আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিংকিন পার্ক উপাখ্যান-১

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

স্বপ্ন দেখতে কার না ভালো লাগে। দেখতে দেখতে অনেকে স্বপ্নে দেখার মেশিন বানায় ফেলায় মাথাডারে, আর সেই স্বপ্ন দেখা শেষ হইতে না হইতেই সিতানের পাশে রাখা কাগজ কলমে দ্রূত লেইখা ফেলায়। অবশ্য আব্দুল কালাম আজাদের মতো পাবলিকের কাছে, স্বপ্ন সেগুলা না যেগুলা ঘুমাইলেই দেখি, স্বপ্ন সেগুলাই যেগুলান মানুষরে ঘুমাইতে দেয় না! যাই হোউক বাউলা পাচাল রাইখা আউলা পেচালে আসি! লিংকিন পার্কে নিয়া মনে উসখুস থাকলেও পুরা ঘটনা জানার টাইম পাইতাছিলাম না। ভাবলাম জাইনা দেখি কেমনে পয়দা হইলো এই মহীরুহ।

আগের ঘটনা: ব্রাড ডেলসন (জন্ম পহেলা ডিসেম্বর, ১৯৭৭) পয়দা হয় কয়ালিফোর্নিয়ার আগুড়ায় একটা ইহুদি পরিবারে। কুটিকালে বাপে মায়ে কানে ধইরা আগুড়া হাইস্কুলে ভর্তি করায় দেয় যেইখানে ওর কুটিকালের অন্যান্য বন্ধুদের সাথে মাইক শিনোডাও গণ যোগদান করে। স্কুলে থাকনের টাইমে ডেলসন রিলেটিভ ডিগ্রীর সাথে প্রাকটিস শুরু করে তখন ও ট্রাম্পেট বাজাইতো। তখন ঐ ব্যান্ডের টার্গেট আছিলো রক্সি থিয়েটারে খালি একটা শো করা আর যখনই তারা একটা শো কইরা ফেলাইলো তখন ব্যান্ড হাওয়ায় উইড়া গেলো। এই ব্যান্ডে থাকাকালীন সময়েই রব বারডনের সাথে পরিচয় হইলো, ও ঐখানে ড্রাম পিটাইতো।

ব্রাডের ঘুমের প্রতি একটা অবসেশন আছে। ব্রাড ডেলসন ১৯৯৫ এর দিকে ইউসিএলএ তে রিজেন্ট স্কলার হিসেবে কাজ করতে থাকে কমিউনিকেশন স্টাডিজের উপর ব্যাচেলর অফ আর্টস ডিগ্রীর জন্য। সে তখন ফাই বেটা কাপ্পা র সদস্য ছিলো এবং স্কুলের চার বছরের তিনটি বছর ডেভ ফেরলের সাথে একটা ডর্ম রুম শেয়ার করে। এদিকে ডেভ ডেলসন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির আরেক মেম্বার জেফ ব্লুর সাথে ইন্টার্নি করার সুযোগ পায় লেখা পড়ার অংশ হিসেবে। জেফ ব্লু ছিলো তখন ওয়ার্নার ব্রোসের এএন্ডআর রিপ্রেজেন্টেটিভ যে নানা সময়ে জিরো ব্যান্ডের কন্সট্রাক্টিভ সমালোচনা করে অনেক সাহায্য করেছিলো! রবার্ট গ্রেগরী বার্ডন (পয়দাকাল ২০শে জানুয়ারী, ১৯৭৯) যেইখানে বড় হয় তার আশেপাশেই ইনকিউবাস নামের আরেকটা ব্যান্ডের পুলাপানরাও আশেপাশেই থাকতো।

সেইটা হইলো ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যালাবাসাশ নামক এমুন জায়গায় যেইটা আমি বাপের জন্মে নামও শুনি নাই। তয় জায়গাটা নাকি আগুড়া পাহাড়ী এলাকার মধ্যে পড়ছে। কুটিকাল কাটছে ইহুদি পরিবারে। তো কুটিকালে এ্যরোস্মিথের গান বাসায় চলতো খুব, কারন ওর মা এ্যারোস্মিথের ড্রামার জোয়ি ক্রামারের গার্লফ্রেন্ড আছিলো। তো একবার ওদের ফ্যামিলিসহ যখন একটা কনসার্টে নিয়া গেলো তখন ব্যাকস্টেজে যাওনের সুযোগ হইছিলো আর পুরো প্রোডাকশনটা নিজ চোখে দেখার সুযোগ হইছিলো।

