"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"
নাহিদার জন্য এইসব বেদনার অশ্রুজল ও
একটি মানবিক স্বপ্নের কথা-
আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল (ঢাকা, বাংলাদেশ):
জোহরা ফেরদৌসী (কানাডা প্রবাসী)
কিছুদিন আগে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী নাহিদার মৃত্যু সংবাদ পড়লাম প্রথম আলো ব্লগের পাতায়। চিকিৎসক হতে চেয়েছিল মেধাবী মেয়েটি। মানুষের সেবা করার স্বপ্ন ছিল ওর। মরণব্যাধি ক্যান্সার কেড়ে নিয়েছে সেই স্বপ্নকে। ওর পরিবার, বন্ধু, শুভ্যানুধ্যায়ীদের সবাইকে স্বপ্নভঙ্গের কষ্টের মধ্যে রেখে নাহিদা চলে গিয়েছে (পরম করুনাময় ওর আত্মাকে চির শান্তিতে রাখুন এবং ওর আপনজনদেরকে এই কষ্ট সহ্য করার শক্তি দিন, আমেন)।
নাহিদার এই চলে যাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকজন লিখেছেন ব্লগের পাতায়। দূ’একজন দরদী কবি মনকাড়া এলিজিও লিখেছেন, যা পড়ে মন সত্যিই আচ্ছন্য হয়ে গিয়েছিল। ওর বন্ধু, সহপাঠী, সুহৃদ অনেকেই ওর কথা মনে করে চোখের জল ফেলছেন এখনো। কিন্তু একসময় জীবন গ্রাস করবেই সবাইকে তার অমোঘ নিয়মে । একসময় সবাইকে জীবনের তাড়নায় সামনে এগিয়ে যেতে হবে ।
বিস্মৃতির ধুলো পড়ে যাবে সবার মনে । হঠাৎ কখনও চেনা পথে হাঁটতে গিয়ে হয়তো মনে পড়ে যাবে ওর সহপাঠীদের এই অকালে ঝরে যাওয়া মেধাবী ও স্বপ্ন দেখা মেয়েটির কথা । শুধু ওর মা-বাবা প্রতিদিনই একবার করে তাদের আদরের ধনটির এই অসময়ে চলে যাওয়ার কষ্টে কাতর হবেন, চোখ মুছবেন সবার অগোচরে।
বাংলাদেশে মোট ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কত তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন। তবে, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির হিসাব মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে বার লক্ষ ক্যান্সার রোগী আছে।
প্রতি বছর প্রায় দুই লক্ষ নতুন রোগী যোগ হচ্ছে । প্রতি বছর এই রোগে মৃত্যু ঘটে আনুমানিক দেড় লক্ষ রোগীর। আমাদের দেশের সামর্থের তুলনায় এ এক বিশাল বোঝা । এখন পর্যন্ত সরকারী, বেসরকারী খাতে ক্যান্সার রোগ চিকিৎসায় যে ব্যাবস্থা আমরা করতে পেরেছি তা খুবই অপ্রতুল । অনেকটা ঝিনুক দিয়ে সমুদ্র সেঁচার মত।
তারপরেও যেটুকু চিকিৎসা সেবার সুবিধা আছে তাও কত জনের সাধ্যের মধ্যে আছে সে এক অনিবার্য প্রশ্ন । খবরের কাগজের পাতা খুললেই দেখা যায় সাহায্যের জন্য আবেদন । যে কোন দিনের যে কোন একটি জাতীয় দৈনিক খুললেই দেখা যাবে অন্ততঃপক্ষে একটি আবেদন । সেইসব করুন আবেদন পড়লে যে কোন বিবেকবান মানুষের মন কেঁদে উঠবে । কখনো মমতাময়ী মা, কখনো আদরের ধন শিশু, কখনো দ্বায়িত্বশীল বাবা, কখনো স্নেহময়ী বোন, কখনো পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ভাই, কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী তরুন শিক্ষার্থী, কখনো স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া কর্মজীবি, কখনো অপরাজেয় মুক্তিযোদ্ধা,....................।
