আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যখন স্বপ্ন পূরন হবে....চটপটি খাওয়াবি আমারে এবং মানব....দুস্ত আমার!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

মানবে ঢাকায় আইছে, কি জন্য আইছে কইতাছে না! আমার খালি কথা আছিলো গাবতলী থিকা ওরে উঠায় নিয়া যাবো, আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি মাগার ও কি জন্য আইছে সেইটা বইলা আমার মনের কুশ্চেন গুলার দাপাদাপী কমাইতাছে না! ব্যাটা নিমকহারাম! বাসে ব্যাপক ভীর, যদিও এসি বাস, তাও দেখি দাড়ানির জায়গা নাই, পাবলিকের কুলে উঠা বাকী। তয় উঠলেও খারাপ হইতো না, কারন বেশীর ভাগই মাইয়া! এমুন গ্যাজাগ্যাজির মধ্যেই হঠাৎ মানইব্যার চিৎকার," কুন ব্যাটায় রুজা রমজানের দিন চানাচুর মাখা খাইয়া উঠলো? উঠোনের আর জায়গা পায় নাই!" আমি একখান আৎকা ঠাডা খাইয়া চিন্তা করলাম হঠাৎ এই ডায়লগ কেন, মাগার ২ সেকেন্ড ঘুরতে না ঘুরতেই নাকে কিছু বাশ আইলো এসি গাড়ির মধ্যে তখন বুঝলাম ওর কথার মাজেজা কি! বাশ খানও বেজায় পোক্ত, রোজা ধইরা রাখনও টাফ হইয়া গেলো! তখন শুরু হইলো মানইব্যার বয়ান: " আর কইষ না, তুই জানস আমি কিল্যাগী বৈদেশ যাই না? আমাগো গার্মেন্টসে এর আগে এক ফরেন কনসাল্টেন্ট আইছিলো, এই পেট মোটা। কাম কাইজ করতো আর খালি সীটে বইসা ঘুমাইতো। আমার কাম আছিলো ওর ডিজাইন নিয়া নাড়াচাড়া করা।

ব্যাটার একখান সমস্যা আছিলো, ঢাকায় আইসা ওর নাকি বদ হজম আর গ্যাস্ট্রিক হয়, আর ব্যাটা যখন বাতাস ছাড়ে তখন আর ডাইনে বায়ে তাকায় না, এক লগে দুই তিনডা! মনে হইতো হে ভগবান, আমার উঠায় নাও! এর চেয়ে মইরা গেলেও অনেক শান্তি! আর তুই যাইতাছোস ঐ বৈদেশ! তহনতো তুই দেশে আইসাও এই আকাম শুরু করবি! তখন তো তর লগে মিশন যাইবো না, কৈতরের ঠ্যাং বাইন্ধা চিঠি দিয়া বাতচিত করতে হইবো! কৈতর শুইনা আমার একখান কথা মনে পইড়া গেলো। ঐ যে বদ্যিচাচার মাইয়াটারে দেখছিলি না? তুই তো সবই জানস, তোরে আর কি লুকামু। ওর যেদিন বিয়া হইলো সেইদিন ওর কৈতর খান উড়াল দিলো। আমি ভাবছিলাম ও চইলা গেছে কি হইছে ওর কৈতর খান আমি বুইড়া কাল পর্যন্ত স্মৃতি হিসেবে পালুম। মাগার সকালে উইঠা দেখি আমার আম্মাজান কৈতর রাইন্ধা খাইতে দিছে! মনের দুঃখে সেই দিন থিকা আমি নিরামিষ হইয়া গেলাম! নিরামিষ শুইনা মনে পইড়া গেলো সেই চরকমলাপুরের কথা।