ক্রামার রবরে একটা কিক পেডেল দিছিলো যেইটা পাইয়া হেয় এমুনি উদাস হয় যে ড্রাম পিটানি শুরু কইরা দেয়। রব অবশ্য পিয়ানোও বাজাইতে পারে। ৯ বছর বয়সে রব নো ক্লু, তখন ও গ্রেড সিক্সের ছাত্র। ওরা পরে নাম চেন্জ্ঞ কইরা ফিজিক্যাল এভিডেন্স রাখে আর নির্ভানা, ব্যাড রিলিজিয়নের মতো সুসইসাইডাল টেনডেন্সি নিয়া গাওয়া গানগুলো গাইতে থাকে। রব পুরা এক বছর ড্রাম পিটানি শেখে কিন্তু সেই সময় মিউজিক শীট পড়তে পড়তে বিরক্ত লাইগা যায়।

গ্রেড ১০ এ উইঠা একটা স্টেজ শোয়ের পর কার্মা নামক একটা মিউজিক্যাল গ্রুপে জয়েন করে। কার্মা ব্যান্ড মেম্বারদের মাধ্যমে ব্রাড আর শিনোডার সাথে পরিচয় হয় রবের আর তখন অবশ্য কাছের সান ফারনানডো ভ্যালিতে থাকতো। রব আর ব্রাডের তখন থেকেই ইচ্ছা ছিলো রিলেটিভ ডিগ্রী ফর্ম করা আর রক্সি থিয়েটারে গাওয়া! টিন এজ লাইফে রব রিলেটিভ ডিগ্রীতে আইসা ড্রাম পিটান শুরু করে। তবে অখনো কানাঘুষা আছে টাইম পাইলে ড্রাম রাইখা পিয়ানো টিপা শুরু করে। রিলেটিভ ডিগ্রী ভাইঙ্গা যাওনের পর রব ড্রাগের দিকে ঝুকে পড়ে আর জীবনটা ওলট পালট হইতে শুরু করে।

তখন ড্রাম পিটানিও বন্ধ কইরা দেয়। আগুড়া থিকা গ্রাজুয়েশন শেষ করনের পর আস্তে আস্তে নিজে নিজে ড্রাগ ছাইড়া দেয় আর ফুল টাইম ড্রামবাজী শুরু কইরা দেয়। ঠিক সেই সময়টাতেই মাইক শিনোডা আর ব্রাডের গড়া সুপার জিরোতে বাজানির ডাক পায়। মাইক শিনোডা ওরফে মাইকেল কেন্জ্ঞি শিনোডা আকা "দ্যা গ্লু" (দ্যা আঠা) (পয়দাকাল ফেব্রুয়ারীর ১১, ১৯৭৭) এর বাপ হইলো জাপানীজ আর মা হইলো রাশিয়ান-হাঙ্গেরিয়ান। তার মানে এই পোলার ভিতর তিন থুক্কু চাইরখান দেশ হান্দাইছে! এই ব্যাটায়ও লস এ্যান্জ্ঞেলস এর মফস্বল আগুড়ায় কুটিকাল কাটাইছে।

ওর একখান ছোটো ভাইও আছে। মাইক শিনোডার মিউজিক বিজনেসে প্রথম এক্সপোজার ঘটে যখন সে এ্যানথ্রাক্স আর পাবলিক এনিমির মতো ব্যান্ডের সাথে কনসার্টে অংশগ্রহন করে। মায়ের ইচ্ছাতেই এরপর সে পিয়ানো শিখা শুরু করে, ক্লাসিক্যাল পিয়ানে টেকনিক থিকা শুরু কইরা জ্যাজ,ব্লুজ, হিপ-হপ মাথায় ঢুকে। এইটা ছিলো ওর প্রাথমিক সময় যখন ও সাথে সাথে গীটার আর র‌্যাপ যোগ করতে থাকে এসবের সাথে। র‌্যাপ মিউজিকের প্রতি শিনোডার এতো আগ্রহ দেইখা বন্ধু ব্রাড ডেলসনের মনে চরম উৎসাহ হয় যার ফলশ্রূতিতে নিজের বেডরুমে স্টুডিও শিফট বানায়া নিজেরা গান লেখা লেখি আর রেকর্ডিংও চলতে থাকে।

