তৃতীয় বিশ্ব নয়, বাংলাদেশকে দেখতে চাই প্রথম বিশ্বের কাতারে
গত কিছুদিন আগে জন্মাষ্টমীর ছুটিতে রূপগঞ্জ বেরাতে গিয়েছিলাম। বৃষ্টি ভেজা দিন, খুব মজা লাগছিল। আসলে অনেকদিন এভাবে ঘুরতে যাওয়া হয়নি। হয়ত তাই ভাল লাগছিল। কিজানি।
সেখানে গিয়ে প্রথম দর্শন হল মুড়াপাড়া কলেজ। সহকর্মী সাঈদ ভাই যখন কলেজ দেখতে যাওয়ার কথা বললেন তখন খুব মেজাজ খারাপ হল। কলেজ আবার দেখার কি আছে? আর দশটা ডিগ্রী কলেজের মত নিশ্চই হবে। মনে মনে রাগ হলেও কিছু বললামনা।
তখন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।
বৃষ্টিতে ভিজেই উপস্থিত হলাম কলেজে। সেখানে পৌছে মনে হল না দেখলে অবশ্যই পরে আফসোস করতে হত।
পুরনো জমিদার বাড়ী। বিশাল জায়গা নিয়ে। ১৯৬৬ সাল থেকে এই ভবন কলেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
অসাধারান তার নির্মানশৈলি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ইচ্ছেমত ছবি নিলাম।
কিন্তু দৃষ্টিনন্দন এসব স্থাপনার পরও আরও কিছু দেখার বাকি ছিল। এবং যথারীতি তা দেখলামও। তবে না দেখলেই বোধহয় ভাল ছিল।
তাহলে অন্ততঃ সৌন্দর্য দেখার মুগ্ধতাটুকু থেকে যেত।
কলেজ ভবনের মাঝের গেট পার হয়ে যখন ভেতরের ভবনে প্রবেশ করলাম তখন নিজের অজান্তেই যেন একটা কথা বের হয়ে এল: একী দেখছি?
পরিচর্যা আর সংস্কারের অভাবে জীর্ণ শীর্ণ কয়েকটা ভবন। দেখে ভূতের বাড়ী মনে না হওয়ার কোন কারন নেই। এক এক করে ভবনগুলো ঘুরে দেখলাম আর ছবি তুললাম। যেন বুক ফেটে কান্না আসছিল।
কত অসচেতন আমরা! কি একটা সৃষ্টি কি দশা করে রেখেছি!
এসব দেখে মনে শুধু একটা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিল- আমাদের সচেতনতা কি কখনো জাগ্রত হবে?
সেদিন কলেজ বন্ধ ছিল।
কিন্তু আমার মনে হয়েছে খুব শীঘ্রই এমন সময় আসবে যখন
এই প্রণীটিও এই ভবনে আসার ইচ্ছে ত্যাগ করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।