আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আইটি ও সোস্যাল নেটওয়াকিং

আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।

আইটি ও সোস্যাল নেটওয়াকিং তথ্যপ্রক্তির বর্তমান সময়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি পেশাজীবী মানুষও ইন্টারনেট ব্যবহার করছে প্রতিদিন ৷ইন্টারনেটে লেখা, পড়া, গবেষণা, চিকিৎসাসহ জ্ঞান বিজ্ঞানের বিচিত্র সমাবেশকে কাজে লাগানোর চেষ্টা প্রতিনিয়ত ৷ প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে ইন্টারনেটের বিশ্বে সংযোজিত হচ্ছে নিত্য নতুন তথ্যপ্রযুক্তির সেবা ৷এমনই এক সেবার বহিঃপ্রকাশে জন্ম নিয়েছে ওয়েবভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। যেভাবে শুরু মার্ক জুকারবার্গ নামটা বর্তমান সময়ে বেশ আলোচিত ৷বিভিন্ন পত্রিকায় এ যুবকের কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক আলোচনা, অনেক গুঞ্জন ৷ মজার ব্যাপার হলো, মার্কের লেখাপড়াটা আর শেষ হলো না, হয়তো শেষ হবে ৷যদিও বিল গেটসের বেলায় ড্রপ আউট কথাটা সত্য রয়েই গেল ৷মার্ক ইলিয়ট জুকারবার্গের জন্ম ১৯৮৪ সালের ১৪ মে, আমেরিকান এক পরিবারে ৷নিউইয়র্কের, ডবস ফেরি-তে বড় হয়ে ওঠা জুকারবার্গ ফিলিপস ইকসিটর একাডেমিতে পড়ার সময় মাইক্রোসফটে কাজ করার সুযোগ পায়৷হাইস্কুল পড়ুয়া ছাত্র জুকারবার্গ মাইক্রোসফটে কাজ করছে, এটা আনন্দেরই বিষয়৷ বিভিন্ন কাজের জটিল কৌশল দ্রুত রপ্ত করে জুকারবার্গ ভর্তি হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই বিভিন্ন ক্লাস প্রজেক্টের কাজে তার পারদর্শিতা তাকে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক নেটওয়ার্ক তৈরিতে উপযোগী করে তোলে ৷অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি ভাঙ্গার অপরাধে তাকে অনেক তিরস্কার শুনতে হয়েছে ৷ লেখাপড়ার সময়ে ২০০৪ সালে তার ডরমিটরিতে প্রথম ফেসবুক নামের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের একটা সাইট হোস্টিংয়ের পর এক সপ্তাহে হার্ভার্ডের দুই-তৃতীয়াংশ ছাত্রছাত্রী সবাই আগ্রহী হয়ে ওঠে জুকারবার্গের এই অভিনব ব্যবস্থাপনায় ৷হার্ভার্ড ছাড়িয়ে আরো ৩০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে ফেসবুক সবচাইতে আলোচিত ওয়েবসাইট আজ ৷মার্ক জুকারবার্গ বিশ্বের সবচাইতে কমবয়সী ধনকুবের ৷২৩ বছর বয়সী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ ছাত্রের ব্যক্তিগত ধনসম্পদের পরিমাণ দেড়শ কোটি ডলার ৷ফর্বস পত্রিকার জরিপে ফেসবুক-এর মূল্য আনুমানিক ১৫০০ কোটি ডলার ৷ এর ৩০ শতাংশ মালিকানা জুকারর্বার্গের। তথ্যপ্রযুক্তি ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কি তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার আর প্রতিদিনের জীবনে এর ব্যবহার আজ এই একবিংশ শতাব্দীতে মানুষের পারস্পরিক ভাব বিনিময় থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত তথ্য আদানপ্রদানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করেছে ৷উদ্ভাবন হচ্ছে নিত্যনতুন প্রযুক্তির ৷সেবা সবচেয়ে সেরা ধর্ম ৷তথ্যপ্রযুক্তির বিকেন্দ্রীকরণেও এর ব্যতিক্রম নেই ৷এ প্রসঙ্গে বলতে গেলে সমাজব্যবস্থায় আজকের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে ৷বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তির সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট, গুগল, ইয়াহু সবাই এই সেবায় অংশীদারিত্ব দাবি করছে প্রতিনিয়ত ৷এমনই এক সেবার নাম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং বা তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা ৷সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের মানে বলা যায় সামাজিক বন্ধন সৃষ্টি, তবে এই বন্ধন ইন্টারনেটনির্ভর ৷ ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক জালক বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের দ্রুততর প্রসারের ব্যাপ্তি গত দুই-তিন বছরে বিশেষভাবে লক্ষণীয় ৷ বিশেষত মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের সাথে সমাজের মূল স্রোতধারায় পারস্পরিক এই ভাববিনিময় ইন্টারনেটনির্ভর, যেখানে রাত দিনের কোনো প্রশ্ন নেই ৷পাশাপাশি সব প্রচার মাধ্যমে এ ইন্টারনেটভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা ব্যাপক আলোচনায় উঠে এসেছে ৷এর গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রয়োগ মানুষের এক ভিন্নতর জীবনের প্রতিচ্ছবি ৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলোকে সামগ্রিকভাবে বলা যেতে পারে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ৷একজন ব্যবহারকারী নিজের পছন্দমতো প্রোফাইল তৈরি করতে পারে এবং আমন্ত্রণ জানাতে পারে তার বন্ধুদের ৷এই প্রোফাইল পেজটি ব্যবহারকারীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে পরিণত হয়৷ ব্যবহারকারীর জন্ম তারিখ, ধর্ম, বর্ণ, ঠিকানা থেকে শুরু করে তার পছন্দের ছবি, প্রিয় পঙক্তি, পছন্দের মানুষের তালিকা, অবসরে পছন্দের সময় কাটানোর পরিসর এ প্রোফাইল পেজে চিত্রায়িত করে ৷প্রোফাইল পেজটি ব্যবহারকারী নিজের পছন্দমতো ডিজাইন করতে পারে ৷নিজের ইচ্ছেমতো ছবিভিত্তিক ক্লিপিং বা পছন্দের গান সংযোজন করতে পারে ইন্টারনেটভিত্তিক এই ব্যবস্থার কেন্দ্র হচ্ছে এই প্রোফাইল পেজ ৷ ব্যবহারকারী এ প্রোফাইল পেজটির মাধ্যমে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে এবং আমন্ত্রণ জানায় বন্ধুদের ৷বন্ধুরাও অনুরূপ নিজেদের প্রোফাইল পেজ তৈরি করে এবং তাদের বন্ধুদেরকে আমন্ত্রণ জানায় ৷এই বন্ধুরা সবাই অনলাইন বন্ধু ৷বন্ধুদের যোগাসূত্রে তৈরি হয় অনলাইন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের বির্বতন : বিশ্ব ও বাংলাদেশ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের ইতিহাস অনেক পুরনো ৷মানুষ সমাজবদ্ধ প্রাণী ৷এ জন্যই অনেক দিক থেকেই এ সোশ্যাল নেটওয়ার্কভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলোর ধারণা খুব নতুন নয় ৷ইন্টারনেটের জন্মলগ্ন থেকেই মানুষ যোগাযোগের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে নানাভাবে ৷ই-মেইল, কথোপকথন, ফোরাম, বার্তা, নিজস্ব ওয়েবসাইট ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যম এর উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত ৷১৯৯০-এর দশকের শেষ ভাগের অনেক ওয়েবসাইটকে তুলনা করা যেতে পারে বর্তমানের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের সাথে ৷শোনা যায়, ফ্রেন্ডস্টার (FriendSter) হচ্ছে প্রথম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ৷এর আবির্ভাব হয় ২০০২ সালে ব্রিটেনে ৷২০০৫ সালে ব্রিটেনের টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভি ১২ কোটি পাউন্ডে সাইটটি কেনার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে ৷২০০৩ সালে আত্মপ্রকাশ করে LinKedIn, MySpace এবং Hi5 নামের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ৷ক্রমেই প্রসার লাভ করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কভিত্তিক সাইটগুলোর নানা দিক ৷২০০৪ সালে ভিন্নমাত্রা সংযোজন করে Filckr, Piczo এবং Facebook, তবে শুধু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবহারকারীদের জন্য ৷এ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো শেয়ারিং সেবাসহ অন্যান্য সেবা দেয়। Facebook সবার জন্য উন্মুক্ত করে অনেক আকর্ষণ ৷নিত্যনতুন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য SagaZone ৷যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের সূচনা ২০০৭ সালে ৷পঞ্চাশোর্ধ বয়সের