উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি
কাঠঠোকরাদের গ্রামে বেড়াতে গিয়ে আর ফিরতে পারেনি, এখন হলুদ লতার
আঁশের মধ্যে প্রতিদিন সবুজ পোকাদের ভাষা শেখায়, দুষ্ট বনবেড়ালেরা
আড়চোখে দেখে। ভাঁড়েরা কাছে ঘেষতে চায়।
ঝিঙেফুলের পাতায় যেসব রাতপ্রহরী পাখিদের নৈর্ব্যক্তিকতা ভোরের আলোয়
ফরসা পানির রঙে ভেসে ওঠে, তার খুব কাছে আমাদের চিকিৎসালয়, স্কুলঘর
ও বাণীকেন্দ্র। এর অদূরে শিশির নদ, স্নানে গিয়ে ফেরে না কেউ-ই।
ভোরের আলো ফোটার আগে এই গ্রামের
বালক-বালিকা, যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা - সকলেই ঘর ছেড়ে বের হয়, খোলা
মাঠের দিকে নিরব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, সূর্য উঠার সাথে সাথে, সবাই সুনিবিড় চোখাচোখি করে, মিটিমিটি আলো আর তাদের হাসিতে ভরে
ওঠে সমস্ত অজ্ঞ্চল।
অগ্রন্থিত লাজুক সরিষা পাতা থেকে সরে এসে মৌন কাঁঠালগাছের পাশে সুতীব্র
রূপের বুনোফুলে মিশে গেছে যত কীট-পতঙ্গের সুর - এইসব
গহনা সৌন্দর্যের বিপরীতে সিলগালা করে রাতের ট্রেনে শহরে পাঠায় রোজ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।