যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
থাপ্পর মেরে একুশে টেলিভিশনের দাত ফেলে দিতে ইচ্ছে করছে। নাচেগানে নাম্বার ওয়ান নামের একটা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের শীর্ষ সাতের একজন সুইনপ্রুর খাগড়াছড়ির বাড়ীতে ভ্রমণ দেখাচ্ছিলো। কিন্তু এক মিনিট পরে পরে বিজ্ঞাপন বিরতী। আবাল একটা উপস্থাপক প্রতিবার বিজ্ঞাপন বিরতী থেকে ফেরার পরে একই কথা বলছিলো, কমার্শিয়াল ব্রেকের পরে আবার আমরা ফিরে এলাম...আপনারা দেখছেন সবার প্রিয় অনুষ্ঠান নাচেগানে নাম্বার ওয়ান একুশে টেলিভিশনে...ব্লা ব্লা ব্লা! বিজ্ঞাপনের ন্যুনতম সেন্সও একুশে টেলিভিশনের দেখলাম না। বিশ্বাস করেন স্রেফ এক মিনিট পর পর কমার্শিয়াল ব্রেক নিয়েছে তিনচারমিনিটের! সব কটা দাত ফেলে দেয়া উচিত চড়িয়ে!
যার কথা বলছিলাম সেই সুইনপ্রু দরিদ্র পিতা মাতার সন্তান।
একদম একক প্রচেষ্টায় গান শিখেছে, নাচ শিখেছে...এবং বাজিমাত করে দিয়ে টপ সেভেনে উঠে এসেছে। তাকে নিয়ে গ্রামবাসীর উচ্ছ্বাস, সম্বর্ধনা দেখে মনে হলো এধরণের মিউজিক্যাল কম্পিটিশনে ভোটাভুটির সিস্টেমটা আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্বকে চাঙা রাখে। গড়ে তুলছে আঞ্চলিক ঐক্য এবং এমন জাতিয় পর্যায়ের কোন স্বীকৃতি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষকে প্রকারন্তরে আত্মবিশ্বাসী হতে ব্যাপক সহায়তা করে। যদিও আদিবাসীদের মধ্যে থেকে একজন প্রতিযোগীর শীর্ষ সাড়িতে উঠে আসা এবং তার পেছনে ব্রাকের কিশোরীক্লাবের ভূমিকা থাকার আড়ালে একধরণের কর্পোরেট নির্ধারিত যোগাযোগের ইংগিত থাকলেও সুইনপ্রুর প্রতিভাকে অস্বীকার করা যায় না।
যে পর্বে সুইনপ্রু নেচেছে এবং গেয়েছে সেটা দেখা হয়নি।
আসলে নাচেগানে নাম্বার ওয়ান নামে কোন যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে সেটাই জানা ছিল না। গ্রামের নানা আয়োজনের মাঝে এক ঝলক সুইনপ্রুর নাচ দেখা গেল। পাহাড়ী একটা গানের সাথে মার্মা নৃত্য - পুরাপুরি মুগ্ধ হতে হয়, আমিও হয়েছি।
দেখা যাক, সুইনপ্রু কতদূরে যায়। সুইনপ্রুর পর্বগুলো দেখতে হবে।
তবে তখনও যদি এমন বিজ্ঞাপন ভাওতাবাজি শুরু করে সত্যিই এক চড়ে একুশে টেলিভিশনের সবকটা দাত ফেলে দেবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।