এসময় ইনকিউবাস, হুবাসট্যাংকের সদস্যরাও এখানে নিয়মিত কাজ করা শুরু করে। পার্ক ম্যান ইলিম্যান্টারি, লিন্ডারিও ক্যানিয়ন থেকে আগুড়ি হাই স্কুলে ভর্তি হওনের পর মিউজিকের সমান আগ্রহী আরও কিছু পুলাপান পাইয়া যায় আর পাশ করনের মিউজিকরে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার প্রবনতায় সুপার জিরো পয়দা করে। হাই স্কুল পাশ করনের পর শিনোডা আর্ট সেন্টার কলেজ অব ডিজাইনে গ্রাফিক ডিজাইন আর ইল্যুশন নিয়া পড়া লেখা শুরু করে আর সেখানে গিয়ে ডিজে আর টার্নটেব্লিস্ট জোসেফ হানকে নিয়ে ডেলসনের কলেজ মেট ডেভ ফিনিক্স ফেরেলকে নিয়ে জিরোর লাইন আপে যুক্ত করে। সুপার জিরো নামটা চলতে থাকে ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষন না ব্যান্ডের ঐ তিনজন মেম্বার কলেজে না এয়াটেন্ড করে। উসিএলএতে ক্লাস করার সময় ডেভ ফেরেল আর ডেলসন খুব গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তোলে আর ফেরেল আর হান জয়েন করার পর ব্যান্ডের নাম হয় জিরো!২১ বছর বয়সে ইলিউশনের উপর গ্রাডুয়েশন করে দ্রূত একটা চাকরিতে ঢুকে যায় গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে যেটা পড়ে লিংকিন পার্কের সমস্ত গ্রাফিক্যাল ডিজানিং এ কাজে লাগায়।

পরবর্তীতে মার্ক ওয়েকফিল্ড জিরোতে যুক্ত হয়ে পারফরম করা শুরু করে। মার্ক তখন জিরোর লিড ভোকাল ছিলো আর তখনই ব্যান্ডের সেল্ফ টাইটেল ইপি রেকর্ড করে ফেলে। তার কিছু দিন পর আরও কয়েকটা ডেমো রেকর্ড করে সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন রেকর্ড কোম্পানী গুলোতে ধর্না দিতে থাকে। কিন্তু বিধি বাম থাকায় কোনো রেকর্ড কোম্পানীর সাথে কোনো মিউজিক ডিল করতে না পারায় ব্যান্ডের মধ্যে হতাশা বাড়তে থাকে আর তার কিছুদিন মার্ক অন্যান্য প্রজেক্টে ব্যাস্ত থাকার ছুতোয় ব্যান্ড ছেড়ে চলে যাওয়ায়। মার্ক ওয়েকফিল্ড পরে ট্যাপরুটের ম্যানেজার পদে স্হালাভিষিক্ত হয়।

এই সময় শিনোডা একটা এ্যাড দেয় যেখানে একজন ভোকাল চেয়ে আবেদন করতে বলা হয়। সে সময় এ্যারিজোনা থেকে একজন চেস্টার বেনিংটন এ্যাপ্লাই করে। চেস্টার বেনিংটনের রিজিউম দেখে একদিন একটা ফোনে তাকে জিরোর কম্পোজিশনে ওর লিরিকসে গান গাইতে দেয়া হয় আর সেই গান শুনে সবাই এতো চইমকা যায় যে মনে হয় বিনা মেঘে সবার মাথায় একটা কইরা বজ্রপাত ঘটে। এই অডিশনটা এ্যারেন্জ্ঞ করেছিলো শিনোডা আর ডেলসন। এদিকে ডেলসনের ওয়ারনার ব্রস কানেকশনও কোনো চুক্তি করাতে পারেনি ব্যান্ড টিকে।

