উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি
বৃদ্ধ বৃক্ষের গুড়ির কাছে এসে থেমে গেছে আয়নার প্রতিবিম্ব।
একটি কমলা লেবু হাতে নিয়ে যিনি অগণিত মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাদছেন, তাঁর বাম গালের কালো তিলের সুড়ঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা ঢুকে পড়ছে। দূরে পুরনো পাহাড়ের ছায়াস্তূপ একে একে খুলে ফেলছে জরির ওড়না, ঘুঙুর এবং মুখের রঙ।
বাদামি বিষাদ আর শ্যাওলার ত্বকে কোন রাখ-ঢাক না রেখেই যার পায়ে লুটিয়ে পড়ে বিকেলের ক্ষয়িষ্ণু
আলো, সেই প্রণয়শীল কলমীশাকের নরম দেহে-ই সন্ধেবেলা প্রকাশ্যে বটি চুম্বনের দ্বিখণ্ডিত অন্ধলেনে কামতীর্থ - মোমে আঁচড় কেটে চলেছে প্রত্ন রাখালের দীঘল ছায়া।
পানির তলে কাদায় আটকা পড়া তাদের মুখাংশে -কোষে কোষে জ্বলে ওঠে তীর, আর বালুঝড়ে
বাঁকানো পথের মোড়গুলো উড়ে চলে গন্তব্যহীন সবুজ ডাকবাক্সের খোঁজে।
তিন পাহাড়ের চূড়া থেকে যে নীল পাথরের দেহগুলা রোদে চিকচিক করে যেখানে তার থেকে আরো
কিছুটা দূরে, যার দু'পাশে ভাঙা মন্দিরের ছড়ানো ছিটানো ইট আর হলদেটে
আঙুলের ছাপ যেন ধসে গেছে।
এরকম দৃশ্যের পাশ দিয়ে একটু এগুলেই কলাপাতার রঙে দিগন্ত যেখানে নুয়ে পড়েছে, তার গা ঘেষে দাঁড়ালে দেখা যায় অস্পষ্ট উইঢিবির মাথা, তার থেকে হাঁটা পথে... কাঠঠোকরাদের গ্রাম..
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।