আদর্শটাকে আপাতত তালাবন্ধ করে রেখেছি
এই ছড়াটির সাথে সম্ভবত সবাই পরিচিত। বিশেষ করে জেমসের একটি গানে ছড়াটি ব্যবহৃত হওয়ার পর অনেকেই এটি সম্পর্কে জেনেছেন। বাংলাদেশে যে কয়টি ছড়া প্রায় সবখানেই প্রচলিত, এটি তার একটি। তবে অঞ্চলভেদে এর অন্তর্গত শব্দের পার্থক্য ছড়াটিকে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় ভিন্নতর রূপে উপস্থাপন করে। মোহনগঞ্জ ও তার আশপাশের এলাকায় ছড়াটি বলা এভাবে-
ওপেনটি বাইস্কোপ
নাইন টেন তেইশকোপ
সুলতানা বিবিয়ানা
লাট্টু বাবার বৈঠকখানা
লাট বলেছে যেতে
পানসুপারি খেতে
পানের আগায় মরিচ বাটা
ইশকুল ঘরের চাবি আঁটা
যার নাম রেণুবালা
তারে দিলাম মুক্তার মালা।
শব্দের অর্থ
লাট্টু = সাহেব শব্দের একটি ভিন্নরূপ
ছড়ার ব্যাখ্যা
এই ছড়াটি মূলত ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা একটি বিশেষ খেলায় ব্যবহার করে। খেলায় ছেলেমেয়েদের দুজন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হাত উঁচু করে গেট বা তোরণ তৈরি করে। বাকিরা পরস্পরের কাঁধে হাত রেখে মানবশিকল তৈরি করে এবং ছড়াটি বলতে বলতে তোরণের ভেতর প্রবেশ করতে থাকে। এভাবে ছড়াটি বলতে বলতে যখন ‘মুক্তার মালা’ বলা হয়, তখন তোরণ তৈরিকারী দুজন তোরণের ভেতর যে অবস্থান করে তার গলায় হাতের মালা পরিয়ে দেয়, যার অর্থ এই খেলা থেকে তার মুক্তি। এভাবে খেলাটি চলতেই থাকে।
সর্বশেষ যে দুজন থেকে যায়, তাদেরকেই পরবর্তীতে তোরণ তৈরি করে দাঁড়াতে হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।