অনেক চেয়েও দূরে ঠেলে দিতে পারিনি নাবিক পিতার হাত ।
চেয়েছিলাম ছুঁয়ে দেখতে জলের জন্মযাত্রা। বহুবিধ বিরহের
পথচেয়ে থাকা চাঁদের নৈরাশ্য আর নিকট নক্ষত্রের প্রতিবেশী মাঠ।
তা পারিনি। বরং এর বদলে স্পর্শ করেছি জাহাজের পাটাতন।
জমাট শ্যাওলার সংসার আর লবণাক্ত পাথরের ফেনা। কিছু ঢেউ
আর কিছু ছায়ার পাতাল। লালবর্ণ চোখগুলো। চাহনীর মুগ্ধ তমসা।
আমাকে এভাবেই বরণ করতে হয়েছে পুষ্পের হিমপ্রথা।
প্রকীর্ণ
বর্ষার মেয়াদে সাজিয়েছি কয়েকটি খোলাখাম। চিঠির চৈতন্যে
জাগা শব্দের বাগান। আর আমার বিপরীতে ভাসা চন্দ্রপক্ষের উঁকি।
তারপর ; মনে আছে - চিতার ভষ্ম থেকে উড়িয়েছি আরো কিছু ছাই
দরিয়ার দুঃখসূত্র খোঁজে, সন্ধ্যায় একাই সেরেছি অবৈধ ভজন। সায়াহ্নে
দাঁড়িয়ে থেকেছি সমুদ্রসীমানায়।
আবারও স্পর্শ করতে অলকার হাত।
ছবি- ইভা জোন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।