আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।
চিনিশিল্পের ভবিষ্যৎ কী?
আমাদের চিনিশিল্পের ভবিষ্যৎ কি? যেহেতু বাজারে চিনির দাম তুলনামূলক কম (যদিও এরই মাঝে একদফা কেজিপ্রতি ৪/৫ টাকা বেড়ে
গেছে), তাই হয়তো, চিনি নিয়ে বা চিনিশিল্প নিয়ে কারোরই তেমন মাথাব্যথা নেই। সংবাদমাধ্যমগুলোরও সেদিকে নজর দেবার ফুসরত নেই। কিন্তু আমাদের নজর ও মনোযোগের আড়ালে নিরবেই চিনিশিল্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এক আশঙ্কার কথাই ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান অপূর্ব কুমার বিশ্বাস।
তিনি বলেছেন, আখ চাষ বাড়াতে না পারলে দেশে চিনিশিল্পের অপমৃত্যু ঘটবে। তার মতে, ধ্বংসের প্রায় ৭০ ভাগ পথ পাড়ি দিয়েছে এ শিল্প।
প্রয়োজনীয় কাঁচামাল (আখ)এর অভাবে দেশের সবকটি চিনিকলেই এখন উৎপাদন বন্ধ। চলতি মৌসুমে চিনিকলগুলোতে ১ লাখ ৭৩ হাজার ১শ' টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আখ সরবরাহের অভাবে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসে চিনিকলগুলো একে একে
উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।
সে-পর্যন্ত সাকুল্যে চিনি উৎপাদন হয়েছে ৭৯ হাজার টনের মতো। অর্থাৎ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১ লাখ টনই ঘাটতি থেকে গেছে। আর দেশে বর্তমানে চিনির চাহিদা প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টন। মোট চাহিদার মাত্র ১৪ ভাগ (প্রায়) দেশে উৎপাদিত হয়। এবার তাও হবে না, কারণ উৎপাদিত হয়েছে মোট চাহিদার মাত্র সাড়ে ৬ ভাগ।
বাকি ৯৩ ভাগ চিনিই আমদানি করতে হবে।
এমনিতেই চিনিকলগুলোর উৎপাদন কাজ চলে মূলত আখের মৌসুমে। গড়ে ১২০ থেকে ১৩০ দিনের বেশি মিলগুলো সচল থাকে না। এ ১২০
দিনের উৎপাদন দিয়েই তারা সারা বছর চলে। কিন্তু এখন আখের অভাবে ৮০/৯০ দিনের বেশি মিলগুলো সচল রাখা যাচ্ছে না।
গত ফেব্রুয়ারি
মাসের মাঝামাঝি সময়ে দু'একটি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে, দেশের ১৫টি চিনিকলের সবগুলোই প্রয়োজনীয় আখের
অভাবে উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
মিলগুলোর মধ্যে উৎপাদনক্ষমতার শীর্ষ আছে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল। গত কয়েক বছরের মতো এবারও মিলটি তার উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেকটাও
কাজে লাগাতে পারেনি। এ মৌসুমে মিলটি উৎপাদন করেছে মাত্র ১২ হাজার ৩২৩.৫০ টন চিনি। ফরিদপুর চিনিকলে উৎপাদন শুরু হয় গত ১৪ নভেম্বর।
১২০ দিনে ১ লাখ ২৬ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৯ হাজার ৪শ' ৫০ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় যা মিলটির উৎপাদন ক্ষমতার চেয়ে কম। প্রয়োজনীয় আখ না পাওয়ায় মাড়াই কাজ চলছিল ধীর গতিতে। জানুয়ারি মাসে উৎপাদন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নতুনভাবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তখন ৯৬ হাজার মে.টন আখ মাড়াইয়ের মাধ্যমে সাড়ে ৭ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু মিলটি সে-লক্ষ্য অর্জনেও ব্যর্থ হয়।
