আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাদেকীকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়াকে বেআইনি ঘোষণা করলো হাইকোর্ট

ফেসবুক আইডি:নাই

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক এহসানুল হক সাদেকীকে (২৩) মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়াকে বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি শহীদুল ইসলাম ও বিচারপতি সৈয়দা আফসার জাহানের বেঞ্চ এ রায় দেন। সাদেকীর স্ত্রী হ্যাপি শাহনাজের দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই রায় দেন। এর আগে ‘সাদেকীকে এফবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না’−তা জানতে চেয়ে গত ১৫ মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আজ রায়ের পর সাদেকীর পরিবারের আইনজীবী টি এইচ খান সংবাদিকদের বলেন, এফবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার এ ঘটনায় সাদেকীর মানবাধিকার ও দেশের সার্বভৌমত্ব লংঘিত হয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। তিনি বলেন, আইনসঙ্গতভাবেই সাদেকীর ভিসা বাতিল করে তাঁকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার দায়ে সাদেকীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মার্কিন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন স্থাপনার ভিডিও চিত্র বিদেশে পাঠানো এবং ইউরোপে ‘সহিংস জিহাদি’ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জর্জিয়ার আটলান্টার ফেডারেল আদালত গত ১২ আগস্ট এই সিদ্ধান্ত নেয়। আটলান্টার ফেডারেল আদালত আগামী ১৫ অক্টোবর মামলার রায় ঘোষণা করবে।

সাদেকীকে ২০০৬ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার রাস্তা থেকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা ধরে নিয়ে যায়। তারপর তাঁকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। এর তিনদিন পর এফবিআই তাঁকে নিউইয়র্কগামী একটি বিমানে তুলে নিয়ে যায়। যা তখন দেশি-বিদেশী গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল। তখন সাদেকীর বয়স ছিল ২০ বছর।

সাদেকীর বাবা ঢাকার ব্যবসায়ী সরদার মো. শরিফ ২০০৬ সালের ২১ এপ্রিল ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলেন, ওই বছরের ১৭ এপ্রিল গুলশানের কালাচাঁদপুর ব্রিজের কাছ থেকে সাদা পোশাকের লোকেরা তার সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে। ক্যান্টমেন্ট থানায় তিনি এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করেন। সরদার মো. শরিফ বলেন, ২০০৫ সালের ২০ আগস্ট সাদেকী ঢাকায় বেড়াতে আসে। পরের বছর ৩০ মার্চ বিয়ে করেন। এরপর ১৭ এপ্রিল (২০০৬) বিকেলে ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএস আবাসিক এলাকার বাসা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে সাদেকী গুলশান আড়ং শপিং সেন্টারে যান।

ফেরার পথে রাত সাড়ে ৮টায় তাদের গাড়িটি গুলশানের কালাচাঁদপুর ব্রিজসংলগ্ন চেকপোস্টে এলে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের সহায়তায় সাত-আটজন ব্যাক্তি নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দিয়ে সাদেকীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নেয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।