আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণজোয়ার ও কতিপয় বিবেকঅন্ধ মানুষ

রাজাকার জামায়াতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেই, জনগন ক্ষেপে উট্হলেই ইসলাম ধ্বংশ হয়ে যায়!! আহ অতুলনিয় ইসলাম রক্ষাকারি!!!তাহাদের ইসলাম রক্ষার নমুনাঃ '৭১-এ নির্যাতীত নিপীরিত, লাঞ্চিত, শোষিত , বঞ্চিত , অত্যাচারিত বাঙালি যখন স্বাধীকার আন্দলনের ডাক দিয়েছে তখন জামায়াতে ইসলামি ও তৎকালিন কত গুলো ইসলামী রাজনৈতিক দল তন্মদ্ধ্যে জামায়াতে ইসলামি প্রধান যারা এদেশের মাটির সুধা গন্ধ শুখে বড় হয়েছে, এদেশের আলো বাতাস গায়ে মেখে বলিষ্ঠ হয়েছে তারা ইসলাম ইসলাম রক্ষার জন্য উঠে পরে লেগেছিল। তাই ত এদেশেরই নিরিহ মানুষ হত্যা করেছে ইসলাম প্রচারের সুবিধার জন্য, ধর্ষন করেছে এদেশের মা-বোনদের, পুরিয়ে দিয়েছে ঘরবাড়ি!!! শুধই ইসলাম প্রচারের জন্য!!! এটাকেই কি বলে ইসলাম রক্ষা!!! এটা ত স্বধেশের সাথে বেঈমানি, নিজ দেশের মানুষের সাথে মীরজাফরি। ইসলাম কি এসব সমর্থন করে?? ইসলাম যদি এসব সমর্থন করে তাহলে আমিও জামায়াত করব। খুব ভাল করেই করব!!! ইসলাম কি বলে দেশ সম্পর্কে? দেশসম্পর্কে? ইসলাম বলে দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। তাহলে '৭১-এ বাঙ্গালির মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামি যা করেছে তা কি দেশপ্রেমের আউতায় পরে?? মূটেই না।

তারা যার ধর্মের অনুসারি হয্রত মুহাম্মদ(সঃ), তিনি কি বলেন দেশ প্রেম সম্পর্কে, তাহার জীবনআদর্র্শে কেমন দেশপ্রেম প্রতিফলিত হয়?? তিনি নিজ মাতৃভূমি মক্কা নগরিকে অত্যন্ত ভালবাসতেন, তাই স্বজাতি কর্তৃক নির্যাতিত, নীপীরিত হয়ে মক্কা নগরী চেরে যাওয়ার সময় তিনি আফসোস করে বলেছিলেন" হে আমার স্বদেশ আমি তোমাকে চেড়ে যেতাম না"। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ব হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারা গৌরবের বিষয় , তিনি আমাদেরলে সে শিক্ষাই দিয়েছেন। তাহলে জামায়েতে ইসলামি স্বদেশের সাথে স্বদেশের মানুষের সাথে যা করেছে তা কন ধর্ম থেকে শিক্সা নিয়েছে। নিশয় ইসলাম কেন কোন ধর্মই এটা মেনে নেই না। দেশকে ভালবেসে, দেশের সীমানা রক্ষা করার জন্য যারা সীমান্ত পাহারায় থাকে তাদের সম্পর্কে মহানবী (সঃ) বলেছেন" একদিন ও একরাত সীমান্ত পাহারা দেওয়া ধারাবাহিকভাবে একমাসে সীয়াম সাধনা ও সারারাতের নফল নামাজে কাটানো অপেক্ষা উত্তম"।

মহানবী (সঃ) আমাদেশ কি শিক্ষা দিয়েছেন আর আমাদের জামায়েতে ইসলামি আমাদের কি ইসলাম শিক্ষা দেই। তারা নাকি ইসলাম পালন করে!!! ইসলাম রক্ষা করে!!! '৭১-এ রক্ষা করতে গিয়ে সৃষ্টির সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ করেছে। কিসের সীমান্ত পাহারা, হত্যা করেছে এদেশের ঘুমন্ত মানুষকে। ধরে নিয়ে পশুর মত গুলি করে হত্যা করেছে। আজ যখন তাদের বিচারের দাবিতে সারা দেশের মানুষ সোচ্চার হয়েছে, জেগে উঠেছে সারা বাঙলা তারা আবার বলছে ইসলাম ধ্বংশের কথা।

সরকার নাকি ইসলাম ধ্বংশের পায়্তারা করছে। আরে এই মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠের দেশে সরকার কিভাবে ইসলাম ধ্বংশ করবে। শাহাবাগের আন্দলনের সাথে সরকারের কোন আতাত নেই। এটা শুধু জন গনের আন্দলন। সময়ের দাবী এটা।

এটাতে একাত্বতা প্রকাশ করা সকল নাগরিকে দায়িত্ব। এবং মানুষ সেটায় করছে। তায় ত সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ এতে যোগ দিয়েছে যেখানে আস্তিকবাদি-নাসিকবাদি সবাই আছে। সেখানে ত কোন ইসলাম নিষিদ্ধের আন্দলন চল্ছেনা, চলছে রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আন্দলন। আর যদি রাজাকারের বিচার চাইলে ইসলাম ধ্বংশ হয়ে যায় তাহলে আমি মনে করি জামায়েতে ইসলামি আর তাদের সহযোগিদের নতুন করে কালেমা পড়ে ইসলাম গ্রহন করে তালিম নেওয়া।

যাদের ইসলামের প্রতি এমন জ্ঞান যারা ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে খায় তবে কেন তাদেত ডাকে সাড়া দেওয়া? এদেশের সাধারন মানুষকে সবসময় ইসলামের কথা বলে তারা শুদি ধুকা দিয়েছে, প্রতারনা করেছে। এটা সকলের মনে হয় বুঝা উচিত। এই সাধারণ জ্ঞানটা রাখা উচিত। তাই আসুন জামায়াতের মিথ্যা ভেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে আসি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।