মনে আছে ঐ ব্রীজের উপর জামিল কি করছিলো? রাইতের বেলা আকাশের চানমামাও মনে হয় মেঘে ঢাইকা গেছে। চারিদিকে বাতাসে আমাগো লুঙ্গী উড়ায় নেওনের গতিক হইছে! হঠাৎ জামিল কইলো," দুস্ত, এই বাতাসে আমার হিস্যু ধরছে। যেই সুন্দর বাতাস, এই বাতাসে হিস্যু করলে এক ঢিলে দুই পাখি মরবো!" আমি কইলাম,"কেমনে?" হগাডায় কইলো," লুঙ্গির তলে বাতাসও ঢুকবো, আবার এই কুমার নদীর বুকে হিস্যুও হইবো!" এই কইয়া সারতে পারলো না, রেলিং এর উপর খাড়াইয়া করা শুরু করলো। মাগার কপাল খান এমুনই খারাপ, আমার পাশে দাড়াইয়া রহিম বাদশা, ওরে চিনছোস তো! ও রাজেন্দ্র জিএস হইছিলো একবার, কয় কি বৃস্টি পড়ে কই থিকা! যখন আমার মুখে লাগলো তখন ওরে জায়গার থিকা নামাইয়া কইলাম," তোর দুই পাখি মাইরা আমরা খাওয়াতাছি, আমাগো ভিজাইতে কইছে কুন মদনায়!" ও তখন হাইসা কইলো," দুস্ত, বাতাস যে আকর্ষিত হইয়া দিক পরিবর্তন করবো সেইডা কি আমি জানতাম?" রহিম বাদশা ওর কলার ধইরা কয়," ওরে কুমার নদীতে ফিক্যা মার!" এই কুমার নদী শুইনা আমার আরেক খান কথা মনে পইড়া গেলো..... ওর এমুন চাপা পিটানি শুইনা আমার মনে হইলো এই রেলগাড়ীর চেন টানা দরকার নাইলে আমার কান আর কিছু হুননের লায়েক থাকবো না, এমনে বাসের মাইয়া গুলান মুখে রুমাল চাইপা হাসতাছে! আমি কথার মাঝখানে বাম ঠ্যাং ঢুকাইয়া কইলাম," দুস্ত বিয়া করবা কবে? আন্কেলের শরীর খারাপ, তুমার মারও দেখি অনেক খাটাখাটনি!" : দেখ রনি, তুই নিজেরটা না কইয়া আমারে নিয়া কথা বলনের অধিকার নাই। রোজা রমজানের দিন আমার মুখ খারাপ করাইস না! এমনেই নানা কিছিম এ আছি! : কেন আবার কুন কিছিমে আছো? : এইযে, তুমি একলা একলা আমারে ফেলাইয়া চইলা যাইতাছো! কথা কি আছিলো, আমরা যেইখানেই যামু এক লগে যামু! : না মামু, এমুন কথা আছিলো না, টয়লেটে, বাসর রাইতে এক লগে যাওনের কথা আছিলো, যাওনের কথা আছিলো অনলি বৈদেশ! : হ, অহন তুমি কত সাহিত্য মারবা! তুমারে মামো চিনা হইয়া গেছে! শালা নিমক হারাম।

এমুন সময় বাস খান নীল ক্ষেত থামলো। আসলে আমাগো টার্গেট আছিলো কয়খান শীতের জ্যাকেট আর গাট্টী ভইরা টি শার্ট কিননের। আবার শুরু হইলো ওর বয়ান: শুনো, তুমার এই যে ছিড়া প্যান্ট আর ময়লা শার্ট পইড়া ঘুরন চলবো না। স্মার্ট হইতে শিখো। আর কথা বার্তা শুদ্ধ করো।

