আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি: ধম্মং শরণং গচ্ছামি: সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি

ফেসবুক আইডি:নাই
বৌদ্ধ ধর্ম বা ধর্ম (পালি ভাষায় ধম্ম) গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক প্রচারিত একটি ধর্ম বিশ্বাস এবং জীবন দর্শন। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দিতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম। বুদ্বের পরিনির্বাণের পরে ভারতীয় উপমহাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার হয়। বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম দুটি প্রধান মতবাদে বিভক্ত। প্রধান অংশটি হচ্ছে হীনযান বা থেরবাদ (সংস্কৃত: স্থবিরবাদ)।

দ্বিতীয়টি মহাযান নামে পরিচিত। বজ্রযান বা তান্ত্রিক মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ও কোরিয়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে। ব্যুৎপত্তি আক্ষরিক অর্থে "বুদ্ধ" বলতে একজন জ্ঞানপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত, জ্ঞানী, জাগরিত মানুষকে বোঝায়। উপাসনার মাধ্যমে উদ্ভাসিত আধ্যাত্মিক উপলব্ধি এবং পরম জ্ঞানকে বোধি বলা হয় (যে অশ্বত্থ গাছের নীচে তপস্যা করতে করতে বুদ্ধদেব বুদ্ধত্ব লাভ করেছিলেন তার নাম এখন বোধি বৃক্ষ)।

সেই অর্থে যে কোনও মানুষই বোধপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত এবং জাগরিত হতে পারে। সিদ্ধার্থ গৌতম এইকালের এমনই একজন "বুদ্ধ"। বুদ্ধের দর্শন বুদ্ধের দর্শনের প্রধান অংশ হচ্ছে দুঃখের কারণ ও তা নিরসনের উপায়। বাসনা সর্ব দুঃখের মূল। বৌদ্ধমতে সর্বপ্রকার বন্ধন থেকে মুক্তিই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য।

এটাকে নির্বাণ বলা হয়। নির্বাণ শব্দের আক্ষরিক অর্থ নিভে যাওয়া (দীপনির্বাণ, নির্বাণোন্মুখ প্রদীপ), বিলুপ্তি, বিলয়, অবসান। এই সম্বন্ধে বুদ্ধদেবের চারটি উপদেশ যা আর্যসত্য (পালিঃ চত্বারি আর্য্য সত্যানি) নামে পরিচিত। তিনি অষ্টবিধ উপায়ের মাধ্যমে মধ্যপন্থা অবলম্বনের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। পরকাল বুদ্ধ পরকাল সম্বন্ধে বিশদভাবে কিছু ব্যাখ্যা করেন নি।

কিন্তু পরকালে অস্তিত্ব অস্বীকার করেন নি। দেহ কি আত্মা হতে অবচ্ছিন্ন বা মৃত্যুর পর আত্মা থাকে কিনা, এইসব প্রসঙ্গ তিনি এড়িয়ে গেছেন। হাতী সম্বন্ধে যেমন অন্ধের কোনও সঠিক জ্ঞান হয় না, বিভিন্ন অন্ধের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়, তেমনই যে বিষয় প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণ করা যায় না, সে বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট করার কোনও প্রয়োজন নেই বলে তিনি মনে করতেন। বৌদ্ধধর্মের মূলনীতি চতুরার্য সত্য * যথা দুঃখ * দুঃখ সমুদয়: দুঃখের কারণ * দুঃখ নিরোধ: দুঃখ নিরোধের সত্য * দুঃখ নিরোধ মার্গ: দুঃখ নিরোধের পথ অষ্টাঙ্গিক মার্গ * সম্যক ধারণা * সম্যক সংকল্প * সম্যক বাক * সম্যক আচরণ * সম্যক জীবনধারণ * সম্যক মনন * সম্যক ধ্যান ত্রিশরণ মন্ত্র আর্যসত্য এবং অষ্টবিধ উপায় অবলম্বনের পূর্বে ত্রিশরণ মন্ত্র গ্রহণ করতে হয়। এই মন্ত্রের তাৎপর্য: * বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি - আমি বুদ্ধের শরণ নিলাম।

বোধি লাভ জীবনের মূখ্য উদ্দেশ্য। বুদ্ধত্ব মানে পূর্ণ সত্য, পবিত্রতা, চরম আধাত্মিক জ্ঞান। * ধম্মং শরণং গচ্ছামি - আমি ধর্মের শরণ নিলাম। যে সাধনা অভ্যাস দ্বারা সত্য লাভ হয়, আধ্যাত্মিকতার পূর্ণ বিকাশ হয় তাই ধর্ম। * সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি - আমি সঙ্ঘের শরণ নিলাম।

যেখানে পূর্ণ জ্ঞান লাভের জন্য ধর্মের সাধনা সম্যক্ ভাবে করা যায় তাই সঙ্ঘ। সুত্র:বাংলাউইকি
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।