হতাশা আর টেনশনের কারনে কিছুদিন পর ফেরলও টেস্টি স্নাক্স এবং অন্যান্য ব্যান্ডের ট্যুরের সাথে যুক্ত থাকায় ব্যান্ড ত্যাগ করে ডেলসন। এমনিতেই ব্যান্ডের ছিলো লিমিটেড রিসোর্স কারন এরকম হিপ হপ আর র‌্যাপের সাথে আধুনা রকের জন্য দরকার ছিলো ভালো মানের এ্যাকুস্টিক ইনস্ট্রুমেন্ট আর তার উপর একের পর এক ব্যান্ডের কোর মেম্বারদের চলে যাওয়াটাকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। ভোকাল ছাড়া ব্যান্ড হয় কিভাবে? তারপর আর কি, ঢুইকা গেলো সান্দাইয়া। তবু ভাগ্যটা কেনো যেনো হাত থেকে বারে বার ফসকে যাচ্ছিলো ওদের। চেস্টার বেনিংটনের জন্ম মার্চের ২০, ১৯৭৬ এ আরিজোনার ফিনিক্সে।

ডিপেক মোড আর স্টোন টেম্পল পাইলট দ্বারা অনুপ্রানিত চেস্টারের জীবন খুব একটু অন্যরকমের। ৮০ এর দিকে বাবা-মার ছাড়াছাড়ি মনের মধ্যে জটিল প্রভাব ফেলে যার ফলে মেথামফেটামাইন এর উপর ঝুকে পড়ে। পরে আস্তে আস্তে নিজের সাথে যুদ্ধ করে ড্রাগ থেকে মুক্তি পায় আর তার পরের থেকে সে আর ড্রাগের দিকে পা বাড়ায়নি। অর্থের অভাবের জন্য বার্গার কিং এ চাকরি নেয় শুধু পেট চালানোর জন্য কারন তখন তার গায়কী অতো জনপ্রিয় ছিলো না দেশ ব্যাপী। ২০ বছর বয়সে যখন সে তার মনটা হারিয়ে ফেলে সামান্হার চোখে তখন কোনো এক হ্যালোউইনে বিয়ে করে ফেলে আর তখন চেস্টারের এতটা অর্থাভাব ছিলো যে একটা রিং কিনতে পারেনি।

তাতে কি হবে, দুজনের আঙ্গুলে ট্যাটু একেই সে বিয়েটা হয়েছিলো। পরে গ্রেডেজ ব্যান্ডে এ জয়েন করে যেটা মূলত আরিজোনা আর আমেরিকায় জনপ্রিয় থাকলেও গ্লোবাল এ্যাচিভম্যান্ট অতটা ভালো ছিলো না। কিন্তু সেখানে চেস্টারের জন্য সুখের দিন ফুরোলো, পরে সেখান থেকে বেরিয়ে ও একজন মাইয়া সিঙ্গারকে নিয়ে ওয়াটারফেস গড়ে তোলে। যাই হোক, চেস্টার যোগ দেয়ার পর ওকে লিড ভোকাল হিসেবে রাখা হয়। তখন ব্যান্ডটা জিরো নাম নিয়ে আরো আক্রমনাত্নক হয়ে ওঠে বিভিন্ন কনসার্ট আর লাইভ শোয়ের প্রতি, কিন্তু এমন সময় আরেকটা ক্যারফা লাগে জিরো নামটা ওদের আগেই অন্যরা রেজিস্টার্ড করে ফেলেছে।

তখন ব্যান্ডের সবাই মিলে হাইব্রিড থিওরী নামটা রেখে দেয় যেটা আসলে ওদের সেল্ফ টাইটেলড এপিও ছিলো। এই নাম রাখার একটা কারনও এটা যে ওদের গান গুলোতে একসাথে র্যাপ, হিপ হপ, রক আর নু মেটালের সংমিশ্রন থাকায় এই নামটা ওদের কাছে পার্ফেক্ট লাগে। আগেই বলেছি হাইব্রিড থিওরী ছিলো ওদের রেকর্ডেড সেল্ফ টাইটেলড ইপি কিন্তু এখানে ডেভ ফেরেলের অন্য ব্যান্ডের সাথে কমিটমেন্ট থাকায় এই রেকর্ডিং এ অংশ নিতে পারেনি। বেসিস্ট কাইল ক্রিসটনারকে পরে অন্তর্ভূক্ত করা হয় ডেভের জায়গায়। এই ইপিটাই ১৯৯৯ সালে ওয়ার্নার ব্রসের সাথে চুক্টিবদ্ধ হতে সাহায্য করে অবশ্য ততদিনে জেফ ব্লু ওয়ার্নার ব্রোসের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে যায়।