ক্যান্সার এমনই এক রোগ যে কাউকে ক্ষমা করে না, কোন বয়স মানে না। আড়াই, তিন বছরের দুগ্ধপোষ্য শিশু থেকে শুরু করে যে কারুর হতে পারে এই রোগ। তখন এইসব রোগীর অসহায় পরিবার, আপনজন সমস্ত আত্মসম্মান বোধের লজ্জা বিসর্জন দিয়ে হলেও বাঁচাতে চায় রোগীকে, বাঁচিয়ে রাখতে চায় তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা তখনো অপুর্ন স্বপ্নগুলোকে। এইসব সাহায্যের মানবিক আবেদন নিয়েও অনেক সময় সন্দেহ করা হয়। মনে করা হয় এদের সবগুলোই সত্য নয়।
সাহায্যের এইসব আবেদনেরও নাকি আছে অর্থনীতি। আজকাল তাই দেখা যায় যে কোন বিখ্যাত বা সমাজে পরিচিত কারুর মাধ্যমে এইরকম আবেদনগুলো খবরের কাগজের পাতায় আসে। হতে পারে সেই বিখ্যাত লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক রোগাক্রান্ত মানুষটির সম্পর্কে কলাম বা চিঠি লিখলেন যাতে সেই আবেদনটি বিশ্বাসযোগ্যতা পায়। হায়রে আমাদের আস্থাহীনতার সময় ! কেনইবা কেউ মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে মানবিক সাহায্যের আবেদন নিয়ে বাণিজ্য করবে আর কেনইবা একটি দু’টি অসৎ মানুষের জন্য সকল সাহায্যের আবেদনগুলোকে সন্দেহের চোখে দেখা হবে ? তবে আশার কথা এই যে তারপরেও মানুষ এখনো এগিয়ে আসে, হাত বাড়িয়ে দেয়। যেরকম দেখা গিয়েছিল আমাদের প্রিয় শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের ক্ষেত্রে।
এমনকি নাহিদার জন্য সাহায্যের আবেদন নিয়েও ওর বন্ধু, সহপাঠীরা অনেকেই নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন ওর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে।
কিন্তু সাহায্যের আবেদন করার কিংবা আবেদনটি মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য পর্যাপ্ত লোকবল, শিক্ষা, পরিচিতি, যোগাযোগ সবার থাকে না । নাহিদার মত এতো উপকারী বন্ধুও সবার থাকে না। গ্রামের একজন কৃষক, শহরের শ্রমজীবিদের কথাই ধরা যাক। ক্যান্সারতো তাদেরও হয়, তারা কোথায় যাবে? কার কাছে যাবে? এই অসম্ভব ব্যায়বহুল চিকিৎসা সেবার কনা মাত্রও বহন করাতো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
তাহলে তারা কি করবে? সম্প্রতি আট বছরের একটি ছেলের (মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন) চিকিৎসায় সম্ভাব্য মোট খরচের পরিমান চিকিৎসকরা বলেছেন কয়েক লক্ষাধিক। তিন বছর বয়সী আরেকটি মেয়ের পরিবারকেও এরকমই বিশাল অংকের খরচের কথা বলা হয়েছে। এইসব দরিদ্র পরিবারগুলোর পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব নয় এই পরিমান টাকার যোগাড় করা। তাহলে কি হবে এইসব রোগীর অসহায় পরিবারগুলোর? এরা চেয়ে চেয়ে দেখবে তাদের আপনজন বিনা চিকিৎসায় অকালে ঝরে যাবে? সমাজের অন্য যাদের পরিবারে ক্যান্সার কখনো আসেনি, তারা মনে করবে এগুলো শুধুই খবরের কাগজের খবর মাত্র?