মানুষের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট সমাজ ব্যবস্থার বিশ্বায়নের ফলাফল ৷ বিশ্বের ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবস্থার এ আন্দোলনে আমরা শরিক হয়েছি মাত্র ৷বাংলাদেশের ইন্টারনেটভিত্তিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের পথিকৃৎ Hott Media Limited ২০০৪ সালে প্রথম ছবি শেয়ারিংয়ের সোশ্যাল নেটওয়ার্কভিত্তিক ওয়েবসাইট তৈরি করে ৷এর পাশাপাশি ২০০৫ সালে Somewherein- এর সোশ্যাল নেটওয়ার্কভিত্তিক সেবা দেয়া বাংলা ব্লগ সার্ভিস উল্লেখযোগ্য ৷একই সময়ে এই দলে যোগ দেয় Amanspace, CircleBD, Bondhu.Net এবং MyBanglaSpace, প্রথমআলো ব্লগ ৷ আমাদের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং আধুনিক বিশ্বের তুলনায় পিছিয়ে আছে এবং এর যথেষ্ট কারণ রয়েছে ৷আজকের এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের বিশ্বব্যাপী প্রসার ঘটার উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে ৷ উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে বলতে হয় বাসাবাড়িতে ইন্টারনেটের ব্যবহার, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ এবং এর সুলভ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ৷দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার কারণে সম্ভব হচ্ছে ছবি এবং অন্যান্য মাধ্যমের তথ্যের বিনিময় ৷বিশেষ করে বর্তমান সময়ে ছবিভিত্তিক তথ্যের ব্যাপক সমাহার ঘটেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েব সাইটগুলোতে ৷দ্বিতীয়ত, সবার কমপিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞান আহরণ সমৃদ্ধ হয়েছে এবং এ সম্পর্কিত প্রযুক্তি ব্যবহারে নির্ভরতা বেড়েছে ৷অনেকাংশে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয় ধারণা সম্পর্কিত কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে প্রভাবিত করেছে ৷তৃতীয় উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ব্যবহারকারীভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তির সেবার উন্নয়ন এবং প্রণয়ন ৷কমপিউটার প্রোগ্রামগুলো ব্যবহারকারীর সর্বোচ্চ সুবিধা বিবেচনা করে তৈরি হচ্ছে, যাতে করে ব্যবহারকারী নিজের সুবিধামতো প্রয়োজনীয় ছবি এবং তথ্যাদি সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারে ৷সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের ব্যবহার সামগ্রিকভাবে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের জন্য আরো সমৃদ্ধ পরিসর তৈরি করেছে ৷ ফলে সফটওয়্যার তৈরিতে প্রকৌশলীরা পারদর্শিতা অর্জন করছে ৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের বিশ্বব্যাপী প্রসার ও ব্যবহার এবং নানা বর্ণ, গোত্র, বয়সের বিচিত্র সংমিশ্রণ এই ব্যবস্থাকে অনেক প্রাণবন্ত করে তুলেছে ৷বর্তমান সময়ে এর সাথে যোগ হয়েছে নিরাপত্তাহীনতা ৷ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সমাজ ব্যবস্থার খুবই প্রয়োজনীয় উপকরণ ৷ওয়েব ভিত্তিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নেই ৷ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ওয়েবভিত্তিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে যথেষ্ট উদ্যোগী, বিশেষ করে ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কিত বিধান প্রণয়নে ৷সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য প্রয়োজন ইন্টারনেট কানেকশন ৷দ্রুতগতির ইন্টারনেট কানেকশন ও ব্রডব্যান্ড কানেকশন এই নেটওয়ার্কিংয়ের প্রয়োজনীয় কাজকে সমৃদ্ধ করে ৷সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের মূল কাজে অংশ নেয়ার পূর্বশর্ত ভালো ইন্টারনেট সংযোগ ৷২০০৮ সালের এক জরিপে বলা হয়, ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীরা