আমি পড়তে ভালোবাসি
নিজস্ব সংবাদদাতা,নীলফামারী \ জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্রের ক্যুপ্রস্তাবের বিচার চাইতে গিয়ে উণ্টো চরিত্রহীনার অপবাদ দিয়ে দোররার বদলে মাথার চুল কেটে দিয়ে গ্রাম ছাড়ার ফতোয়ার শিকার হয়েছে তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ মনিরা বেগম (৩৬)। নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কাঁঠালী ইউনিয়নের উত্তরদেশীবাই চেয়ারম্যানপাড়ার এই ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে জলঢাকা থানায় জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মওলানা গোলাম রব্বানী সহ ৭ জন কে আসামী করে ১৪৩,৩২৩ ও ৩৫৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে ( মামলা নম্বর ৯)। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হলেও শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামী কে গ্রেফতার করতে পারেনি। এলাকাবাসী জানায় মামলার পর ইউপি চেয়ারম্যান মওলানা গোলাম রব্বানী গাঁ-ঢাকা দিয়েছেন। এলাকাবাসী আসামীদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছে।
অপর দিকে একটি প্রভাবশারী মহল এ ঘটনার মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে এবং মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদি ওই গৃহবধূ কে হুমকী দিচ্ছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, উক্ত গ্রামের মকছুদার রহমান ঢাকায় চাকুরী করার কারনে গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী মনিরা বেগম ( ৩৬) ও তার দুই সন্তান থাকে। তার সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ ছাড়া মনিরার স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের পুুত্র প্লান বাংলাদেশ নামের একটি এনজিও সি ডাব্লু,এফ ডি প্রকল্পের কাঠারী ইউনিয়নের মাঠকর্মী মিরু ( ৩০) মনিরাকে ক্যুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার শিকার মনিরা জানায় এই ক্যুপ্রস্তাবের বিষয়টি তার স্বামীকে মোবাইলে জানিয়ে গত বুধবার( ৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিতি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মওলানা গোলাম রব্বানীর কাছে বিচার চায়।
সেখানে ইউপি চেয়ারম্যানের সাঙ্গপাঙ্গরা উপস্থিত থাকে। মনিরা জানায় তার অভিযোগের কোন বিচার না করে উল্টো তাকে চরিত্রহীনার অপবাদ দিয়ে অকথ্যভাষায় গালমন্দ দিয়ে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়ার ফতোয়া দেয় ইউপি চেয়ারম্যান। এরপর তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় চেয়ারম্যানের বাড়িতে । ঠিক ইফতারের আগে আগে ইউপি চেয়ারম্যান তার এনজিও কর্মী পুত্র যে ক্যুপ্রস্তাব দেয় সেই মিরু সহ অপর চার ছেলে ২ মেয়ে ও পুত্রবধূকে সাথে নিয়ে গৃহবধূ মনিরার মাথার চুল কেটে দিয়ে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর মনিরা বিষয়টি ঢাকায় অবস্থিত স্বামীকে মোবাইলে বিষয়ে জানিয়ে সন্ধ্যায় গ্রাম ছাড়া হয়ে জলঢাকা উপজেলা শহরের এক আত্বীয় বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
বৃহস্পতিবার সকালে মনিরার স্বামী মকছুদার রহমান ঢাকা থেকে আসার পর রাতে স্ত্রীকে নিয়ে জলঢাকা থানায় মামলা দায়ের করে। মনিরার স্বামী মকছুদার অভিযোগ করে জানায় একটি প্রভাবশালী মহল তাকে ও তার স্ত্রী কে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাঁপদিয়ে হুমকী প্রদান করছে। জলঢাকা থানার ওসি আরমান হোসেন পিপি এম জানান ওই ঘটনায় মনিরা বেগম নিজে বাদী হয়ে কাঁঠালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী, তার পুত্র মিরু সহ ৭ জন কে আসামী করে মামলা করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।