এমনকি যাদের সামর্থ আছে চিকিৎসার ব্যায় বহনের তাদের জন্যও চিকিৎসার ব্যাবস্থা এতো নগন্য যে প্রায়শই মানুষকে বিদেশে যেতে হয়। বিত্তবানদের কথা আলাদা, কিন্তু নেহাত কম সামর্থের রোগীদেরকেও অনেকসময় যেতে হয় বাধ্য হয়ে।
এমন শোনা যায় যে কোন কোন ক্ষেত্রে দেশের চেয়ে বিদেশে খরচ কম লাগে। তাছাড়া দেশে চিকিৎসার সার্বিক ব্যাবস্থা এতোটাই অমানবিক যে সাধ্য না থাকলেও মানুষ জমি জমা বিক্রি করে বিদেশে যেতে বাধ্য হন। একটি উদাহরন দিচ্ছি। বাংলাদেশে শিশুদের রক্তের ক্যান্সারের পুর্নাঙ্গ চিকিৎসার ব্যাবস্থা আছে একমাত্র ঢাকার বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে (পুরাতন পি. জি.)। তিরিশজন রোগীর এই ওয়ার্ডে সঙ্গত কারনেই প্রতি রোগীর সঙ্গে একজন করে ভিজিটর থাকতে দেয়া হয়।
পুরো ওয়ার্ডের জন্য আছে একটিমাত্র বাথরুম। রোগী কিংবা ভিজিটরদের কাউকে বাথরুমে যেতে হলে লম্বা লাইন দিতে হয়। অনেক সময় অজু করার জন্যও বাথরুম খালি পাওয়া যায় না। যেহেতু রোগীরা শিশু, কাজেই মায়েদেরকেই থাকতে হয় ভিজিটর হিসেবে। মায়েরা মানসিক দুশ্চিন্তা, দূর্ভাবনা নিয়ে বেডের পাশের একমাত্র চেয়ারটিতে বসে কখনো দূ’চোখের পাতা এক করতে পারেন কিনা কে জানে।
বাবারা ওয়ার্ডের লাগোয়া করিডোরে পায়চারী করেই কাটান দিন রাতের বেশীর ভাগ সময়। এইরকম অমানবিক পরিস্থিতিতে চলে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। দীর্ঘ মেয়াদী এই চিকিৎসায় লেগে যেতে পারে কয়েক বছর পর্যন্ত।
দেশে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় এই কঠিন প্রতিকুলতার সামনে একটু হলেও আশার আলো জাগাতে এগিয়ে এসেছে ঢাকা আহছানিয়া মিশন। তারা ইতোমধ্যেই ঢাকার রাজধানী মিরপুরে ছোট পরিসরে একটি ক্যান্সার হাসপাতালে (আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতাল) চিকিৎসা সেবা দিতে শুরু করেছে।
সম্পুর্ন আধুনিক ও বিশ্বমানের ক্যান্সার চিকিৎসার সকল সুব্যবস্থা সম্বলিত সম্প্রসারিত হাসপাতালটি নির্মানের কাজ উত্তরায় এগিয়ে চলেছে। এই পাঁচশত শয্যা বিশিস্ট হাসপাতালটিতে অপারেশন, রেডিয়েশন, কিমোথেরাপীসহ ক্যান্সার চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের সমণ্বিত সুবন্দোবস্ত থাকবে। এখানে শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডেরও ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া, এই হাসপাতালটি ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সেবিকা প্রশিক্ষনেরও ব্যবস্থা নেবে যা আমাদের দেশে এই খাতে জনশক্তি তৈরী করবে। সবচেয়ে বড় যে কাজটি এই হাসপাতালটি করবে বলে ঢাকা আহছানিয়া মিশন অঙ্গীকারাবদ্ধ তাহলো দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার ব্যয় ভার বহনে সাহায্য করা।
