এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..
"জানিস,এই ঈদে আমারনা তিনটা ড্রেস হয়েছে ;"
শুনেই ক্যামন ফ্যাকাশে হয়ে গেল মুখ।
"ইশ ,আমারোতো তিনটা ,আম্মা বলেছে আরও
একটা বানিয়ে দেবে "--
কাষ্টম অফিসারের কন্যার সাথে এক্সপ্লোসিফ অফিসার কন্যার
ঈদ উদযাপনের এক মধুর প্রতিযোগীতা ।
কারো পায়ের আওয়াজ পেলেই আধ শেলাই জামাটা
লুকিয়ে ফেলতাম বালিশের তলে ;
দেখে ফেললেইতো ঈদ যাবে রসাতলে ।
তিনটাতো দূরের কথা ,ঐ একটা জামাই মা শেলাই করতেন
সারা মাস জুড়ে ।
তিন ভাই-বোনের জন্যে একি রঙের কাপড় ;
মধ্য রাত অব্দি মেশিনের ঘড় ঘড় আওয়াজ
কী এক অদ্ভূৎ মাদকতা ছড়িয়ে দিত ,
ঘুমের রাজ্যে চলে যেতাম আর প্রতিদিন
ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ বুলাতাম --
"ঈদ আসতে আর কতোদিন বাকী ;"
পুরো কলোনীতে চাচা-চাচীর হিসেব করিনি কোনদিন ,
কেবল কড়ে আঙ্গুলে গুনেছি সালামীর টাকা ।
তখনতো এক টাকার লাল নোট সোনার মতোই দামী ;
শন-পাপড়ি ,হাওয়াই -মিঠাই ,আইসক্রীম --
পয়সা যেন ফুরতোইনা ।
কিন্তু সন্ধ্যার সাথে সাথে ফুরিয়ে যেত কিশোর বয়সের সব আনন্দ ।
ভালো খাবার বোলতে মধ্যবিত্ত যা বোঝে -
বছরে ঐ দুটো ঈদ এনে দিত আমাদের দুয়ারে ।
একটাই পাউডার দুধের নাম কেবল জানতাম --রেড কাউ ;
তাও কেনার সামর্থ ছিলনা বাবার ।
যে বাড়ীতে কাস্টার্ড হতো হুমড়ি খেয়ে পোড়তাম সবাই ।
টেলিভিশন ছিলনা ,ছিলনা ইন্টারনেট --
তবু বুক জুড়ে ছিল আনন্দ ,বাবা-মার চোখে ছিল হাসি ।
আজ আমার ১৪ সি এফ টি ভরা হরেক পদের মিষ্টী ;
ছেলে তার ছুঁয়েও দ্যাখেনা কখনো ;
ক্যাপ্টেনস ছাড়া তার মুখে কিছুই রোচেনা ।
বাহারী রঙের পোষাক আলমারীতে উপচে পড়ে --
তবু ফ্যাশনটা বুঝি ঠিক ধরা দেয়না ।
ঈদের দিন চৌদ্দ ম্যেনু হাজির করে
টেবিল সাজাই ক্যাপ্সিকাম আর লেটুশ পাতায় ,
কেউ হয়তো এক কোনা চেখে বলে --
"ভালোইতো ;রেসিপিটা দিয়েন ভাবী । "
তারপর,সন্ধ্যা হতেই এ বাড়ী থেকে ও বাড়ী --
পরিশেষে মধ্যরাতে বিগ্গাপনের দৌরাত্যে
হন্যে হয়ে রিমোট টেপা ,
অযথাই মিথ্যে হাসির মসলা মেখে হাসতে চাওয়া ।
অবশেষে ক্লান্ত দেহে স্বপ্নলোকে মিলিয়ে যাওয়া ;
ফেলে আসা দিনগুলোতে হারিয়ে যাওয়া ঈদকে খোঁজা ।
(সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা । এসময় বাবার মুখটা শুধু ভেসে ওঠে )
তিন ভাই-বোনের জন্যে একি রঙের কাপড় ;
মধ্য রাত অব্দি মেশিনের ঘড় ঘড় আওয়াজ
কী এক অদ্ভূৎ মাদকতা ছড়িয়ে দিত ,
ঘুমের রাজ্যে চলে যেতাম আর প্রতিদিন
ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ বুলাতাম --
"ঈদ আসতে আর কতোদিন বাকী ;"
পুরো কলোনীতে চাচা-চাচীর হিসেব করিনি কোনদিন ,
কেবল কড়ে আঙ্গুলে গুনেছি সালামীর টাকা ।
তখনতো এক টাকার লাল নোট সোনার মতোই দামী ;
শন-পাপড়ি ,হাওয়াই -মিঠাই ,আইসক্রীম --
পয়সা যেন ফুরতোইনা ।
কিন্তু সন্ধ্যার সাথে সাথে ফুরিয়ে যেত কিশোর বয়সের সব আনন্দ ।
ভালো খাবার বোলতে মধ্যবিত্ত যা বোঝে -
বছরে ঐ দুটো ঈদ এনে দিত আমাদের দুয়ারে ।
একটাই পাউডার দুধের নাম কেবল জানতাম --রেড কাউ ;
তাও কেনার সামর্থ ছিলনা বাবার ।
যে বাড়ীতে কাস্টার্ড হতো হুমড়ি খেয়ে পোড়তাম সবাই ।
টেলিভিশন ছিলনা ,ছিলনা ইন্টারনেট --
তবু বুক জুড়ে ছিল আনন্দ ,বাবা-মার চোখে ছিল হাসি ।
আজ আমার ১৪ সি এফ টি ভরা হরেক পদের মিষ্টী ;
ছেলে তার ছুঁয়েও দ্যাখেনা কখনো ;
ক্যাপ্টেনস ছাড়া তার মুখে কিছুই রোচেনা ।
বাহারী রঙের পোষাক আলমারীতে উপচে পড়ে --
তবু ফ্যাশনটা বুঝি ঠিক ধরা দেয়না ।
ঈদের দিন চৌদ্দ ম্যেনু হাজির করে
টেবিল সাজাই ক্যাপ্সিকাম আর লেটুশ পাতায় ,
কেউ হয়তো এক কোনা চেখে বলে --
"ভালোইতো ;রেসিপিটা দিয়েন ভাবী । "
তারপর,সন্ধ্যা হতেই এ বাড়ী থেকে ও বাড়ী --
পরিশেষে মধ্যরাতে বিগ্গাপনের দৌরাত্যে
হন্যে হয়ে রিমোট টেপা ,
অযথাই মিথ্যে হাসির মসলা মেখে হাসতে চাওয়া ।
অবশেষে ক্লান্ত দেহে স্বপ্নলোকে মিলিয়ে যাওয়া ;
ফেলে আসা দিনগুলোতে হারিয়ে যাওয়া ঈদকে খোঁজা ।
(সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা ।
এসময় বাবার মুখটা শুধু ভেসে ওঠে )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।