উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি
বুনোফুলের দেহের কোণে উড়ে যাওয়া সৌরভে ঘাটি গেড়ে চুপ করে বসে
থাকা মৌদলে বার্তা পাঠাই, তরুবক্ষের কোটর থেকে বের হয়ে আসা ছায়া
আর তেরনদীর সঙ্গম দেখে যারা পথভুলে ঢুকে গেছে -
অগ্নিকুণ্ডের সর্পিল গুহার ভিতর, তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে পাঠিয়েছি তীর
চুম্বনে ভরা পায়রাদের মেঘলা প্রহর।
শহরের বর্ষণ শেষের আকাশে যেসব বিজ্ঞাপণ ওড়ে, যেসব কুকুর-বেড়াল,
কবি-শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, ঝাড়ুদার, গলাবাজ; মাথানিচু করে ঘুমিয়ে পড়েছে
শীর্ণ দেয়ালের মধ্যে তাদের নিকটেও দূত পাঠাতে চাই।
অগণিত দেশি কাঠবেড়াল আর হুতুম পেঁচাদের বর্ষা উৎসবে নিমন্ত্রণ পেয়ে
যাচ্ছি উন্মূল করিডোরগুলো সঙ্গে নিয়ে, অবশিষ্ট চেয়ারের হাতলে কামনার
সবগুলো ভালুক নখের দাগসমূহ রেখে গেলাম।
কয়েকদিন যে শহরে থাকবো না, তা জানান দেবার কৌশল হিসেবে
সমস্ত দৈনিকগুলোতে পাঠিয়েছি শহুরী পাখিদের বিষ্ঠা । প্যাকেটের গায়ে
লিখে দিয়েছি ‘সাবধান’। রোদভর্তি ডুমুর গাছের তলে পাঠিয়োনা কোন
মিথ্যাবাদী প্রতিবেদক, সুশীল জাহাজ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।