এই হাসপাতালটিতে যার যতটুকু সামর্থ সে ততটুকু ব্যয়ভার বহন করবে, বাকীটা হাসপাতালের মানবিক ফান্ড থেকে দেয়া হবে। সেই লক্ষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিগত সহায়তায় একটি ফান্ড সংগ্রহ করছেন। পুরো হাসপাতালটি নির্মিত হচ্ছে সকলের মানবিক অনুদানে, যার জন্য আহছানিয়া মিশন একে বলছে “জনগনের হাসপাতাল”। প্রসঙ্গক্রমে, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেণ্ট কাজী রফিকুল আলমের কথা বলতে ইচ্ছে করছে। তাঁর স্ত্রী কবি চাঁদ সুলতানা স্তন ক্যান্সারের রোগী ছিলেন।
বাংলাদেশে সেই সময় চিকিৎসা সেবা না থাকায় তিনি স্ত্রীকে বিদেশে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কবি চাঁদ সুলতানা মারা গিয়েছেন, কিন্তু অনূপ্রানিত করে গিয়েছেন তাঁর স্বামীকে।
ক্যান্সার বড়বেশী ব্যায়বহুল রোগ, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক দু’দিক থেকেই। ক্যান্সারের ডায়াগনোসিসের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় একটি মানুষের জীবন চিরতরে। প্রতিটি দিন আসে অজানা আশংকা নিয়ে।
যার এই রোগ হয় সেই শুধু জানে এর চিকিৎসা কত কষ্টের। শরীর ও মনের ওপর এর টোল কি পরিমানের। কত রকম স্বপ্নকে তার বিসর্জন দিতে হয় একেবারে। তার ওপর যদি ক্যান্সার আক্রান্ত পরিবারটির সারাক্ষন যুদ্ধ করতে হয় চিকিৎসার খরচ যোগাতে তাহলে কেমন লাগতে পারে তাদের? একটি কিমোথেরাপী থেকে আরেকটি কিমোথেরাপী পর্যন্ত রোগীর শরীরে যখন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা নেমে আসে শুন্যের কোঠায় তখন আরেকটি কিমোথেরাপীর খরচ যোগানোর অনিশ্চয়তা কতটা কষ্টকর? ঐরকম একটি পরিবারের অসহায়ত্ব কোন পর্যায়ের তা কি সমাজের সবার পক্ষে বোঝা সম্ভব? অথচ এইসব অকালে ঝরে যাওয়া মানুষগুলো শুধু খবরের কাগজে পড়া সংবাদ নয়। এরা আমাদেরই একজন, হয়তো বেঁচে থাকলে এরাও দেশের জন্য, জাতির জন্য অবদান রাখতো যা আমাদের সবার কাজেই লাগতো।
এই লেখাটি শেষ করতে চাই বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার নিরাময় ও গবেষনার জন্য অনুদান সংগ্রহে সর্বোচ্চ অবদান রাখা এক তরুণের কথা বলে । মাত্র আঠার বছর বয়সে কানাডার টেরি ফক্সের ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। হাসপাতালে থাকাকালীন অন্যাণ্য ক্যান্সার রোগীদের কষ্ট তাকে এতো বেশী নাড়া দিয়েছিল যে নিজের একটি পা হারানোর বেদনাকে তুচ্ছ মনে হয়েছিল তার। কি করে এই রোগের নিরাময়ে কিছু করা যায় সেই ভাবনা থেকেই সে কানাডার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে “ম্যারাথন অফ হোপ” রান করেছেন অনুদান সংগ্রহের জন্য । একটি কৃত্রিম পা নিয়ে এই তরুণ প্রতিদিন ছাব্বিশ মাইল করে দৌড়েছেন, যা ম্যাড়াথনে করা হয়।
টেরি প্রথমে এক মিলিয়ন ডলার সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে শুরু করেছিলো । তার পরে, প্রতি কানাডিয়ানের জন্য এক ডলার হিসেবে তখনকার মোট জনসংখ্যার সমান চব্বিশ মিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে। কানাডার প্রত্যন্ত হাইওয়ে ধরে যখন এই নিঃসঙ্গ তরুন (সাথে ছিল দু’জন বন্ধু আর একটি ভ্যান) ছুটে চলেছিলো তখন খুব কম লোকই বিশ্বাস করেছিলো তার এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। টেরি তার ম্যারাথন নিয়ে কানাডার আরেক প্রান্তে যাওয়ার আগেই ক্যান্সার থামিয়ে দেয় তাকে। মাত্র বাইশ বছরে টেরি চলে গিয়েছে এই পৃথিবী থেকে, কিন্তু পৌছে গিয়েছে পৃথিবীর সবগুলো কোনে।
