একুশ শতকের লক্ষ্যে ধাবমান ডিজিটাল বেঙ্গল/ডিজিটাল বাংলাদেশ অবলোকন করল “ডিজিটাল বদলী” পর্বের ২য় হরতাল।
এ হরতাল কোন যেন তেন হরতাল নয়। যে সব আমরা হরদম দেখি। এ হরতাল যুবলীগের আমলে যুবলীগ কর্তৃক আহুত। স্বার্থানেষী বিরোধীদের হরতাল আমরা হর হামেশাই দেখে থাকি।
কিন্তু নিজেদের আমলে আওয়ামী যুবলীগের এ হরতাল কোন স্বার্থ হাসিলের জন্য নয় বরং নীতির জন্য আপোষহীনতার সম্ভাবনাকেই কি বেশী করে তুলে ধরে না? কেউ বুঝুক বা না বুঝুক অথবা ভুল বুঝুক- তাতে কি? একই জ্ঞাতি-গুষ্টীর দুই পরিবার আওয়ামী কিংবা জাতীয়তাবাদী যে কোন সদস্যই আত্মীয় স্বজনদের এই আচরণে কি অবাক না হয়ে পারেন?!
সিলেটের জকিগঞ্জে সফলভাবে পালিত আজকের হরতালের খবরটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখুন-
সিলেট, অক্টোবর ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হয়েছে।
বুধবার জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন অফিসে দুই যুবলীগ কর্মীর ফরম পূরণকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মীরা থানায় হামলা ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পুলিশ শ্রমিক লীগ ও যুবলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করে।
এর প্রতিবাদে উপজেলা যুবলীগ ও শ্রমিক লীগ জকিগঞ্জে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল আহ্বান করে।
জকিগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জকিগঞ্জ উপজেলা সদরে হরতাল আহবানকারীরা যুবলীগ ও শ্রমিকলীগ নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল করে।
পরে থানা ও আদালত চত্বরে অবস্থান নেয় তারা।
হরতালের সময় সদরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। রিকশা চললেও সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
গ্রেপ্তার করা জকিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুশ শহীদ, যুবলীগের সদস্য আলা উদ্দিন, আশুক আহমদ ও জালাল উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জকিগঞ্জ সিনিয়র বিচার বিভাগীয় হাকিম সাব্বির মাহমুদ চৌধুরীর আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক ফারুক আহমদের জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি চারজনের জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
সিলেটের পুলিশ সুপার এসএম রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জকিগঞ্জে আংশিক হরতাল পালিত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হরতাল শেষে সন্ধ্যা ৬টায় জকিগঞ্জ পৌর শহরের এম এ হক চত্বরে যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জকিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এম এ জি বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবু জাফর মো. রায়হান, শ্রমিক লীগের আহবায়ক কামরুজ্জামান, এম এ সালাম, আব্দুস সোবহান, আব্দুল গফুর, রফিকুল ইসলাম, ওবাযদুল হক মাসুম প্রমুখ।
বক্তারা আগামী রোববারের পর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমদকে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, "আমি জকিগঞ্জে অবস্থান করছি। শহরের কিছু কিছু জায়গায় পিকেটিং হয়েছে।
কিছু দোকানপাঠ বন্ধ ও কিছু খোলা ছিলো। জকিগঞ্জের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। "
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাব্বির জানান, বুধবারের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, জকিগঞ্জ যুবলীগের দুই সদস্য আশুক আহমদ ও আলাউদ্দিন ভারতে যাওয়ার জন্য বুধবার বিকেলে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন অফিসে যান।
সেখানে তাদের বিধি অনুযায়ী দুটি ফরম পূরণের জন্য দেওয়া হয়। বাংলা ও ইংরেজি দুই রকমের দুটি ফরমই তারা বাংলায় পূরণ করে ইমিগ্রেশন অফিসে জমা দিতে যান।
এ নিয়ে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। নেতাকর্মীদের আটকের খবর পেয়ে রাতে যুবলীগ কর্মীরা জকিগঞ্জ থানায় হামলা এবং ভাঙচুর চালায়।
মাতৃভাষা বাংলার জন্য জাতীয়তাবাদী সৈনিকদের কি চমৎকার সংগ্রাম, কি আত্মত্যাগ, কি কষ্টকর হাজতবাস?! জাতীয়তাবাদী বলতেই হল কেননা তারা নিজেদের বঙ্গবন্ধুর সাগরেদ পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল বাংলার শৈশবকে হরতালের নামে কলূষিত করার চেষ্টা করেছে।
জিয়ার সৈনিকদের হাতকে শক্তিশালী করেছে।
তাদের উদ্দীপনায় মুগ্ধ হয়ে বলতেই হয়, বন্ধু দেশে যাবে বলে কি বাংলা জাতীয় সত্তাকে খাটো করবে?! এটা হতে পারে?! নিজ বাংলা সত্তার চেয়ে প্রিয় বন্ধু দেশে ভ্রমন কি বড় হতে পারে?!
এই যে একগুচ্ছ জাতীয় প্রেরণায় উজ্জীবিত সংগ্রামী- এদেরকে কি কেউ একুশ শতকের ভাষা সৈনিক বিবেচনা করে স্যালুট দেবেন না?!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।