পাখি এক্সপ্রেস
যতো স্বাচ্ছন্দ্যে সারেং বাড়ির চালতাবাগান পেরিয়েই আমাদের তাসঘরের দরোজায় পা রাখা যেতো, এখন ততো স্বাচ্ছন্দ্যে বর্ষা আসে না। তার আগে প্রচুর খোলারোদ দু'চোখে ধারণ করতে হয়; অনেক মেঘ মাথায় তুলতে হয়। এসবের আগে প্রত্যাশিত বৃষ্টি অতোটা সুন্দর নয়, সর্বশেষ প্রবাল স্পর্শের আগে প্রেয়সীর চুম্বন অত সুখকর নয়।
যেসব মানুষ এ পথে বাণিজ্যে যেতো আমাদের কবিতায় যাত্রা বিরতি নিতো না, কখনোই বিশ্রামে যেতে দেখিনি। এখনো বর্ষায় এসব হাঁটে বিড়ি ব্যবসা রমরমা।
কালো পানির সমান দুভাগে ভাগ হওয়ার স্বাক্ষী এসব বিড়ি ক্রেতারা। এক নৌকা যতোটা গতি ধরতে পারে তার চাইতেও সুন্দর তাসঘরের এগিয়ে আসা।
সেখানে বেশ্যা নিয়ে কথা হতো, স্থুল দেহ আর বিধ্বস্ত স্বপ্ন নিয়ে আপসোস হতো। প্রেয়সী সংক্রান্ত আলাপচারিতায় সাঙ্গরা মনোযোগী হতো না। এখন প্রেয়সী বুকের কেশ নিয়ে তুলনা করতে শিখেছে।
পলিথিনে মোড়া বিড়ির ধোঁয়ায় এসব বাজে আলাপ হার মানতো।
যেবার কবিতাকে গান বানিয়ে এক পথিক পানি খুঁজেছিলো- তার পায়ের ধুলো দেয়ালে টাঙানো... এখনো।
পরবর্তীতে রমনীদের প্রেমে তাসের ঘর ভাঙার দিনে সে সরল ঝড়ের বিষয়ে কেউ কাউকে দেষারোপ করিনি। সেসব রমনীরা মাতৃস্তন মেরামতে ব্যস্ত। তাদের জীবন অকাতরে ফাঁকি দিচ্ছে।
আমরা আমাদের স্বপ্ন বিনির্মাণের কথা নিয়মিত ভুলে থাকি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।