অদিতি কিছুক্ষন পর পর ঘড়ি দেখছে। ৩ টা ১৭ বাজে। সাড়ে তিনটায় ওকে চলে যেতে হবে। যায়ান এখনো আসে নি। আজকে ও লেইট।
অদিতি মনে মনে ঠিক করছে যায়ান আসলে তাকে কী কী ঝাড়ি দিবে।
আজকে বিকালে ওর গায়ে হলুদ আর কাল রাতে বিয়ে। যায়ানকে বলার পর ও ওর কোন ভাবান্তর নেই। ছেলেটা আসলেই আঁতেল।
ওই যে আসতেসে হাঁদারামটা কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে।
চোখে পুরু গ্লাস এর চশমা। দেখলে মনে হয় যেন এখনো স্কুলে পড়ে। অথচ এই ছেলে নাকি চাকরিও করে!!!
- কয়টা বাজে?
- ইয়ে, অফিস থেকে বের হতে একটু দেরী হয়ে গেছে।
- থাকো তোমার চাকরী নিয়ে আমি গেলাম।
- আচ্ছা যাও।
সাবধানে যেও।
- তুমি কী মানুষ?
- হ্যাঁ।
- উফ, অসহ্য। কালকে রাতে আমার বিয়েতে তোমার দাওয়াত রইল। চলে এসো।
- আচ্ছা।
—————————————
ভোর ৪ টা ৫১।
অদিতির ফোন বেজেই যাচ্ছে। ঘুমিয়েছে এক ঘন্টাও হয় নি। প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে যায়ানের কল।
একটু অবাক হয় অদিতি।
- হ্যালো।
- পাগলী, তোমার আঁতেলটা নতুন ড্রাইভিং শিখেছে। ওর গাড়িতে চড়তে ভয় পাবা না তো?
এক ঘন্টা পরঃ
অদিতি মনে মনে ভাবে, "নাহ, ছেলেটা আঁতেল হলেও ভালো ড্রাইভিং করতে পারে। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।