পড়ছি বেশি, লিখছি কম...
(এই লেখায় আমি আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিমত ব্যবহার করেছি। কারো ধর্মীয় অনুভূতিকে আহত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। )
আমাদের ছোটবেলায় যে কারণে শবে বরাত সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় ছিল তা হচ্ছে আতশবাজি এবং পটকা। বছরের এই একদিনের জন্যে আমরা অপেক্ষা করতাম সারাটি বছর। সন্ধ্যার সাথে সাথে যে আলোক ঝলকানি শুরু হতো তা নেহায়েত ভুলে যাবার মত নয়।
যদিও বিগত কিছু বছরের জঙ্গীবাদ এবং দেশময় নিষ্ঠুর বোমা হামলার কারণে প্রশাসণের উপর্যৃপরি হস্তক্ষেপে এবং জনসচেতনতায় অনেকাংশেই বন্ধ হয়েছে শবে বরাতের এই আকর্ষণীয় কর্মকান্ড। যদিও পটকা, আতশ বাজি এবং বোমা এক বস্তু নয়।
মূল ইসলামে 'শবে বরাত' নামক কোন বিশেষ রজনীর যে উল্লেখ নাই তা প্রচার পাচ্ছে মাত্র কয়েক বছর পূর্ব থেকে। এই উপমহাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ধর্মীও অনুষ্ঠান হিসেবেই তারপরও 'শবে বরাত' পালিত হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। সম্ভবত হিন্দুদের 'দোল' বা এ জাতীয় কোন অনুষ্ঠানের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে এ অঞ্চলে এর প্রবর্তন হয়।
অনুষ্ঠানিকতার দিক দিয়ে এদের মধ্যকার সাদৃশ্য চোখে পরার মত।
যাই হোক আমার কছে শবে বরাতের সামাজিক গুরুত্ব অনেক বেশি। এর ধর্মীয় গুরুত্ব নিয়ে কিছু বলছি না, কারণ এটি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হচ্ছে। কিন্তু সামাজিক গুরুত্ব নিয়ে আপাতত কোন বিতর্ক দেখছি না। ভাল-মন্দ খানাপিনা, হালুয়া রুটি বিলানো, আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা সাক্ষাত - সবই সামাজিক সম্প্রিতি বৃদ্ধি করে।
তবে আতশবাজি এবং পটকার ব্যবহার হ্রাস না হলেই যেন ভাল হতো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।