বুকের ভেতর বহুদূরের পথ.........
এই সপ্তাহের পিক আর্সেনালের সাথে ম্যান সিটির হেসে খেলে ৪-২ গোলে জয়। অথচ লীগের প্রথম ম্যাচে এভারটনকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয়া গানারদের নিয়ে কত আশাই না করা হয়েছিলো। আর্সেন ওয়েঙ্গারের তরুণ তুর্কীরা আর কবে সাবালক হবে?
সত্যি কথা বলতে আদেরবায়োকে আমারও পছন্দ নয়। ১০টা চান্স পাইলে ৯টাই নষ্ট করে। কিন্তু এই সিজনে মনে হয় সে দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত।
এরি মধ্যে ৪ গোল দিয়া ফেলছে। তবে ম্যান সিটি যে টপ ফোরে আসছে এ ব্যাপারে বোধহয় আর সন্দেহ নেই। ডিফেন্সে একটু দূর্বলতা ছিলো সেটা কোলো টুরে আর লেসকট মিলে সামাল দিচ্ছে। গ্যারেট ব্যারি হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে ভালই সার্ভিস দিচ্ছে। আর স্ট্রাইকিং এ তো তারকার ছড়াছড়ি।
রবিনহো যে খেলছেনা সেটা মনে হয় কেউ খেয়ালই করছেনা। ম্যান সিটির খেলোয়াড়ের চাইতে ম্যানেজার মার্ক হিউজের ভূমিকাই আমার কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। এতগুলা তারকা খেলোয়াড়রে একসাথে খেলানো, সমন্বয় করা- সবমিলে দারুণ দেখাইতাছে ব্যাটা! গ্যারেট ব্যারী ইনজুরিতে পড়লে সিটি কি করে তা দেখার অপেক্ষায় আছি।
টটেনহ্যামের উপ্রে কত আশা করছিলাম (এর আগের সবগুলা ম্যাচ জিতছে) যে ম্যান ইউরে হারাইবো, নিদেন পক্ষে একটা ড্র। কীসের কি, ৩-১ গোলে উইড়া গেল।
রুনি সত্যি সত্যিই রোনাল্ডোর অভাব বুঝতে না দেওয়ার জন্য উইঠা পইড়া লাগছে, ৫ গোল তো মনে হয় এরিমধ্যে হইয়া গেছে।
লিভারপুল বড় জয় পাইছে, তয় খুশী হওয়ার কিছু নাই। জায়গা মত গিয়া ঠিকই ধরা খাইবো। লুকাস আর মাশশারানো রে দিয়া ইপিএলে মিডফিল্ড দখল করা যাইবোনা। কোয়ালিটি দলের কাছে গিয়া ঠিকই ধরা খাইবো।
তবে বেনিতেজের গ্লেন জনসনরে নিয়া জুয়া খেলা সার্থক। যেমন গোল করতাছে, তেমনি গোল করাইতাছে। কে কইবো যে ব্যাটা রাইট ব্যাক পজিশনে খেলে।
চেলসির কথা দিয়া শেষ করি। ড্রগবার গোলটা দেখছেন? একেবারে জাত স্ট্রাইকারের গোল! ডি বক্সে বল পাইয়াই টার্ণ, তারপর এক ভলিতে গোল।
ইনজুরিতে না পরলে ও একাই মনে হয় চেলসিরে শিরোপা জিতাইবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।