তোকে দেখিনা, কতো হাজার বছর হয়ে গেলো...
বোলিংটা ঠিক ভালো হলোনা। রবিন রান দিলেন অনেক। সাকিব মেহরাব রাসেলরাও গতকাল এলোমেলো হয়ে গেলেন। সর্বকনিষ্ঠ অভিষেক টেষ্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডের সাবেক মালিক মাসাকাদজা ব্যাটিং করলেন চমৎকার। টেইলর খেললেন বলার মতো একটা বিশাল ইনিংস।
সব মিলিয়ে ভালো একটা দিন কাটালো জিম্বাবুয়ে। আর এতেই আমাদের কপালে জুটলো বড়সড় একটা পরাজয়।
আধুনিক ক্রিকেটের একদিবসিয় সংস্করণে ৩২৪রানকে খুব বেশি বড় টার্গেট বলা যায়না। তবে এটা মোটমোটি একটা কঠিন টার্গেট। কঠিন এজন্যই- এই ম্যাচ জিততে হলে আস্কিং রেটের সাথে সখ্য গড়েই ব্যাটিং করতে হবে।
আর বাংলাদেশ দলে এ রকম ব্যাটিং করার মতো ব্যাটসম্যান থাকলেও আসলে নেই। মানে- ক্ষমতা আছে অনেকের, তবে করে দেখানোর সামর্থটা কার আছে তা তো দেখাই গেলো!
তবু বড় টার্গেটের পিছনে ছোটার সাহসটা বাংলাদেশ করতেই পারে। তামিমের মতো হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান যে আমাদের ওপেনার! কিন্তু প্রত্যাশার চাপটা কাল তামিম নেবার সময়ই তো পেলেন না! তারপর আশরাফুল ছিলেন। ছিলেন ‘অধিনায়ক’। আর আমাদের ছিলো জিতার একটা স্বপ্ন।
কিন্তু ওই যে জিম্বাবুয়ের দিন! তাই আর কিছুতেই কিছু হলোনা। আমরা হেরে গেলাম। রকিবের ‘দি ওয়াল’ হয়ে উঠার প্রচেষ্টাটা আবার আমরা দেখলাম। ৭৮ রানের বড় একটা ইনিংস তিনি খেললেন। মুশফিক- আমাদের ‘লিলিপুট’ কিপারও সামর্থের প্রমান দিলেন।
যদিও তা খুব বড় কিছু হয়ে উঠতে পারলো না। একেবারে ব্যাটিংঅর্ডারের প্রান্তসীমায় নেমে রবিন কিছুক্ষণের জন্য ঘোরের মধ্যে রাখলেন আমাদের। টেল এন্ডারে মাশরাফির ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
এই ছোট ছোট অবদানগুলোর পরও শেষ রক্ষাটা হলোনা- আমরা হেরে গেলাম। আসলে আমরা যতোটা না হারলাম, এর চেয়ে বেশি জিতে গেলো জিম্বাবুয়ে।
এই ম্যাচটা হারলাম বলেই সামনের ম্যাচে জেতার পর আমাদের আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশি হবেই। আজ এখন থেকে সে আশাই ক্ষণ গণণা শুরু করলাম…
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।