম মুকুলটা না ফুটতেই ঝরে যাবে? রোমেল দাঁড়ানো অবস্থা থেকে সোজা বসে পড়ে। তার চাপে পড়ে টয়লেট হতে আগত বিশ্রামরত তরল ধ্যান ভেঙ্গে ছলাৎ করে দু’পাশে গড়িয়ে যায়। মুন্না বারবার জানতে চায় ক্যাটবেরির কথা, রোমেল করুণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। সে কি বুঝল কে জানে অমনি আগের মত নাচতে নাচতে নীচে চলে গেল।
রোমেল এভাবে কতক্ষণ বসে ছিল জানে না। নীচ থেকে মুন্নার মায়ের ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠ শোনা যায়, ‘আমরা ছাড়া আর কেউ বাকী নেই.. ও ডাক্তার সাহেব তো এখনো এলেন না.. আচ্ছা.. .আমরা সবাই এক সাথে বসে..। ’ কিন্তু ওঠার কোন তাগিদ অনুভব করল না সে, বসে রইলতো বসেই রইল। আরো প্রায় মিনিট চল্লিশেক বাদে অনুষ্ঠান শেষে সবকিছু চুপচাপ হয়ে এলে ধীর পায়ে নামতে শুরু করে রোমেল। উদ্দেশ্য পলায়ন।
সিঁড়ির শেষ ধাপে পা দিতেই কোত্থেকে যেন সেই রাশভারী মহিলাটি এসে উপস্থিত হয়।
রাত সাড়ে এগারটা। ড্রইং রুমে মুখোমুখি দু’জন। ভদ্রমহিলার ঠান্ডা উপস্থিতি পরিবেশকে আরো বেশী নিস্তব্ধ করে তুলেছে। এইসময় বাড়ীর সদাহাস্য কর্তাটি এসে কর্ত্রীর পাশে বসতে বসতে নাক কুঁচকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘গন্ধ কিসের?’ কর্ত্রী টেবিলের উপর থেকে একটি নীল কাগজ রোমেলের দিকে এগিয়ে দিয়ে গম্ভীর গলায় বললেন, ‘এটা তোমার লেখা?’ রোমেল মাথা নীচু করে একমনে দু’পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে কার্পেট খুঁটে চলেছে।
উনি তাঁর স্বামীকে বললেন, ‘এটা পড়। ’ তিনি অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিঠিটি দ্বিতীয়বার পড়লেন, ‘লাল স্কার্ফে ঢাকা অদেখা ঐ মুখটা বড় দেখতে ইচ্ছে করে। 01819387662-এই নাম্বারে কি একটা ফোন করা যাবে? - রোমিও রোমেল। ’’ ভদ্রলোক জানতে চাইলেন রোমেল কিসে পড়ে। সে এবার মেট্রিক দিয়েছে বলাতে তিনি গম্ভীর হতে গিয়ে ফিচ্ করে হেসে ফেললেন।
রোমেল কিছুটা অপমানিত বোধ করল। কর্ত্রীটি তাঁর কর্তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটাইতো ডাক্তার সাহেবের ছেলে তাই না?’ তারপর চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন, ‘তোমাকে আমি অদেখা মুখটা একবার দেখাতে চাই। ’ কথাটা কি ভেবে বলা ঠিক বোঝা গেল না। ভদ্রলোক সন্দেহের দৃষ্টিতে রোমেলের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলেন, ‘গন্ধটা কোত্থেকে আসছে?’ কিন্তু হঠাৎ তিনি চমকে উঠলেন, তাঁর কর্ত্রী একি বলছেন! মেয়েটাকে একবার দেখতে পারার কথা শুনে রোমেল চট করে উঠে দাঁড়াল। সে এতক্ষণ যে জায়গায় বসেছিল সেখানে কর্তার চোখ গিয়ে পড়ল।
সাদা সোফার উপর নিতম্বাকৃতির একটি কালচে ভেজা দাগ। তিনি তাঁর স্যান্ডো গেন্জিটি বিশেষ কায়দায় পেটের ওপর তুলে নাক চাপা দিলেন। কর্ত্রীর এতকিছু খেয়াল নেই। উনি কঠিন মুখে উঠে দাঁড়ালেন। কর্তা বললেন, ‘করছ কি তুমি!’ স্বামীকে ধমকে উঠলেন ভদ্রমহিলা, ‘তুমি বুঝবে না।
’ উনি রোমেলকে ইশারা করলেন তাঁকে অনুসরন করতে। তিনজনে পাশের রুমে ঢুকলেন। ভেতরে মৃদু নীলচে আলো। মেয়েটার মুখ পাতলা লাল স্কার্ফে ঢাকা। স্বামীটি ফিস্ফিস্ করে বললেন, ‘থাক না.. মা আমার জেগে উঠবে!’ ভদ্রমহিলা শব্দ না করে সাদা আলোর সুইচটা টিপলেন, মেয়েটার শিয়রের কাছে এগিয়ে গিয়ে রোমেলকে কাছে ডাকলেন।
আর কর্তাটি মুখে বিরক্তির শব্দ করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। রোমেল দুরু দুরু বুকে চাদরে ঢাকা মেয়েটার মুখের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল, যেন রূপ দর্শনে একটি মুহুর্তও নষ্ট না হয়। কর্ত্রী লাল চাদরের আবরনটা আলগোছে সরালেন। হারানো সৌন্দর্যের দিকে তাকিয়ে আঁৎকে উঠল রোমেল। ভদ্রমহিলা চাদরটা আগের মত ঢেকে দিয়ে মর্মাহত রোমিওর ঘর্মাক্ত হাতটা ধরে ড্রইং রুমে নিয়ে এলেন।
তারপর স্মিত হাস্যে বললেন, ‘মাঝে মাঝে এসো বাবা.. তুমি আসলে আমার শাশুড়ি খুশী হবেন । ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।