তবু তুই রয়েছিস বলে, ঘাসফুলে জল দোলে...
গতরাতে আমার নিশীথ রাতের বাদলধারা শুনতে শুনতে উইকিপিডিয়া পড়ছিলাম। নাকি উইকিপিডিয়া পড়তে পড়তে ওটা শুনছিলাম!
যা হোক, শাহানার কন্ঠে রবীন্দ্রসংগীত এতো বেশি মানায় যে- তা শুনতে শুনতে অন্য কিছুতে মনোযোগ দেয়াটা অসম্ভব। আমার বেলায়ও ব্যতিক্রম নয়। ব্যতিক্রম নয় বলেই উইকিপিডিয়ার জ্ঞানসমুদ্র থেকে বেরিয়ে পুরোপুরি রবীন্দ্রসরোবরে ডুব দিলাম...
শাহানার নতুন করে পাবো বলে এলবামটাই শুনছিলাম বারবার। যতোই শুনছি ততোই যেনো নতুন মনে হচ্ছে প্রত্যেকটা গান।
আসলে রবীন্দ্রনাথের গানের কথাগুলো এতো বেশি হৃদয়স্পর্শী যে- একবার শুনলেই মনের ভিতর ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। আমি রবীন্দ্রসংগীত আগে খুব একটা পছন্দ করতাম না। এখন করি, এবং ঐ হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া ভালোবসা থেকেই এই পছন্দ করা।
০২
শত-সহস্র ভালোবাসার গানের স্রষ্টা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আজ মহা প্রয়ান দিবস। ৬৮ বছর আগে আজকের এই ২২শে শ্রাবণ তিনি ধরাধমের সব মিছে পিছুটান ছেড়ে চলে যান।
যাবার সময় তিনি আমাদের জন্য রেখে গেছেন তাঁর সকল অনবদ্য সৃষ্টি। গান, কবিতা, নাটক, গল্প আরো কত কী! গল্পের কথা বললে মনের অজান্তেই হৈমন্তীর কথা মনে পড়ে যায়! না পড়েই বা কোথায় যায়! হৈমন্তী পড়েই তো বড় হলাম!
শিল্প-সাহিত্যের প্রত্যেকটা শাখায় রবীন্দ্রনাথের যেমন অবাধ পদচারণা ছিলো, বোধ করি পৃথিবীর অন্য কারো বেলায় এমন হয়নি।
রবীন্দ্রনাথ স্বীয় প্রতিভায় এতোটাই স্বমুজ্জ্বল ছিলেন যে, তিনিই প্রথম বাঙালী ও এশীয় নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক। বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জাতীয় সংগীতের রচয়ীতা তিনি। পৃথিবী অন্য কোন সাহিত্যেকের দুই দেশের জাতীয় সংগীতের রচয়ীতা হওয়ার গৌরব নেই।
রবীন্দ্রনাথ আজ আর এ ধরার বুকে নেই। তবু তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন তাঁর কীর্তিতে, তাঁর কর্মে। তিনি বেঁচে থাকবেনও সহস্র বছর...
আজ কবিগুরুর প্রয়ান দিবসে তাঁর জন্য রইলো হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।