আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাদেঁ অভিযান--শতাব্দীর সেরা চাতুরী!

ফেসবুক আইডি:নাই
চন্দ্র বিজয়ের ৪০ বছর পূর্ণ হবে কাল ২০ জুলাই। ১৯৬৯ সালের এই দিনে চন্দ্রে অবতরণের মাধ্যমে 'মানুষের পক্ষে সবই সম্ভব' এই বিশ্বাসকে সার্থক করতে সক্ষম হয়েছিল মার্কিন মহাকাশ এজেন্সি নাসা। প্রযুক্তিগতভাবে এটিই ছিল গত শতাব্দীর সেরা অর্জন। কিন্তু অনেকে চন্দ্র বিজয়ের এ ঘটনাকেই গত শতাব্দির সেরা প্রতারণা হিসেবে মনে করে। অবশ্য এরা ষড়যন্ত্রমূলক তাত্ত্বিক হিসেবে পরিচিত।

এ ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্বের প্রবক্তা রকেট-প্রযুক্তির লেখক বিল কেসিং ১৯৭৪ সালে 'আমরা কখনও চাঁদে যাইনি : আমেরিকার ৩০ বিলিয়ন ডলারের জোচ্চুরি' নামে একটি বই প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, চাঁদ থেকে তোলা নাসার ছবিতে অনেক বৈসাদৃশ্য রয়েছে। ১৯৬৯ সালে পৃথিবীর ভ্যান এলেন রেডিয়েশন বলয় থেকে মানুষকে রক্ষা করে চাঁদে পৌঁছানোর মতো প্রযুক্তি তখনও তৈরি হয়নি। এ বইতে কেসিং এপোলোর চাঁদে যাওয়ার বিষয়টি একটি তত্ত্ব আকারে প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এপোলো উৎক্ষেপণের পর মহাকাশ যানটি অদৃশ্য হলে ৩ নভোচারী বিশিষ্ট লুনার ক্যাপসুলটি একটি সামরিক কার্গো বিমানে সরিয়ে ফেলা হয় এবং আট দিন পরে ক্যাপসুলটি প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলে দেয়া হয়।

তারপর কঠোর সামরিক নিরাপত্তা বেষ্টিত নেভাদার মরুভূমি অঞ্চলে নাসা কর্মকর্তারা চাঁদে অবতরণ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। কেসিংয়ের এ তত্ত্ব নিয়ে ১৯৭৮ সালে ক্যাপ্রিকর্ন ওয়ান নামে একটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়। এক দশকের পর কেসিংয়ের তত্ত্ব নিয়ে ফক্স টেলিভিশনে একটি ডকুমেন্টারি প্রচারিত হয়, যেখানে এপোলোর ছবি এবং টিভি ফুটেজের বৈসাদৃশ্য তুলে ধরা হয়। যেমনঃ ১. মডিউলটি চন্দ্রপৃষ্ঠের যেখানে অবতারণা করে সেখানে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু ভিডিও ফুটেজে গর্তের কোন চিহ্ন নেই।

২. ফুটেজে দেখা যায় দুটি বস্তুর ছায়া পরস্পরকে ছেদ করেছে অথচ সমান্তরাল হওয়ার কথা ছিল, যেহেতু আলোর উৎস একটি। ৩. চাঁদে বাতাস নেই অথচ দেখা যাচ্ছে আমেরিকার পতাকা উড়ছে। পরবর্তী সময়ে নাসা তাদের স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করলেও কেসিংয়ের ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্ব এখনও অনেকে বিশ্বাস করে। ষড়যন্ত্রমূলক তাত্ত্বিকরা মনে করেন, স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সোভিয়েট ইউনিয়নকে ঘায়েল করতে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করার লক্ষ্যে নাসা কৃত্রিমভাবে চন্দ্রজয়ের ঘটনা তৈরি করে। এদের অন্যতম বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা বার্ট সিবরেল বলেন, আমি মনে করি চন্দ্রে অবতারণার বিষয়টি ভুয়া ছিল।

তিনি ২০০১ সালে এর ওপর আর একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেন। সিএনএনের বরাতে জানা যায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই ঘটনায় অবিশ্বাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১.৫ বিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এ সপ্তাহে 'এপোলোর চন্দ্রে অবতারণার ধোঁকাবাজি' নামে গুগল এ সার্চ দিয়েছে। উল্লেখ্য, নাসা চন্দ্রাভিযানের ক্ষয় হয়ে যাওয়া ভিডিও চিত্র পুনরম্নদ্ধারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা। এ কাজে দায়িত্ব নিয়েছেন হলিউডের 'লাউরি ডিজিটালের' বিশেষজ্ঞরা।


 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.