বাসাবাড়ি থেকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বেশি অংশ নেয় ৷যদিও কিছু কিছু স্কুল, লাইব্রেরি ও প্রতিষ্ঠান এসব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করছে, তথাপি বাসাবাড়ি থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব বাড়াতে এ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে সদস্যের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে ৷ আনুমানিক দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৬৪ শতাংশ বাসায় ইন্টারনেট ব্যবহার হয়, যদিও বয়স ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এর ভিন্নতা আছে ৷৬৫ বয়সোর্ধ্ব ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ৷কম বয়সসীমার ব্যবহারকারীরাই এর সর্বোচ্চ ব্যবহারকারী, যা শতকরা ৩৩ ভাগ ৷এ জরিপে যুক্তরাজ্যের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বয়সসীমা এবং আর্থ-সামাজিক কাঠামোর ভিত্তিতে ভিন্নতা প্রতিফলিত ৷আমাদের বর্তমান সময়ের বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর জরিপ এবং এর ভিত্তিতে কার্যক্রম প্রণয়ন অপরিহার্য ৷ যুক্তরাজ্যের অপর একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান AdKg (Ofcom) অতি সম্প্রতি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলো নিয়ে গবেষণা করে ৷এ গবেষণা জরিপে সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিক থেকে তিনটি জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের নাম আসে ৷এগুলো যথাক্রমে ফেসবুক, মাইস্পেস এবং বিবো ৷ব্যবহারকারীদের শতকরা ৬২ ভাগ ফেসবুক-এর সদস্য ৷বাকীগুলোর মধ্যে শতকরা ৩৫ ভাগ মাইস্পেস ও বিবোর সদস্য ৷এর মধ্যে ব্যবহারকারীদের শতকরা ৩৯ ভাগ দুই বা তথোধিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের সদস্যভুক্ত। এ সমীক্ষায় দেখা যায়, বাচ্চাদের শতকরা ৬৩ ভাগ ব্যবহারকারী বিবোর সদস্য ৷শতকরা ৩২ ভাগ বাবা-মা বিবোর ব্যবহারকারী ৷আবার শতকরা ৪১ ভাগ বাবা-মা ফেসবুক-এর ব্যবহারকারী ৷শতকরা ১৮ ভাগ সন্তান ফেসবুক ব্যবহার করে ৷কিন্তু মাইস্পেস এবং এমএসএন গ্রুপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এই ব্যবধান অনেক কম ৷ এ ধরনের গবেষণা কার্যক্রম শিক্ষা, বাণিজ্য, রাজনীতি ও সমাজ তথা গোটা জাতির জন্য অনেক দিকনির্দেশনামূলক ৷শিক্ষার প্রসার, ব্যবসায়ের নতুন দিকনির্দেশনা, রাজনীতির নতুন পটভূমি রচনা এবং সমাজের সংশোধনে যথাযথ তথ্য-উপাত্ত অনেক অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে ৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের ব্যবহার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ব্যবহারকারীর জন্য সব ধরনের আনুষাঙ্গিক নির্দেশনা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া থাকে ৷সর্বপ্রথম রেজিস্ট্রেশনের কাজ ৷এ কাজের জন্য প্রয়োজন ইন্টারনেট সংযোগ এবং নিজস্ব ই-মেইল ৷রেজিস্ট্রেশনের পরে প্রথম কাজ হলো প্রোফাইল সেট করা ৷প্রোফাইল তৈরি করা একান্তই ব্যক্তিগত এবং প্রতিটি সদস্যের প্রোফাইল পেজটি একদম স্বতন্ত্র ৷নিজের ব্যক্তিগত তথ্য নাম, ঠিকানা, যোগাযোগের বৃত্তান্ত, ধর্ম, বর্ণ এবং সেই সাথে পছন্দ-অপছন্দের প্রতিটি বিষয় এ প্রোফাইল পেজে অন্তর্ভুক্ত ৷প্রোফাইল পেজটি অন্যের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ৷প্রোফাইল পেজটি দেখতে কেমন হবে, ছবি সংযোজন এবং অন্যান্য ফিচার পরিবর্তন করে ব্যবহারকারী এটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে পারে ৷কবির ভাষায় বলতে হয়, ওয়েবের ক্যানভাসে আত্মপ্রতিকৃতি ৷ প্রোফাইল পেজ তৈরির পর ব্যবহারকারীরা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের মূল কাজ নেটওয়ার্কিং শুরু করে ৷বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানানো এবং বন্ধুদের আমন্ত্রণ রক্ষার মাধ্যমে বন্ধুদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয় ৷বন্ধুদের এক সুবিশাল নেটওয়ার্ক ৷ জানা বন্ধু, অজানা বন্ধু, পুরনো বন্ধু, বন্ধুর খোঁজে বন্ধু, এক অনবদ্য বন্ধু বৎসল নেটওয়ার্ক ৷আর সবাই যেনো এক সুতায় গাঁথা ৷ভিন্ন দেশ, ভিন্ন সভ্যতা, ভিন্ন বর্ণ, গোত্র, ভিন্ন ধর্ম, কিন্তু এক ও অভিন্ন মিলনমেলা ৷একে অন্যের সাথে ভাবের, ভাবনার ও তথ্যের বিনিময়ের মধ্যদিয়ে সৃষ্ট এক অপূর্ব বিশ্বমেলা, যেখানে কোনো ভেদাভেদ নেই ৷কোনো সীমারেখা নেই ৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের এটাই মূল কথা ৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের সদস্যদের অনেক কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো প্রোফাইল পেজ দেখা ৷প্রোফাইল পেজ দেখার অনেক দিক আছে ৷এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় আর জ্ঞানের ভান্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করা ৷কোনো কোনো সমৃদ্ধ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বন্ধুদেরকে শ্রেণীবিভাজন করে এবং জনপ্রিয়তার একটি তালিকা তৈরি করে ৷বন্ধুদের সাথে খোলামেলাভাবের তথ্যের বিনিময় এবং চেনা-অচেনা গন্ডির আবর্তে পরিভ্রমণে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়ত উন্নয়ন করছে আত্মসচেতনতা ৷নিজেদেরকে বহিঃপ্রকাশ করার এমন সহজ আর আর কি ই-বা হতে পারে? সোশ্যাল নেটওয়ার্ক তৈরি একটি চলমান প্রক্রিয়া ৷নিজস্ব প্রোফাইল এবং সাইট তৈরির কাজ শেষ হলে শুরু হয় যোগাযোগ ৷যোগাযোগের অনেক মাধ্যম রয়েছে ৷সাঙ্কেতিক চিহ্ন, ছবি, ভিডিও, ই-মেইল নানা মাধ্যমে যোগাযোগ হতে পারে ৷আবার ফোরাম বা কারো দেয়ালে লেখার মাধ্যমে টেক্সটভিত্তিক যোগাযোগ স্থাপন হতে পারে ৷ব্যবহারকারী এই যোগাযোগ প্রোফাইল পেজের মাধ্যমে সরাসরি দেখাতে পারে ৷নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে যে যোগাযোগের কাজ সবচেয়ে বেশি হয় তা হলো কথা, যাকে আমরা বলি কথোপকথন ৷এই কথোপকথনের ভুবনে বন্ধু, চেনা-অচেনা, পরিবারের নিকটাত্মীয় থেকে শুরু করে সবাই কথার মালা তৈরি করে ৷ দৈনন্দিন এই কথার ভুবনে সবাই একে অন্যের সাথে কথা বলে ৷ অপর এক জরিপে প্রকাশ, ৪৭ শতাংশ ব্যবহারকারী পুরনো বন্ধুদের সাথে কথা বলে এবং শতকরা ৩৫ ভাগ নতুন বন্ধুর সাথে কথা বলে ৷ উল্লেখযোগ্যভাবে শতকরা ১৭ ভাগ ব্যবহারকারী কথা বলে অপরিচিত বন্ধুদের সাথে। বন্ধু তৈরি এবং যোগাযোগের পাশাপাশি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর রয়েছে ভিন্নমাত্রার আয়োজন ৷সবার সার্বিক অংশ নেয়ার মাধ্যমে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো হয়ে উঠছে ভিন্ন মাত্রার এক সাইবারপল্লী ৷এ পল্লীতে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে জন্ম নিচ্ছে নতুন তথ্যপ্রযুক্তির সম্ভার ও প্রযুক্তির প্রয়োগ ৷ব্যবহারকারী নতুন প্রিয় গান, ছবি, ভিডিও গেম, উপহারসহ আরো নানা বিষয় ইচ্ছেমতো সংযোজন করতে পারে ৷সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে এই নেটওয়ার্কিংকে শিক্ষা, বাণিজ্য, রাজনীতি ও সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সফলভাবে প্রয়োগ করার প্রচেষ্টাও লক্ষণীয় ৷এ প্রচেষ্টার মূলে রয়েছে সামাজিক সম্পর্ককে সফলভাবে কাজে লাগানো এবং মানুষের সফল নেটওয়ার্ক আদান-প্রদানকে বাহন করে উন্নয়নের ধারাকে প্রতিষ্ঠিত করা ৷ নতুন প্রজন্মকে উন্নয়নের মূলধারার সাথে একাত্ম করা দেশ ও জাতির একান্ত পরিহার্য ৷সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের প্রয়োগ এ কাজকে সুন্দরভাবে সমাধা করতে পারে ৷ব্যক্তিগত প্রোফাইল পেজের পাশাপাশি কোনো কোনো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট পছন্দের গ্রুপ প্রোফাইল তৈরিতে সহায়তা