থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
আমাদের দেশের শাসন ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়ে ক্রাইসিস দেখা দেয়। বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে ঝামেলাই বেশি। অন্য সময়ে স্তব-স্তুতি-চাটুকারিতা করে প্রায় পৌনে পাঁচ বছর কেটে যায় কি ভাবে যেন! বিরোধী দলের উপরে থাকে খড়্গ। ফলে মোটামুটি নিশ্চিন্ত এবং নির্বিঘ্ন জীবন চলে।
আমাদের দেশে নাই দুই মেয়াদের সীমাবদ্ধতা -- এটা ব্রিটিশ গণতন্ত্র থেকে শেখা। সমস্ত ক্ষমতা একজনের হাতে -- এটা আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মত অনেকটা। সংসদের ভূমিকা অনেকটাই সীমিত -- চীনা সংসদ যেমন! মন্ত্রীরা শুধু একজনের কাছেই জবাবদিহী করবে -- অনেকটা ইসলাম ধর্মের মত ব্যবস্থা!
জগাখিচুড়ি সিস্টেম বেশি দিন চলতে পারে না। collapse করবেই। আমাদেরটাও করবে।
কিংবা করছে। তাই তো বিদেশিরা বার বার আসছেন, উপদেশ (পড়ুন নির্দেশ) দিচ্ছেন। সেই সব নসিহত শোনার জন্য আমরা বাঙালীরা, একে অপরকে বর্জন করে, অবরোধ দিয়েছি নিজেরাই নিজেদেরকে। তারপরে হায়-হুতাশ করছি, দেশে কি হবে বলে।
কিছু হচ্ছেও না, হবেও না।
মানলাম এই অবস্থায় বিদেশীরা মধ্যস্থতা করতেই পারেন। কিন্তু এই ভাবেই কি চলবে? নির্বাচন-কালীন সরকার যে অন্য সময়ের সরকারের থেকে আলাদা, সেইটা কি পঞ্চদশ সংশোধনী করার সময়ে সেই সময়ের মহাজোট সরকারের খেয়াল ছিল না? সেই মোতাবেক কেন রুলস অফ বিজনেস বদলানো হয় নাই?
১৯৯৬ সালে দায় যেমনটা ছিল খালেদা সরকারের, ২০১৪ সালে দায়টা ঠিক একই ভাবে পড়বে হাসিনা সরকারের উপরে। মাঝ থেকে জনগণ এই দুই দলের উপরে বীতশ্রদ্ধ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।