বন্ধুদের নিয়ে বাঁচি
লেখাটি কোমল মনের পাঠক পাঠিকাদের ঈদের আনন্দ নষ্ট করতে পারে এই ভেবে কুণ্ঠিত আছি। তবে, চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বা এর আগে এধরনের ঘটনার কথা স্মরণ করে ‘ এসব স্বাভাবিক’ এই ভাবনাওতো জাগতে পারে! প্রথমেই বলে রাখি, কোন সাহায্য চাওয়ার জন্য এই পোষ্ট নয়। ঘটনাটা জেনে একটা কথাই মনে হলো, বাস্তবতা কি এতোই নিষ্ঠুর - নির্মম !
শিশুটির বয়স মাত্র মাস চারেক। এই বয়সেই তার বর্তমান ঠিকানা একটি আশ্রয় কেন্দ্র। তার নাম জানে না কেউ।
তবে নাম একটা আছে। মোহনা। সেটা দিয়েছে পুলিশ। সেফ হোমে হস্তান্তরের সময়। বেনামী শিশু হলেও তাকে চিনতে একটা নাম দরকার হয় যে!
ঘটনাটা এরকমঃ গত ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়নগঞ্জ শহীদ মিনার এলাকায় একটি অটোরিক্সায় শিশুটিকে রেখে চলে যান এক মহিলা।
অটোরিক্সা চালক উপায়ান্তর না দেখে মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্টএর স্মরণাপন্ন হন। ট্রাফিক সার্জেন্ট বাচ্চাটাকে নারায়নগঞ্জ মডেল থানায় পৌঁছে দেন। পুলিশ সেদিন মাইকিং করে বাচ্চাটাকে তার বাবা মাকে ফেরত নিতে অনুরোধ করলেও কোন সাড়া মেলেনি। অগত্যা তারা পরের দিন ১৪ই সেপ্টেম্বর মহিলা আইনজীবি সমিতির জিম্মায় দিয়ে দেয় শিশুটিকে। হস্তান্তর পত্রে সব কিছু অজ্ঞাত।
শুধু নাম দেয়া হয়েছে মোহনা। সে এখনও আগারগাঁ মহিলা আইনজীবি সমিতির সেফ হোম ‘প্রশান্তিতে’ ।
ইতিমধ্যে এক মহিলা এই শিশুটির মাতৃত্ব দাবী করতে এসেছিল অসংলগ্ন কথা বলেছেন তিনি। কখনো বলেছেন স্বামীর সাথে মনোমালিন্যের জের ধরে শিশুটিকে রেখেচলে গেছেন আবার কখনো বলেছেন, কেউ তার শিশুকে অপহরন করা হয়েছে। কতৃপক্ষ তার মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্টের প্রস্তাব দিয়েছে।
সেফ হোমের অন্য শিশুগুলোর মধ্যে মোহনা বিশেষ হতভাগী! আবার ভাবি তা-ই বা বলি কি ভাবে । কারোই কম নয়। সবার ঘটনাই অসহ্য ! কারো কাহিনিই কাঙ্খিত নয়!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।