করে ৷এই গ্রুপ প্রোফাইলে ব্যবহারকারী স্বাচ্ছন্দ্যে বন্ধুদেরকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে এবং প্রতিনিয়ত গ্রুপের আওতায় বিভিন্ন তথ্য ও পারস্পরিক সোহার্দ্য বিনিময় করতে পারে ৷ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে রয়েছে অনেক গ্রুপ, পছন্দের ব্র্যান্ড, ভৌগোলিক অবস্থান, কর্মকান্ড, সামাজিক বিষয়াদি, রাজনীতি এবং আরো কত কি ৷অনেকের ধারণা, এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে প্রাণের সঞ্চার ঘটাতে পারে, যা শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র ৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের বাস্তব প্রয়োগের আরো একটি দৃষ্টান্ত হলো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং স্টপ দ্য ফিক-এর সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গ্রুপ ৷এই গ্রুপের মাধ্যমে যাবতীয় প্রচারণার কাজ সম্পাদন করছে আন্তর্জাতিক এসব প্রতিষ্ঠান ৷২০০৭ সালের অক্টোবরে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বার্মার বৌদ্ধ ভিক্ষুদের গ্রুপে ৪ লাখেরও বেশি ভিক্ষু যোগ দেয় ৷সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে যথেষ্ট অবদান রাখে ৷ জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতির ক্ষেত্রে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের প্রয়োগ লক্ষণীয় ৷২০০৮-এর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে নতুন প্রজন্মকে রাজনীতির মূলধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য এবং প্রতিনিধি প্রচারণায় সফলভাবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংকে ব্যবহার করা হয়েছে ৷সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংকে রাজনীতির সাথে সংযুক্ত করার জন্য প্রয়োজন রাজনীতিবিদদের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রোফাইল তৈরি করে অনুসারীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার, পরিবর্তন আর পরিমার্জন তথা জাতীয় বিষয়ে তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধ আনা ৷সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মানুষের নেটওয়ার্কিং ৷এক থেকে হাজার হাজার কোটি মানুষের বন্ধুত্ব আর পরিচিতি এর ভিত্তি ৷ ব্যবসায়ের জন্য প্রয়োজন বিপণন ও প্রচার ৷আর এ কাজে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সফলভাবে ব্যবহার করা সম্ভব ৷বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সফলভাবে ব্যবহার হতে পারে ৷একজন নিয়োগ কর্মকর্তা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের সহায়তায় যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরো ত্বরান্বিত করতে সক্ষম ৷ব্যবসায়ের এবং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কর্মকান্ডকে আরো সুদৃঢ়ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব ৷গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ৷Customer Relationship Managment System : CRMS নামের ব্যবস্থা মূলত গ্রাহকের উপাত্ত নিয়ে কাজ করে, ব্যক্তিগত যোগাযোগ নয় ৷অন্যদিকে অনলাইন সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একজন গ্রাহক অপর গ্রাহক বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান করে ৷এ ধরনের যোগাযোগ ও তথ্যের আদান-প্রদানে ব্যবসায়িক সুসম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক উন্নতি হয় ৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের প্রয়োগ ও ব্যবহার রাজনীতি, ব্যবসায়ের পাশাপাশি শিক্ষায় অনেক বেশি এগিয়ে গেছে ৷স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রমে গত দশ বছরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষণীয় ৷আগেই বলা