আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাদেঁ স্টেশন!!!!!

বাংলাদেশের মাটি দিয়ে গড়া এক মানুষ চাদঁ অভিযানের পর এখন সেখানে স্টেশন তৈরির জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন গবেষকরা। গবেষকদের ভাবনার তালিকায় রয়েছে, এমন একটি রোবট যেটি চাদেঁর চরম তাপমাত্রার মধ্যেও কাজ করতে সক্ষম হবে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটিকে রূপকথার চাদঁমামার গল্পে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছেন না বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের ধারনা, এ উপগ্রহে রয়েছে দুস্প্রাপ্য খনিজ সম্পদ। চাদেঁ রয়েছে লোহা, স্বর্ন, টাইটান, প্লাটিনাম ও ইরিডিয়ামের খনি।

আরও রয়েছে হিলিয়াম থ্রি গ্যাস যা সূর্যের আলোতেই কেবল পাওয়া যায়। চাদেঁ বাতাস না থাকার কারনে হিলিয়াম থ্রি বাধাঁ পায় না। বিজ্ঞানীদের ধারনা, মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে এ হিলিয়াম থ্রি চাদেঁর বুকে জমা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এ হিলিয়াম থ্রি পৃথিবীর কয়েকশ বছরের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারবে। এ লক্ষে কাজ করছে জার্মানীর মহাকাশ কেন্দ্র।

আর এতে সহায়তা করছে আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসা। নাসার কাছ থেকে পাওয়া ছবির উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা চাদেঁর পুরো পৃষ্টের একটি ডাটাসেট তৈরির কাজ করছেন। এর মাধ্যমে চাদেঁর কোন জায়গাটি স্টেশন তৈরির উপযুক্ত তা তারা বের করেব। চাদেঁ ১৪ দিন সূর্যের আলো থাকে, ১৪ দিন থাকে পুরো অন্ধকার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাদেঁ কোন পাহাড়ের পাশে ছায়ার মধ্যে গেলেই তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী থেকে নেমে গিয়ে মাইনাস ১০০ডিগ্রীতে গিয়ে দাড়ায়।

ফলে রোবটকে সেটি সহ্য করতে হবে। চাদেঁর এ চরম তাপমাত্রায় কোন মানুষের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় বলে রোবটের মাধ্যমে কাজটি করতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্ত সেই রোবটও নাকি হবে একেবারে আলাদা। যার থাকবে নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা....বিদেশী পত্রিকা অবলম্বনে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.