৮৮ দিন চালু থাকার পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে মিলটি উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। সে পযর্ন্ত মিলটিতে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৬ হাজার ৫শ' ৮৪ টন চিনি। একইভাবে নাটোর সুগারমিল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১৪ হাজার টন, কিন্তু করতে পেরেছে মাত্র ৮ হাজার ৭শ' ৩০ মে. টন। একই অবস্থা রাজশাহী সুগারমিলেরও। ১২ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে এখানে উৎপাদিত হয়েছে ৫ হাজার ৬শ' ৭১ টন।
জয়পুরহাট সুগারমিলেও ১২ হাজার টনের লক্ষ্যমাত্রার স্থলে হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ৯শ' ৪৫.৬০ টন। এছাড়া কেরু সুগারমিল ৬ হাজার ৩শ' ১ টন, কুষ্টিয়া সুগারমিল ৫ হাজার ৩শ' ২ দশমিক ৮০ টন, মোবারকগঞ্জ সুগারমিল ৫ হাজার ৭৮ টন, পাবনা সুগারমিল ৪ হাজার ২শ' ৯৮ টন, পঞ্চগড় সুগারমিল ৪ হাজার ১শ' ৪৫ দশমিক ৭৫ টন, ঠাকুরগাঁও সুগারমিল ৩ হাজার ৫শ' ৯৮ দশমিক ৭০ টন, সেতাবগঞ্জ সুগারমিল ৩ হাজার ৫শ' ১৫ টন, রংপুর সুগারমিল ২ হাজার ৭শ' ১৪ দশমিক ৩৫ টন এবং শ্যামপুর সুগারমিল ২ হাজার ১শ' ৩ টন উৎপাদন করতে পেরেছে। এর বাইরে ঝিল বাংলা সুগারমিলে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত উৎপাদন চলেছে, তারপর উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
তাহলে এই হচ্ছে চিনিকলগুলোর অবস্থা। এ চিনিকলগুলোর লোকসানের খবরও মাঝে মাঝে পত্র-পত্রিকায় আসে।
লোকসানের অজুহাতে মিলগুলো
বন্ধ করার উদ্যোগও সরকারের তরফ থেকে নেওয়া হয়। বিএনপি সরকারের প্রথম আমলে ('৯১-'৯৬) বন্ধ করা হল কিশোরগঞ্জের কালিয়াচাপড়া চিনিকল। স্থানীয় কৃষকদের ১৮৪.৩ একর জমি নিয়ে ১৯৭০ সালে স্থাপিত হয়েছিল কালিয়াচাপড়া চিনি কল। চালু হওয়ার পর এই চিনিকলটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও মুক্তবাজার-উদারিকরণ নীতির শিকার হয়ে ১৯৯৪ সালের ১০ মে মিলটির উৎপাদন বন্ধ করা হয়।
ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন বামপন্থি দল, স্থানীয় আখচাষী, মিলটির শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলন করেও মিলটি চালু করতে পারেননি।
এরপর ২০০৪ সালে ১৫০ কোটি টাকার মিলটি ব্যক্তি মালিকানায় নিটোল গ্রুপের কাছে নগদ মাত্র সাড়ে ৪ কোটি টাকায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বন্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে অবস্থিত রংপুর সুগারমিলটিও। প্রায় অর্ধশত বছর পূর্বে স্থাপিত এ মিলটি ওই অঞ্চলের একমাত্র বড় শিল্প। শ্রমিক-কৃষকসহ স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর মিলিত আন্দোলনের কারণে মিলটি এখনো বন্ধ হয় নি।
চিনিকলগুলোর লোকসানের প্রসঙ্গ আগামীতে আরো বড় করেই আসবে, এটা নিশ্চিত।
যেমন, সমকালের একটি প্রতিবেদনে রাজশাহী চিনিকলের
লোকসানের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। কিন্তু এ লোকসান এক বা দুই বছরের নয়। গত ১৯ বছরের পুঞ্জিভূত লোকসানের
পরিমাণ এটি। অন্যান্য চিনিকলগুলোর হিসাব নিলেও এ ধরনের তথ্যই বেরিয়ে আসবে। কিন্তু এ ১৯ বছরে সরকারের কোন কোন পদক্ষেপ
চিনিকলগুলোকে এ অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে, লাভজনক চিনিকলকে লোকসানি বানিয়েছে তা কিন্তু বিবেচনায় আসবে না।