কিন্তু ওয়ার্নার ব্রাদার্সের লিগ্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে ওরা একটা নোটিশ পায় যে হাইব্রিড নামটা তারা ব্যাবহার করতে পারবে না কারন ইউকে তে একটা ব্যান্ড অলরেডী এটা নিয়ে নিয়েছে। গ্রুপের নামটা আবারও চেন্জ্ঞ করতেই হবে। প্রোবিং লেজারস, টেন পিএম স্টোকার, প্লাটিনাম লোটাস ফাউন্ডেশন নামগুলো বাতিল খাতায় রেখে চেস্টার বেনিংটন একটা নাম সাজেস্ট করে সবার কাছে সেটা হলে লিংকন পার্ক। এই নামটা দেয়ার উদ্দেশ্য হলো চেস্টার বেনিংটন যখন প্রাকটিস শেষ করে সান্টামোনিকার বাসায় ফিরতো তখন লিংকন পার্কের সামনে দিয়েই যেতো। কিন্তু লিংকনপার্ক.কম ডোমেইনটা এত মূল্যবান ছিলো যেটা তখন ব্যান্ড মেম্বারদের পক্ষে কেনা অসম্ভব ছিলো।

তাই তারা একটু বানানটা ভুল করে লিংকিন পার্ক রেখে দেয়! লিংকিন পার্ক তখন আরো কয়েকটা ডেমো রেকর্ড করে যেমন featured "Carousel", "Technique", "Step Up", "And One", "High Voltage", and "Part of Me"। ১৯৯৯ সালে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ করতে সমর্থ হবার পর হাইব্রিড থিওরী নামের প্রথম এ্যালবামটা বের করতে পারে ২০০০ সালে। এটাই হলো মানুষের যেমন চাদের প্রথম পা দেয়ার অভিজ্ঞতা সেমনি একটা কিছু ছিলো। তার পর ব্যান্ডটি রীতিমত ইতিহাস হয়ে যায়। ক্রোলিং আর ইন দ্যা ইন্ড রেডিও গুলোতে মেসিভ হিট হয়ে যায়।

তখন রেডিও খুললেই শুধুই এই গান, পরে আমেরিকার টপ অল্টারনেটিভ মডার্ন রক টপ চার্ট, বিলবোর্ড টপ ১০০ তে দ্রূত জায়গা করে নেয়। সাথে সাথে লিংকিন পার্ক ফ্যামিলি ভ্যালুস ট্যুরের ডাক পায় যেখানে সাইপ্রেস হিলের সাথে পারফর্ম করার সুযোগ পায়। তারপর ২০০১ সালের মধ্যে তারা ৩০১ টার মতো কনসার্ট করে নিজেদের শিডিউলের ক্যরফা লাগিয়ে দেয়। ২০০২ এর জানুয়ারীর দিকে ওদের হাইব্রিড থিওরীর ৭ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়ে যায় আর এনে দেয় তিনটা গ্রামী নমিনেশন। এরপরেও আর ১০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়ে এ্যালবামটা ডায়মন্ড স্ট্যাটাস পেয়ে ইতিহাসের অন্যতম সফল এ্যলবাম হিসেবে বিবেচিত হয়।

এসব ইতিহাস মনে হয় সবার জানা। নভেম্বর ২০০১ এর পর পুরোনো বন্ধু ডেভ ফেরেল আবার যোগ দেয় ব্যান্ডে। তখন তারা রিএ্যানিমেশনের কাজে হাত দেয়। যাই হোউক এর পরের হিস্টোরী সবার জানা তবুও যদি কোনো দিন মন চায় ঠিক এইখান থিকা বর্তমান ভবিষ্যত নিয়া লিখুম নে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।