এই ব্লগে মৌলবাদী, রাজাকার এবং জামাত শিবিরের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
জেলেদের কাছে এটি ফেলে দেওয়ার জিনিস। বিরক্তিরও বটে। মানুষের কাছে এর মাংস বিষাক্ত। কিন্তু গবেষকরা এখন বলছেন, এদের মাংস বায়ো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
কথা হচ্ছিল গ্রিনল্যান্ড হাঙ্গর নিয়ে। হাঙ্গরের মধ্যে এই প্রজাতিটি বেশ বড়। গ্রিনল্যান্ডের জেলেরা প্রতিবছর হাজার হাজার এ জাতের হাঙ্গর ধরে৷ তাদের হাতেই মারা পড়ে হাঙ্গরগুলো। আকারের দিক থেকে এদের গ্রেট হোয়াইট শার্কের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এগুলো প্রায় সাত মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
গ্রিনল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের সিসিমিউটে অবস্থিত আর্কটিক টেকনোলজি সেন্টার (আরটেক) এর গবেষকরা প্রাণীটির তৈলাক্ত মাংস থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনের উপায় খুঁজছেন। টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ ডেনমার্ক-এ আরটেক এর শাখার ম্যারিয়েন উইলিমোয়েস জোয়েরগেনসেন একটি বিকল্প উপায়ের কথা তুলে ধরে বলেন, অসংখ্য হাঙ্গরসহ সমুদ্রে পাওয়া হাজার হাজার টন বর্জ্য বায়োগ্যাস উৎপাদনে ব্যবহার করা যেতে পারে। উত্তর পশ্চিম গ্রিনল্যান্ডের উমানাক গ্রামে এ রকম একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালু করেছেন তিনি। তিনি জানান, হাঙ্গরের মাংসের সঙ্গে যখন ক্ষুদ্র শ্যাওলা ও ঘরবাড়ির বর্জ্য পানীয়ের সংমিশ্রণ ঘটে তখন সেটি বায়ো জ্বালানি উৎপাদনের উপযোগী হয়ে ওঠে।
তিনি বলছেন, এ ধরণের জৈব বর্জ্য সংস্থানের সবচেয়ে ভালো উপায় বায়ো জ্বালানি উৎপাদন।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে এ জ্বালানি ব্যবহার করা যেতে পারে। গ্রামটির প্রায় আড়াই হাজার অধিবাসীর প্রায় ১৩ শতাংশের মতো জ্বালানির যোগান বায়োগ্যাস থেকেই দেওয়া সম্ভব। দ্বীপটিতে বসবাসকারী বিচ্ছিন্ন লোকালয় এধরণের বায়ো জ্বালানি দিয়ে জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণও হতে পারে।
তথ্যসূত্র এখানে -
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।