প্রতি বছর বিশ্বের অসংখ্য দেশে টেরির রেখে যাওয়া মশাল হাতে রান করে অগনিত ক্যান্সার রোগী, তাদের পরিবার, বন্ধু, শুভ্যানুধ্যায়ীরা। এখন পর্যন্ত এই রান সংগ্রহ করেছে চারশত মিলিয়ন ডলারেরও ওপর।
সিয়াম সাধনার এই পবিত্র মাসে দেশে ও প্রবাসে যে যেখানে আছেন সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করতে চাই এই হাসপাতালটির মত মানবিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় এগিয়ে আসুন । দেশের মাটিতে ক্যান্সার চিকিৎসার সূব্যাবস্থা করতে আপনিও অবদান রাখুন । তার পাশাপাশি দরিদ্র তথা সকল ক্যান্সার রোগী ও তাদের পরিবারগুলোর স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রাখুন ।
আসুন আমরা সবাই টেরি ফক্সের ক্যান্সার রোগ নিরাময়ের এই মহৎ স্বপ্নটিকে সফলতার দিকে নিয়ে যাই।
দেশ ও প্রবাস থেকে আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে অনুদান দেয়ার যোগাযোগের ঠিকানাঃ
বাংলাদেশেঃ
Agrani Bank
Dhanmondi Branch
Dhanmondi, Dhaka-1209, Bangladesh
A/C Name: Ahsania Mission Cancer Hospital Fund
A/C No. : 100036699
Citibank, N.A.
109, Gulshan Avenue
Dhaka-1212, Bangladesh
A/C Name: Ahsania Mission Cancer Hospital Fund
Current A/C # 1100030019
Swift Code : CITI BDDX
ইংল্যান্ড থেকেঃ
Mrs. Zina Fear
Fund Raising Adviser
Dhaka Ahsania Mission UK,
4, Hayne Close, Tipton St. John,
Sidmouth, Devon, EX 10 OBA, U.K.
Tel: 01404-813996;
Email:
অথবা
Alliance & Leicester Commercial Bank plc.
BBAM, Bridle Road, Bootle,
Merseyside, GIR OAA., U.K.
Account Name: Dhaka Ahsania Mission Cancer Hospital Fund
Sort Code: 72 00 05
Account Number: 63516186
যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ
Dr. Mansurul Khan
President, Dhaka Ahsania Mission, USA Inc.
58 Third Avenue, Garden City
New York, 11040 USA
Ph: 917-821-0514
Muhammad A. Kabir
Secretary, Dhaka Ahsania Mission, USA Inc.
86-11, 164 Street, Jamaica
New York 11432 USA
Ph: 917-560-9288
e-mail:
অস্ট্রেলিয়া থেকেঃ
Prof (Dr.) Abdul Haq
87, Aminta Crescent
Hassallgrove, New South Wales-2761
Australia
Phone: 61296284568
Mobile: 61425260239
কানাডা থেকেঃ
Ms. Zohra Ferdousy
Email:
কৃতজ্ঞতায়ঃ
-ঢাকা আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল
-টেরি ফক্স ফাউন্ডেশন
(জোহরা ফেরদৌসী’র লেখা এই প্রবন্ধটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রথম আলো ব্লগ থেকে অনুমতি সাপেক্ষে এখানে পোস্ট করা হলো)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।