শুধু লোকসানের পরিমাণটা দেখিয়েই কবে যে কোনটাকে বন্ধ করার ফরমান জারি হবে তা বলা সত্যিই কঠিন।
চিনিকলগুলোর এ দুরবস্থা কেন? এক দুই করে অনেকগুলো কারণই বলা যায় এ প্রশ্নের উত্তরে। কিন্তু সব উত্তরের গোড়ায় আছে একটি মাত্র উত্তর।
আর সেটি হল শিল্প ও বাণিজ্য নীতি। মুক্তবাজার নীতির নামে আমাদের দেশের বাজার খুলে দেওয়া হয়েছে আমদানিকারকদের জন্য।
২০০২ সালের আগ পর্যন্ত চিনি আমদানি নিয়ন্ত্রণ করত খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি), আর বাজারজাত করা হত ডিলারদের মাধ্যমে। তখন বাজারে চিনির খুচরা মূল্য ছিল ২৯/৩০ টাকা। ওই সময় ব্যবসায়ীদের একাংশের পক্ষ থেকে আওয়াজ তোলা হল, চিনি আমদানি বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে খুচরা বাজারে ২২ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি হবে, জনগণ লাভবান হবে। বিএনপির তৎকালীন অর্থমন্ত্রী যুক্তি দিয়েছিলেন, ভর্তুকি দিয়ে মিল চালানোর দরকার কী, আমদানি করলে মিল-রেটের চেয়েও কম খরচে চিনি খাওয়ানো সম্ভব। প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো সে-সময় এর বিরোধিতা করলেও চিনি আমদানি উন্মুক্ত করে দেওয়া হল।
প্রথমদিকে আমদানিকারকরা দেশের বাজারে চিনির দাম কম রাখার চেষ্টা করত। এর কারণ, তারা চিনিকলগুলোর উৎপাদিত চিনির চেয়ে তাদের আমদানি করা চিনির দাম কম রাখার চেষ্টা করত। ফলে চিনিকলগুলো মার খেতে থাকে। এখন চিনির বাজার পুরোটাই ব্যবসায়ীদের হাতে কুক্ষিগত হয়ে পড়েছে।
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে, এমনকি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণকারী ৭/৮টি সিন্ডিকেটের কথা
শোনা গিয়েছে।
আবার গত মার্চ মাসের শেষের দিকে যখন চিনির দাম ৪/৫ টাকা বেড়ে গেল, তখন পত্রিকায় ৪টি চিনিব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কথা উঠে এসেছে। এদের কারসাজিতেই চিনির দাম ৭০ টাকায় পর্যন্ত উঠেছিল। এ প্রসঙ্গে চিনিকলগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিক থেকে আখচাষের পরিমাণ এবং উৎপাদন করা আখের মধ্যে চিনিকলে বিক্রির পরিমাণ কমতে শুরু করলে বাড়তে থাকে
চিনিকলগুলোর উৎপাদন খরচ। তার ওপর ভারত থেকে আমদানি করার চিনির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বাজারে চিনি বিক্রি করতে হয়। ফলে চিনিকলগুলোকে লোকসান গুনতে হয়।
জয়পুরহাট চিনিকলের উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, গত দুই মৌসুমে প্রতিকেজি চিনির উৎপাদন খরচ হয়েছে ৪০ টাকা। কিন্তু তাদেরকে সেই চিনি বাজারে ছাড়তে হয়েছে ৩১ টাকা থেকে ৩৩ টাকা দরে।
দেশীয় চিনি শিল্পের দুরবস্থার কারণে আমাদের চিনি-চাহিদার প্রায় পুরোটাই এখন আমদানি নির্ভর। যেটুকু চিনি দেশের মিলগুলোতে উৎপাদিত হয় তার পরিমাণও নির্ভর করে আখ চাষের পরিমাণ ও চিনিকলগুলোতে আখ সরবরাহের উপর। গত ছয়-সাত বছর ধরেই আখ চাষ ও সরবরাহ কম হওয়ার কারণে চিনিকলগুলো ক্ষমতা অনুযায়ী চিনি উৎপাদন করতে পারে নি।
এর কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, আখ চাষকে উৎসাহিত করা কিংবা আখ-নির্ভর চিনি শিল্পকে উৎসাহিত করা - এ দু'টোর কোনো পদক্ষেপই বিগত তিন দশকে সরকার নেয় নি। আখ চাষীরা সমস্ত রকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মৌসুমে তারা সরকারি চিনিকলগুলোতে আখ বিক্রি করতে পারে না। আখ কেনায় সরকারের বাজেট বছরে ৩০০ কোটি টাকা। নানা কারসাজির মাধ্যমে এর সিংহভাগ অর্থ হাতিয়ে নেয় দালাল-ফড়িয়া ও দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তারা।
