যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
কয়েকদিন যাবত বিজ্ঞাপনটি দেখছি। তবে বেশ কদিন পুরোপুরি দেখতে পারিনি। যারজন্য বুঝতেও পারছিলাম না এ্যাডটি আসলে কিসের। তবে আর যাই হোক এটা যে বাংলাদেশের কারো তৈরী এ্যড নয় এবং বাংলাদেশের কোন পন্যের জন্যও যে নয় - সেটা মোটামুটি ধরেই নিয়েছিলাম। ক্রমশঃ অবশ্য স্পষ্ট হলো, এবং চমকে গেলাম ভীষণরকমই।
জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গলের প্রাণী। বৃক্ষরাজির মধ্যে জেগে উঠছে কাঠের আসবাব। নান্দনিক সে আসবাবপত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভয়ংকর সারিসৃপ, বানর, ব্যঙ সহ নানা প্রাণী। পন্যটি ঐ আসবাবই, এবং সেটা অটবির।
বিজ্ঞাপনটি দেখে কয়েকটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে।
প্রথম টা অবশ্যই ভালোলাগার। আমি এখনও জানি না এই বিজ্ঞাপনটি কে তৈরী করেছে। তবে প্রত্যাশা করছি এটার আইডিয়াবাজ বা নির্মাতা একজন বাঙালী হোক। এত চমৎকার নির্মাণ আমি বাংলাদেশের কোন পন্য নিয়ে তৈরী হতে দেখিনি। মানে আমার চোখে এটা একমাত্র শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞাপন।
দ্বিতীয় বিষয়টি হলো বনের বৃক্ষ নিধন সম্পর্কিত। আমাদের স্বল্প আয়তনের বনের সবচেয়ে বড় হুমকী কাঠখোরদের ব্যাপক বননিধন। যেখানে বিশ্বব্যাপী আর্টিফিসিয়াল উডের প্রচলন উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং অটবির বৃহৎ কাঁচামাল যতদূর জানি পার্টিকাল বোর্ডই - সেক্ষেত্রে এই বিজ্ঞাপনটিকে মনে হয়েছে বৃক্ষের জন্য হুমকি সরূপ। বনের বৃক্ষরাজি সাবাড় করে আসবাবপত্র নির্মাণের প্রকাশ্য আহবান।
তৃতীয় বিষয়টি হলো আমি নিশ্চিত যে এই বিজ্ঞাপনটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে স্বস্তা বিজ্ঞাপন ফেঁদে বেড়ানো অমিতাভ রেজা বা ফারুকী তৈরী করে নি।
করতে পারেই না। ইমপসিবল। প্রযুক্তি ও শিল্পের এই অভূতপূর্ব মিশ্রন আর যাই হোক এই দুই বিজ্ঞাপন মোঘলের দ্বারা সম্ভব হতে পারে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।