জপমালা
১.
আমিও বুভুক্ষু ছিলাম, আমারও তৃষ্ণা ছিলো
তোমার নির্দয় হাতদ্বয়ে ছিলো আহার ও জলের ভরা...
দৃষ্টিদ্বয় অন্যত্র ছিলো গেঁথে, বিধায়
তোমার অন্ধত্বের রোষানলে আমার সর্বস্ব পুড়ে ছাই...
এ-বিধান বড়ো কঠোর জেনেছি
তোমার চাতক-মন, তবু সুদূরের পানে চেয়ে থাকে
লোভাতুর প্রাণ, প্রাণষ্পদ তোমারেই চায় বারেবারে।
২
এমন পৌষিক আকাশ দেখে মানুষেরা কবি হয়ে ওঠে
বৃক্ষের বাহুতে বাজে রাগলহরী এক দুই ধীস্বর...
ধনেশ্বর পাখিদের কুহু ভরে ওঠে গানে- গানে
নদীসঙ্গমে মেতে ওঠে যৌবনবতী মনি
প্রেমময় মানুষের বুক শূন্যগর্ভে আলুথালু করে।
৩.
এহেন দীর্ঘজীবন, তবু সন্তর্পণ...
কে যেনো করেছে চুরি
এ-ভাবে ওভাবে। বায়ুর বন্ধন ছিঁড়ি
কে যেনো পালাতে চায়, অহরহ আর
আহ্লাদ করে মায়ার আংটায় তবু
কেহ-কেহ দেয় গিট, বড়োই শক্তগিট।
৪. তুমি চুম্বন দিলে সুতানলা নেচে যায়
রক্তস্রোতে ভেসে যায় হিন্দোল কথা
উজান পথের নদী
ডানা ও পাখনা মেলে উড়ে যায় বহুদূর, দিগন্তগ্রামে
জল ও জলস্রোতে
কেবলই খবি খায় নীল-নীল বিনাশ পোকা
তোমার ঠোঁটে সুতানলা আর আমার চুম্বন
এক ও অভিন্ন হয়
দীর্ঘ ফণার নিচে ঝলমল করে, অধীম গ্রহ এক
আমাদের চুমুকের নিগুঢ় দাগ, গাঢ় চিহ্ন-সমষ্টি
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।