আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভূমিকম্পের পেছনের গল্প

চতুর্মাত্রিক.কম (choturmatrik.com)

আজকাল পৃথিবী দুলছে। প্রবল, স্থিতধী পৃথিবীকে খুব বন্‌বন্‌ করে ঘোরার পরেও সুস্থির লাগে আমাদের, সেই অচল শরীর দুলে উঠছে। আমরা ছোটবেলায় নানাবিধ বিজ্ঞান পড়ে জেনেছি এই শরীরে কত বিলিওন বছরের তাপ-জরা-শোক নিক্তিতে মেপে পৃথিবী চুপচাপ নির্বিকার, আছে বেশ! ঘুরছে প্রবল, মুহূর্তে পেরিয়ে যাচ্ছে অসামান্য দূরত্ব আমাদের মাঝেও হয়তো একারণেই দূরত্ব বাড়ে, নাকি! হয়তো, হবে-ই বা কোনো অজ্ঞাত কারণে জুঁই ফুলের গন্ধের সাথে মিশে আমাদের দূরত্ব অমর হয়ে যায়। হায় অমরতা, কী আকুল করছো আমাকে! কী প্রগলভ করছে দেখো তোমাকে! তবু এমন সাদামাটা পথেও আমাদের পায়ের নিচে সব চলিত মন্থর গতি থেমেই আছে-- বহুদিন। কতদিন! সে কারণে আমাদের মনেই পড়ে না যাপনের ক্লেশ।

ঘূর্ণনের কথা বলতে গিয়ে পুরাকালীন বৈজ্ঞানিক কী আশ্চর্য তত্ত্ব দিয়েছিলেন–– 'আমরা ঘুরে ঘুরে কেন্দ্রেই ফিরে আসি, যাবতীয় শক্তিক্ষয়ের শেষে'। অন্যেরা বানচাল করে দিলো সেটা, কি জানি কী যুক্তিতে। আমি যুক্তিবোধে হোঁচট খাই বিধায় মাঝে মাঝে বেভুলে বিশ্বাস করিঃ তিনি বোধহয় ঠিকই বলেছিলেন। আশায় আমাদের চোখের তারায় ফুলফুল সৌরভ জমা হয়, আমরা তবে কাছাকাছি আসছি! তখনই পৃথিবী দুলে ওঠে, পায়ের তলে। ঘূর্ণনের ফাঁকে সে ক্লাশের পড়া ভুলে যায়।

নিয়ম মুছে যায় পুরাণের চেয়েও পুরাতন স্মৃতি থেকে। পৃথিবীর মনেও থাকে না এমন বেখাপ্পা নৃত্যে পুড়ে ছাই হতে পারে কয়েকটি মহাদেশ। আমাদের, অর্থাৎ তোমার আর আমার দুটো নেহায়েত অযাচক প্রাণের হিসেব করছি না। কেবল জরুরি হিসেবে, নতুন শিশুগুলোর অমল হাসিও ফুরিয়ে যাবে এসব বেহিসেবি কাঁপনে, কোলের ভেতরে ভয়ে শুকিয়ে যেতে পারে ঘাসের তৈরি সবুজ শিশুটিও! তখনই আমি বুঝে উঠি এই দোলনে পৃথিবীর কী বিষম স্বার্থ। কম্পাঙ্কের হিসেবে আমাদের কোনই লাভ হবে না, তবু জানা যাবে মোটিভ।

পরিষ্কার হবে তার দুরভিসন্ধি। চাই কি, আমি অথবা তুমি আমাদের অন্তর্গত ক্রূর রাজনীতির চেয়েও গভীর কোনো ষড়যন্ত্রও ফাঁস করে ফেলতেই পারি!... *** - অনীক আন্দালিব ১৬.৯.৯

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।