ছাগু তোষণ নীতি নির্ভর মডারেশন প্রক্রিয়াকে ধিক্কার জানাই. ব্লগের এক কোনায় জেনোসাইড বাংলাদেশের লোগো ঝুলিয়ে ছাগু তোষণ নীতির নামে ভন্ডামি বন্ধ করুন... নইলে এই মডারেশন নীতি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকার নাটক বন্ধ করুন.. ব্লগ পর্যবেক্ষনে, আপাতত শুধু কমেন্টাই..
( বেবাকতে আড্ডা পোষ্ট দিছে, আমি বাদ পড়ি কেন, আড্ডার গল্প আর আড্ডার চারপাশের দু একটা ফটু দিয়া পোষ্টায় ফেললাম আরকি )
ঘটনার শুরু বেশ কদিন আগে, অফিসের একটা ইফতার পার্টি আছিলো, ইফতারের মাঝ থেকেই একটা নাম্বার থেকে কল আসছিলো, রিসিভ করি নাই। বাসায় ঢোকার সময় আবার সেই নাম্বার, রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে কেউ বললো আমি দেবদূত। প্রথমে ক্ষেইপা গেলাম, ফাইজলামি করে নাকি কেউ, আননোন নাম্বার থেকে ফুন দিয়া কয় দেবদূত হটাৎ ভার্চুয়াল সম্পর্কগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো আর শান্তির দেবদূতের সেই সব পোষ্ট.... চিৎকার দিয়ে উঠলাম আরে আপনি, শান্তির দেবদূত !!!! প্রস্তাবটা দেবদূতেরই ছিলো, ব্লগের অনেকের সাথেই দেখা করার ইচ্ছা আমারও অনেকদিনের। মুহিব ভাই কিংবা যীশু ভাই এর পোষ্ট ঘুরছিলো সবারই এই রোজায় এক হবার ইচ্ছা প্রবল। আইডিয়াটা পোষ্টে দেবার সাথেই রাতমজুর ভাই লুফে নিলেন।
ক্যামেরাম্যান ভাই এর কথাও না বললেই নয়। আর সবার শেষে মনসুর ভাই এর একের পর এক রিপোষ্ট সব মিলিয়ে ব্যাটে বলে মিলে হয়ে গেলো গতকাল ছবির হাটে ইফতারীয় আড্ডা....
সকাল থেকেই প্রকৃতির মুখ গোমড়া ভাব যখন পরিস্কার আমার তখন জ্যামে পড়ে শোচনীয় অবস্থা। দেবদূত ভাই ফোনে জানায় রওনা হয়ে গেছে, রাতমজুর রওনা হয়ে গেছে আর আমি তখনও জ্যামে বসে ঘামছি, সময় মতো যেতে পারবো তো। তবে কপাল কাল থেকেই রাজপথে ট্রাফিকের ভূমিকায় আর্মীর আবির্ভাব আর ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রাস্তা একদম ফকফকা.... ছবির হাটে নেমেই চশমা পরা ভদ্রগোছের এক ভদ্রলোককে আরও অনেকের মাঝে দেখেই কেনো যেনো মনে হলো উনিই দেবদূত হলোও তাই, উনিই সেলিব্রেটী শান্তির দেবদূত। পাশেই ক্যামেরাম্যান উইদআউট ক্যামেরা, আরও আছেন মুহীব, ছন্নছাড়ার পেন্সিল।
হামা মানে হাসান মাহবুব রে দেইখা কেউ বিশ্বাস করে না এইটা হামা লেখা আর ফিগারে মারাত্মক অমিল পারভেজ ভাই এলেন আর গেলে যতক্ষন থাকলেন ভালো লাগা রেখে গেলেন। দেবদূত রে নিয়া তখন আড্ডা জমে উঠেছে, ভাবীর হাত কি এমনি ভাঙ্গছে না বেচারারে মারতে গিয়া ভাঙ্গছে সেই নিয়া বিশাল আলুচনা। এর মাঝে যোগ দিলেন মাতব্বর, একরামুল হক শামীম, বৃত্তবন্দী, মেযবাহ যায়াদ, স্পর্শহীন কিছুদিন, দূর্ভাষী, সবার প্রিয়, বানিয়াবন্ধু আর নীল ভমরা। রাতমজুর ভাই এর টাকা কালেকশনের আগে আগে ভেবে ভেবে বলি এসে হাজির আর তার একটু আগে যোগ দিলেন বাংলাদেশ সাইকেল ভ্রমনকারী, চাঁচামিয়া আর কালপুরুষ দা। শামসু নানা মানে শামসীর ভাই ইফতারের একদম আগে আগে অন্ধ দাঁড়কাকরে নিয়া হাজির।
আইসাই দেবদূতের লগে কুলাকুলি কইরা নিলো ( দেবদূতের লগে কুলাকুলি কইরাও যদি বিয়ার ভাগ্য খুলে ) আর হাজার হাজার রিপোষ্ট দেওয়া মনসুর ভাই আইসাই সবার তোপের মুখে, হোষ্ট যদি ঘোষ্ট হইয়া যায় তো এরাম হইতেই পারে
ইফাতার মাখানো থেকে শুরু করে খাওয়া পর্যন্ত শামীম ভাইএর প্রতিভা ছিলো মারাত্মক পর্যায়ে। কলা নিয়া মনসুর ভাইয়ের ফটু তো বৃত্ত ফাঁস কইরা দিছে আগেই আফটার ইফতার চা পর্ব, এইখানে ছোট ছোট গ্রুপে নানা আলোচনা। জানা গেলো দেবদূত ভাই শুধু বউ না শালী এবং শ্বাশুড়ীর অত্যাচারে জর্জরিত এই পর্বে আবার শামসু নানার ব্যাপক উৎসাহ আর আগ্রহ দেখা গেলো। কালপূরুষদা ভেবে ভেবে বলির সাথেই বেশী গল্প করলেন আর আমাদের সবাইকে আফটার ঈদ দাওয়াত দিলেন উনার বাসার আড্ডায়। চা খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে আশেপাশের পিচ্চিদের ভীড় লেগে গেলো ছবি তোলার আর আমার আর বৃত্তের ক্যামেরায় ওদের অনেক ছবি উঠে গেলো..... পিচ্চিদের কয়েকটা ছবি শেয়ার করি...
পিচ্চিগুলারে দেইখা এতো ভালো লাগছিলো, এতো এতো কষ্টের মাঝেও ওদের মুখে কি প্রানোচ্ছল হাসি খেলা করে, সামান্য একটা কাগজ, ফেলে দেওয়া ব্যানারেও ওরা কতো আনন্দ খুঁজে নেয়....
অত:পর আলবিদা, যে যার মতো গ্রুপ বেঁধে চলে গেলো, পড়ে রইলো কিছু পানির বোতল, কাগজের টুকরো, জ্যুসের প্যাকেট, কলার খোঁসা আর রামুদার পকেটে তিনশো দশ টাকা পরের আড্ডায় এই টাকা আদায় করে নিতে ভুইলেন না কেউ....
ভার্চুয়াল সম্পর্কের আরেক রূপ দেখে অসম্ভব এক ভালো লাগা নিয়ে রিকশা করে বাসার দিকে রওনা হলাম.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।