হয়েছে, বিবো এবং মাইস্পেস নামের সোশ্যাল নেটওয়ার্কংয়ের ব্যবহারকারীরা মূলত স্কুল এবং সমপর্যায়ের ৷বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া ও শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো প্রাণন্ত করার জন্য এ সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রয়াস লক্ষণীয় ৷যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় নভেম্বর ২০০৭-এ এমনি এক উদ্যোগ নিয়েছে কানেক্ট নারে একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ৷এ পদ্ধতিতে সব ছাত্রছাত্রী তাদের নিজেদের প্রোফাইল তৈরি করবে, ছবি এবং প্রয়োজনীয় নথি সংযোজন করবে, আলোচনার বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করবে, মেসেজ বিনিময় করবে, ব্লগ ও প্রেজেন্টটেশেন প্রকাশ করবে ৷পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্যও অনুরূপ সব সুবিধা থাকবে ৷এই শিক্ষাভিত্তিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কটি শিক্ষার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে এবং ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে ৷বর্তমানে কানেক্ট নারে নেটওয়ার্কে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অন্যদের মিলিয়ে মোট ৫,০০০ সদস্য আছে ৷এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে নতুন ছাত্রছাত্রীরা আরো বেশি উপকৃত হচ্ছে ৷ক্লাস, শিক্ষক, পরিবেশ সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জনে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের কোনো বিকল্প নেই ৷ ওয়েব ভিক্তিক ব্যবস্থায় আমাদের করণীয় ওয়েব ভিত্তিক ব্যবস্থার মূল চাবিকাঠি ইন্টারনেট এবং দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ আজ সহজলভ্য ৷বিশ্বায়নের এই যুগে যেভাবে ব্যবসা বাণিজ্যের ভৌগলিক পরিসীমার বাহিরে প্রসার ঘটছে, এতে বোঝা যায় ইন্টারনেট নির্ভর সেবার বিকেন্দ্রীকরণ আরো বেশি বেশি দরকার ৷বাংলাদেশের তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি প্রসারে অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে ২২ গিগাবাইটের ইন্টারনেট সংযোগের ব্যান্ডউইথ ৷যদিও এই বিপুল ক্ষমতার শতকরা দশভাগ ব্যবহারে আসছে শুধুমাত্র উপযুক্ত প্রযুক্তির অভাবে ৷বিজ্ঞান তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় এবং বিটিআরসির সফল সমন্বয়ে উপযুক্ত প্রযুক্তি, যথাযথ ব্যবহার এবং বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চত করে এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ৷ ওয়েবভিত্তিক ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি প্রসার অনেক বাড়ানো সম্ভব ৷এরজন্য প্রয়োজন ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার সাথে সুলভতা ৷ইন্টারনেট সেবাকে আরো সুলভ করতে হবে ৷বিশেষ করে বাংলাদেশের ৬৫ হাজার গ্রামের মানুষ যারা নিত্য দিনের কায়িক পরিশ্রমে দেশের শতকরা ২০ ভাগ মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে, তাদের জন্য ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবস্থার বিবর্তন এখনো ভাবনা করা যায়নি ৷ তথাপি বিভাগ, জেলা এবং থানা পর্যায়ে ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ ব্যবহারকে আরো উপযোগী করে তোলা দরকার ৷দেশের সকল স্কুল এবং কলেজগুলোতে অবিলম্বে ইন্টারনেট সংযোগ বিনামূল্যে দিয়ে এর সফল প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা, প্রশিক্ষণ এবং আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা দরকার ৷দেশের বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামোকে আরো সুদৃঢ় ভিক্তি তৈরি করবে আগামী দিনের ওয়েবভিত্তিক ব্যবস্থার এক বর্ণিল বাংলাদেশ ৷

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।