কারন আমার লগে ঢাকাইয়া ফরিদপুইরা কও ঠিকা আছে কিন্তু এইসব ঐখানে চলবো না! ভালা ভালা জামা কাপড় পড়বা আর ডেট মারবা! ডেট এর কথা কইতে গিয়া আমার মুনিয়ার কথা মনে পইড়া গেলো। শুনছি ঐ নাকি ক্যান্টেন হইয়া গেছে! ঘটনা হইছিলো কি আমাগো এলাকার পাগলা নাহিদ আইয়া কইলো," দুস্ত, ঢ্যাঙ্গায় (আরিফ) তো পাগল হইয়া গেছে, মুনিয়ারে নাকি প্রেমপত্র লেখবো। কিন্তু ভাষা খুইজা পাইতাছে না। তুমি একখান লেইখা দাও!" আমি তো তহন আছিলাম এক নদু, কেমনে কেমনে যে কি লিখলাম নিজেই কইতে পারলাম না, তয় এইডা শিওর ঢ্যাঙ্গার মাইর খাওনের সব গতিক কইরা দিছি ঐ চিঠিতে! নাম ঠিকানা সহ লেইখা নাহিদের হাতে দিয়া কইলাম," শুন ব্যাটা, চিঠিপড়া মাইরা দিছি, দেখবি মুনিয়া ওর কাছে নাচতে নাচতে বেহুশ হইয়া আইয়া পড়বো!" পুরা দিনখান ভালাই কাটলো, সন্ধ্যার সময় বাড়িত যাইতে বাপে আমার কানডা ধইরা এমুন মাইর দিলো, যে ব্যাথা ভুইলা চিন্তাইলাম যে মাইর ঢ্যাঙ্গার খাওনের কথা সেইডা আমি কেন খাইলাম? এই কথা বাপেরে জিগাইতেই দেহি সেই চিঠিখান আমারে আইনা দিলো! চিঠিখান হাতে নিয়াই দিলাম জিবলায় কামুড়! লেখছি তো লেখছি, লেখনের পর প্রিয়তমেষুতে নিজের নাম লেইখা দিছি, বাড়ীর ঠিকানা সহ! কপাল ভালো পোস্ট অফিস দিয়া আহে নাই, আইলে পোস্ট অফিস থিকাও কিছু মাইর বরাদ্দ হইতো! আমি "কেন" জিগাইতেই কইলো ঐখানে নাকি তখন ওর এক কাকু চাকরি করতো! যাই হোউক, ওর গল্পগুলান সব বান্ধাইয়া রাখনের মতো হইলেও মাথার পোক আর পেট ব্যাথা দুইটা একসাথে নাড়া দিয়া ওঠে! কুনোমতে কিছু কিন্যা ওরে কইলাম,"কুন জায়গায় উঠবি, নিকুন্জ্ঞ?" : উঠুম মানে? আমি অখন যামু গা! খালি তরে একবার দেখনের লিগা আইছিলাম। তুই কি জানস ফরিদপুরে তরে দেখনের লিগা পুলাপান ওয়েট করতাছে! আমি কিছু কইতে পারলাম না, চোখ ভিজলো জায়গায়! শালার পুলাপান সব হারামী হইয়া যাইতাছে।

যাওনের সময় সবার পীড়িত এমুন বাড়তাছে, যে মন ভালো করনের চান্স পাইতাছি না! মানইব্যা যাওনের আগে কইলো," আয় কুলাকুলি করি। স্বপ্ন পূরন হইলে তো আমাগো চিনবি না, মাগার আমি তরে ভুলুম না!" আমি সত্যি সত্যি কাইন্দা দিলাম নিউমার্কেটে সবার সামনে ওরে জড়ায় ধইরা! আরো কইলো," মানুষ যায় নিজের লিগা, আর তুই যাইতাছস অন্যের লিগা! আল্লায় এর বিচার করবো!" ওরে বিদায় দিয়া পুরা শহরডা ঘুরলাম। পাগলের মতোই ঘুরলাম। ঠান্ডা বাতাসে কখনো মাথার চুলগুলান এলোমেলো কইরা দেয় আবার রোদের চুলগলো শুকিয়ে ফেলে। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি কখনো সাদা, কখনো কালো কখনো নীল অথবা কখবো ধূসর! অনেক দিন আগে পেপার রাইমের একটা গান শুনেছিলাম: বলতো আকাশের কি রং কখনো ধূসর কখনো রাঙ্গা! জানি তুমি বলবে তো কখনো নীল আকাশ তোমার, কখনো ধূসর কখনো রাঙ্গা! আসলেই ওর নীল আকাশ! ভালো থাকুক সবাই।

হয়তো যাবার আগে কিছু দিন সকল নেটওয়ার্কের বাইরে থাকবো! দেখি না পিওর লোনলি থাকতে কেমন লাগে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।