ফলে চিনিকল থেকে কৃষক আখের ন্যায্যমূল্য পায় না। মিলে আখ বিক্রি করে দিনের পর দিন দাম পাওয়ার জন্য ঘুরতে হয়। ফলে আখচাষে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। এর ফলে ইতোমধ্যে গত এক যুগে দেশে আখ চাষের জমির পরিমাণ কমে গেছে প্রায় ১০ শতাংশ এবং উৎপাদন কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
এখন দেশে মাত্র ২ লাখ ১৭ হাজার একর জমিতে আখ চাষ হয়।
অথচ কৃষিবিদরা মনে করেন, সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে এবং উন্নত জাতের আখ চাষ করা গেলে বর্তমান জমিতেই প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ আখ ও তা থেকে দ্বিগুণ পরিমাণ চিনি উৎপাদন করা যেতো। গত ৭ মৌসুমের আখ
চাষের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শুধু উত্তরবঙ্গের ৯টি চিনিকলের প্রতিটি চিনিকলের আওতায় প্রতিবছর গড়ে আড়াই হাজার একর আখের জমি কমে গেছে। শুধু রাজশাহী, জয়পুরহাট ও নাটোর অঞ্চলের তিনটি চিনিকল এলাকাতেই এবার প্রায় ২৫ হাজার একর আখের জমি কমেছে। (সমকাল, ২১ মার্চ '০৯)
চিনিশিল্পের আরেকটি সমস্যা হল, বাজারে গুড়ের দাম। চিনিকলে আখ বিক্রি করে কৃষক দাম যতটুকু পায়, তার চেয়ে হয়রানির শিকার হয় বেশি।
অন্যদিকে কৃষক যদি নিজে আখ মাড়াই করে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে পারে তাহলে তার লাভ ভালো হয়। চিনিকলগুলো কুইন্টালপ্রতি আখের মূল্য দেয় ১৫৬ টাকা। অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে গুড় উৎপাদনকারী পাওয়ার ক্র্যাশার ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা প্রতি কুইন্টাল আখের দাম দেয় ১৯০ টাকা থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত। আবার সীমান্তের ওপারে ভারতেও গুড়ের দাম বেশি। প্রতিবছর সীমান্ত দিয়ে দেদারছে হাজার হাজার টন গুড় পাচার হয়ে যায়।
তাই কৃষকেরা উৎপাদিত আখ চিনিকলে বিক্রির পরিবর্তে গুড় তৈরিতে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ে। কিন্তু সরকার এই চোরাচালান রোধে ততটা উৎসাহি নয়, বরং নির্যাতনটা নেমে আসে গুড় তৈরি করতে যাওয়া চাষীদের উপর। একদিকে সীমান্ত দিয়ে গুড় পাচার হয়, আরেকদিকে আসে চিনি।
এ লেখা শুরু হয়েছিল চিনিশিল্পের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমাদের শঙ্কা তুলে ধরে। সে শঙ্কার কারণগুলোও সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করা হয়েছে।
আমাদের
চোখের সামনেই, আমাদের নিরবতা, অসচেতনতা এবং অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে পাটশিল্পের সর্বনাশ ঘটানো হয়েছে। আজ পৃথিবীর দিকে দিকে
পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী মুক্তবাজারী তত্ত্বের উদগাতারা নিজেরাই গলায় সংকটের ফাঁস আটকে হাসফাঁস করছে। তাদের পরামর্শে আমরা আমাদের
অনেক সর্বনাশ করেছি। এবার চিনিশিল্পের জন্যও কি সে পরিণতি নির্ধারণ করতে চলেছি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।