আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তত্ত্ববাধায়ক সরকারের দাপুটেদের ঈদ বিদেশে, মামুগোর লাইগ্যা সমবেদনা।

সাপ-লুডু খেলছি বিধাতার সঙ্গে

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম মারা গেছেন সম্প্রতি। তার একটা গান খুব মনে পড়লো.........আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম..... আমার মতো আরও অনেকের ( যারা এ দেশের দুই নেত্রীরে জেলে ঢুকাইয়া ভাবছিলেন দেশটা তাগো) হেই মামুদেরও নিশ্চয় এই গানটা মনে পড়তাছে। আহারে, মামুরা এখন দেশ ছাড়া। শান্তিতে ঈদটাও করতে পারতাছে না। দুই নেত্রীর প্রতি সমবেদনা জানানোর দরকার নেই।

তাদের কপালে আরও দুভোর্গ অপেক্ষা করতাছে ( যা শুরু হইছে তাতে বুঝা যাইতাছে, কুত্তার লেজ বারো বছর চুঙ্গায় ঢুকায় রাখলেও যেই ব্যাকা, হেই ব্যাকাই থাকবো, হেরা ভালো হইতো না) মাগার কেয়ারটেকার মামুদের জন্য অনেক অনেক সমবেদনা রইলো। তত্ত্ববাধায়ক সরকারের দাপুটেদের ঈদ বিদেশে ওয়ান ইলেভেনের বেশির ভাগ কুশীলব এবার ঈদ করবেন বিদেশে। গতবছর এসময়ে তারা বেশ দাপটের সঙ্গেই রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্ত ছিলেন, আর বেশির ভাগ রাজনীতিক ছিলেন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দি। সরকারের নির্বাহি আদেশে মুক্তি পেয়ে শেখ হাসিনা সে সময় চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যান এবং সেখানেই ঈদুল ফিতর পালন করেন। আর খালেদা জিয়া ছিলেন বিশেষ কারাগারে বন্দি।

সেসময়ে শীর্ষ দুই নেত্রীকে ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদ দখলের চেষ্টায় বিভোর ছিলেন জেনারেল মইন উ আহমেদ। এবার শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। খালেদা জিয়াও সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী। শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সকল রাজনীতিক ইতোমধ্যে কারামুক্ত হয়েছেন। কিন্তু স্বস্তিতে নেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের সেই দাপুটেরা।

ওয়ান ইলেভেনের মূল কা ারী তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ বর্তমানে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ছোটভাই সালাহউদ্দিন আহমেদের বাসায়। দেশে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে। শিগগির তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদও স্বস্ত্রীক অবস্থান করছেন ভার্জিনিয়ায় একমাত্র ছেলের কাছে।

তারও শিগগির দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই। তাদের কারোরই দেশে ঈদ করার সম্ভাবনা নেই। ওয়ান ইলেভেনের সময় নবম ডিভিশনের জিওসি লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী যিনি ছিলেন সেসময়ে সেনাপ্রধানের ডানহস্ত- তিনি পরবর্তীসময়ে গুরুতর অপরাধ দমন সম্পর্কিত জাতীয় সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। রাজনীতিকদের হয়রানি, নির্যাতন ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে তার বিরুদ্ধে মুখরোচক অনেক কথা বিদ্যমান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ সময়ে তাকে হাইকমিশনার করে পাঠিয়ে দেয়া হয় অস্ট্রেলিয়ায়।

এখনো তিনি বহাল আছেন। তারও দেশে ঈদ করার কোনো সম্ভাবনা নেই। যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন ওয়ান ইলেভেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী তৎকালীন ডিজিএফআই’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চৌধুরী ফজলুল বারী। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষদিকে তাকে ওয়াশিংটনে সামরিক অ্যাটাচে করে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বর্তমান সরকার তাকে দেশে তলব করলে তিনি দেশে না ফিরে পলাতক রয়েছেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমদ চৌধুরী বর্তমানে সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আর অন্যদিকে দেশে থেকেও স্বস্তিতে নেই দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান লে. জেনারেল (অব.) হাসান মশহূদ চৌধূরী, উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) এমএ মতিন, আনোয়ারুল ইকবালসহ অনেকেই। তাদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত চলছে। সূত্র: সমকাল, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৯.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।