আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চোরাচালানে প্রি-পেইড কার্ড

ভালোবাসি মানুষকে

কাঁটাতারের বেড়া, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের রক্তচক্ষু ও নির্বিচার গুলি চালানোর ঘটনা দু'দেশের মানুষের মাঝে দেয়াল তুলে দিলেও চেনা মানুষ ও ¯^Rb‡`i আবেগ ভালোবাসাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। কাঁটাতারের বেড়া পেড়িয়ে এ দেশ থেকে ও দেশে চলে যায় ফুলের গন্ধ। পাখিদের আসা যাওয়ার মতো এখানে মুক্ত ইথার বা শব্দ তরঙ্গ। মানুষের ভালোবাসার এই আবেগকে আরো গাঢ় করেছে দু’দেশের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো। আবেগ ভালোবাসা কোনো বাধাই মানে না।

সীমান্ত এলাকায় উভয় দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় বলেই এবার চোরাচালানের পণ্য তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে মোবাইল ফোনের প্রি পেইড কার্ড, ফ্লেক্সিলোড ও সিম কার্ড । আর তা হোক না চোরাচালান । কম খরচে কথাতো বলা যায় ! তবে এর বিপরীত চিত্রও আছে এখানে। সুযোগ সন্ধানী অনেক চোরাচালানি তাই এখন ফ্লেক্সিলোডের মাধ্যমে পণ্যের দাম মিটিয়ে দিচ্ছেন সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় ব্যাবসায়ীদের। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় মোবাইলের নেটওয়ার্ক চালু থাকায় ওইসব এলাকার ভারতীয় অংশে সন্ত্রাসী, চোরাচালানি, পি.সি.ও ব্যাবসায়ী ও রপ্তানিকারকরা এখন বাংলাদেশী মোবাইল ফোনের সিমকার্ড ব্যবহার করছে।

সমপ্রতি ভারতে পালিয়ে থাকা দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি টাওয়ারের নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করে বাংলাদেশে তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীদের সাথে কথা বলেছে বলে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় সাধারণ নাগরিক, যাদের বাংলাদেশে আত্মীয় রয়েছে তারাও তাদের সাথে কথা বলছে এসব মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ও সিম দিয়ে। কম খরচে বাংলাদেশে কথা বলার এ সুযোগ সৃষ্ঠি হওয়ায় ভারতের সীমান্তবর্তী শহর ও গ্রামাঞ্চলে এসব মোবাইলের টাকা লোড বা রিচার্জ করার জন্য এখন রমরমা চোরাই বাজার গড়ে উঠেছে। অনুরুপ ভাবে বাংলাদেশেও আসছে ওই দেশের মোবাইলের সিম, প্রি পেইড কার্ড, ডিশ্‌ টিভি নামের একটি ভারতীয় কোম্পানির স্যাটেলাইট চ্যানেল বক্স ও তার প্রি পেইড কার্ড। সীমান্তের একাধিক সুত্রে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সরকার এক নির্দেশে ইতিপুর্বে সীমান্তের বেশ কিছু এলাকায় মোবাইলের টাওয়ার সরিয়ে নিলেও এখনও এমন কিছু উপজেলা রয়েছে যেখানে উপজেলা সদর সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্ত রয়েছে। ওই এলাকাগুলোতে বাংলাদেশের মোবাইল কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। জানাগেছে, লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর সংলগ্ন ভারতের চ্যাংরাবান্ধায় প্রায় সব আমদানিকারকরা বাংলাদেশে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকেন তাদের কাছে থাকা বাংলাদেশী সিমকার্ড দিয়ে। এদের আবার বাংলাদেশী সংশ্লিষ্ঠ ব্যাবসায়ীদের সাথে ওয়ান টু ওয়ান বা এফ,এন,এফ করাও রয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও এলাকার সীমান্তবর্তী ভারতের স্থলবন্দর, শহর ও গ্রামীণ জনপদে।

সুত্র আরো জানায়, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার সীমান্তের ওপারে ভারতের দিনহাটা ও কোচবিহার এলাকায় বেশ ক’জন মাড়োয়ারী ব্যাবসায়ী রয়েছে যাদের কাছে মোবাইলের প্রি পেইডকার্ড এমন কি সিম কার্ডও পাওয়া যায়। এদের মধ্যে দিনহাটা’র চৌপথি মোড়ে (রংপুর রোড) গিরিধারীলাল ভৌরীমল নামে এক মাড়োয়ারীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে এসব জিনিষপত্র পাওয়া যায়। এই মাড়োয়ারীরা আবার চোরা পথে বাংলাদশে নিয়ে আসা ‘ডিশ টিভি’ নামের একটি কোম্পানির স্যাটেলাইট চ্যানেল বক্সের পি পেইড কার্ড বাংলাদেশে পাচার করছে সেই সাথে সে দেশের মোবাইলের সিম ও প্রি পেইড কার্ড। কম খরচে বেশ কিছু নামী-দামী পে চ্যানেল সহ ২শ’টি চ্যানেল দেখা যায় বলে ব্যাপক হারে ভারত থেকে চোরা পথে আসছে ডিশ্‌ টিভি’র স্যাটেলাইট চ্যানেল বক্স। শুধু তাই নয়, এই ডিশ টিভির সাবক্রিপশন ফি প্রি পেইড কার্ড ব্যবহার করে মেটানো যায়।

উল্লেখ্য, ছোট্ট একটি কিউ ব্যান্ডের অ্যান্টেনার সাহায্যে বাড়ির বারান্দা, উঠোন কিংবা ছাদে রেখে বাইরের লোক চক্ষুর অন্তরালে এই ডিশ্‌ টিভি চালানো যায় বলে বাংলাদেশে এখন এর অবৈধ ব্যাবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়ছে না না ধরণের প্রি পেইড কার্ড চোরাচালানের প্রবনতা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।