কোটি টাকার প্রশ্ন হচ্ছে কেমন ছিল হেরেমে বসবাসকারী নারীদের জীবন-প্রণালি। অনেকের অনেক রকমের মতামত থাকলেও বাস্তবতা বলছে, হেরেমে বসবাসকারী মহিলাদের সাধারণত মানতে হতো কঠিন পর্দা। শুধু তাই নয়, তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা বলে কিছুই ছিল না। মোগল হেরেমের মহিলারা নিজেদের ইচ্ছামতো বাইরে বের হতে পারতেন না। নেহায়েতই কোনো প্রয়োজনে বাইরে গেলে মুখমণ্ডল আপাদমস্তক ঢেকে যেতে হতো।
তবে উল্টো চিত্র ছিল হেরেমের অভ্যন্তরে। এখানে মহিলারা নিজেদের মতো করে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করত। সবচেয়ে বড় কথা হেরেমের ভেতর আভিজাত্যের কোনো কমতি থাকত না। এখানকার মহিলারা উৎসব ও আনন্দে সময় কাটাতেন। বিশাল বিশাল এপার্টমেন্টে তারা বসবাস করতেন।
হেরেমে ছিল বিশাল বাগান, ঝরনা, পুকুর ও পানির ফোয়ারা। মহিলারা চোখধাঁধানো পোশাক পরতেন। মাথা থেকে পা পর্যন্ত অলঙ্কার পরতেন। হাতির পিঠে হাওদা অথবা পালকিতে চড়ে বাইরে যেতেন। রাজকীয় বিভাগগুলো সম্রাট ও হেরেমের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতেন।
মাতবাথ নামে পরিচিত পাকশালা থেকে তাদের খাবার পরিবেশন করা হতো। গ্রীষ্মকালে প্রাসাদে বরফ শীতল পানি পেঁৗছে দেওয়া হতো। মেওয়াখানা থেকে ফলমূল সরবরাহ করা হতো। রাজকীয় কারখানা থেকে মহিলাদের জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক, অলঙ্কার, সাধারণ ব্যবহার্য-সামগ্রী ও বিনোদনমূলক দ্রবাদি প্রদান করা হতো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।