হারব বলে আসিনি,কাঁদব বলে হাসিনি
একাত্তর টিভিতে একটা মজার জিনিস দেখসিলাম,কত গুলা মহিলা ক্যামেরার পাশ দিয়ে যাইতেসিলো । তো সাংবাদিক দেখেই বলা শুরু করসে,প্রচন্ড শীত কে উপেক্ষা করে তারা এসেছেন ভোট দিতে । কোন বাঁধাই তাদের কাছে বাঁধা নয়,এই জাতীয় হ্যানত্যান । তো মহিলা গুলারে জিজ্ঞেস করা হইসিলো ভোট দিতে যান?তারা বলে নাহ,আমরা গার্মেন্টস এ যাই । সাংবাদিকের থোতা মুখ ভোতা হয়ে গেল ।
একুশে টিভিতে আরেকটা মজার জিনিস দেখলাম । আন্ডা বাইচ্চা এক পোলা ভোট দিয়া বাইর হইল । তারে দেখেই বুঝা যায় ভোটা ধিকার প্রাপ্ত নাহ । সাংবাদিক তারে ডাকাডাকি করায় সে দৌড় দেয় । সাংবাদিক তার পিছন পিছন দৌড় দিয়া তারে পাকড়াও করে।
পরে কেম্নে কেম্নে জানি বেটা আবার ভাইগা যায় ।
(নিচের অংশ টুকু কাল্পনিক )
মনে মনে আফসোস করতে করতে সাংবাদিক পুলিশের কাছে জিজ্ঞেস করল ভাই ঘটনা কি?
পুলিশ বলে কি ঘটনা দেখতেই তো পাচ্ছেন ।
এর কি ভোট দেয়ার বয়স হইসে?
না হয় নাই,বিয়া করায় দিলে দুই বাইচ্চার বাপ হইয়া যাইব আর এ ভোটাধিকার পায় নাই ।
সাংবাদিক এই কথায় কিছুক্ষণ চুপ হইয়া গেল । তারপর পুলিশ টারে জিজ্ঞেস করল ভাই আপ্নে কয় বাইচ্চার বাপ?
পুলিশ রাইগা মাইগা বলল সেইটা আপনার দেখার বিষয় নাহ ।
সাংবাদিক তার মন মরা ভাব দেইখা কনফারম হয়ে গেল তার দুই বাচ্চার বাপ ওই ছেলেটা ।
তাই সে কিছু না বলে চলে আসল ।
(আসলে যেইটা হইসে)
পুলিশের কাছে জিজ্ঞেস করা হইল , তারপর তারে প্রশ্ন করা হইসিলো এইটা কি আপনার দায়িত্বের ভিতরে পরে না?
সে বলসিলো আমার কি দায়িত্ব সেইটা আমি জানি। আপনার বলে দিতে হবে না ।
এই হইল কালকে দেখা কমেডির কিছু অবস্থা।
তারপর আসে তোফায়েল চোরার কথা। সে বলে বিরোধী দলের সব ষড়যন্ত্র নস্যাত করে নির্বাচন সফল। লোল্ ব্রো,ইন ইউর ড্রিমস । গ্রো আপ নাউ ।
নাইলে পাবলিকের পিটা খাইয়া সিধা হইয়া যাইবা।
আওয়ামী লিগ বি এন পি জাতীয় পার্টি বুঝি না । জামাত তো হিসাবেই ধরি নাহ ।
আমরা চাই গ ণ ত ন্ত্র ,দা ডেমোক্রেসি ।
দেশের সাধারণ কোন মানুষ চায় নাই এধরনের নির্বাচন । আমার হাতে যদি ক্ষমতা থাকত বর্তমানে এদেশের পলিটিক্সের সাথে জড়িত সব কয়টারে লাইত্থায়া দেশ থেকে ভাগায় দিতাম ।
দরকার নাই তোগোরে আমাদের। আইনা দে আমার মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীরে,আইনা দে আমার শেরে বাংলা রে । আইনা দে সোহরাওয়ার্দী রে , আইনা দে মুজিব,আইনা দে জিয়া । তোগো দিয়া হইব না । তোরা আজাইরা শয়তানের বাইচ্চাগুলা আমার দেশটারে খাই ফালাইসোস ।
ক্ষমা কইর নূর হোসেন । ডেমোক্রেসি আমাদের জন্যে না। অযথাই তুমি জীবন দিয়া দিলা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।