ফেসবুক আইডি:নাই
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বাহিনীকে ব্যবহার করে দেশের নাগরিকদের নির্যাতনকারীদের দৃষ্টাস্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ওই সময়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতিতরা। নির্যাতনের বিপক্ষে ‘ট্রাইবুনাল এগেইনস্ট টর্চার’ শীর্ষক প্রতীকী আদালতে শনিবার বক্তারা এ দাবি জানান। ট্রাইবুনালের শুনানিতে বক্তরা বলেন, যদি এদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে বিচারের জন্য কাঠগড়ায় তোলা যায় তাহলে নির্যতনকারী সেনা কর্মকর্তা ও সেনাপ্রধানের বিচার করা যাবে না কেন?
শনিবার অধিকার আয়োজিত ওই ট্রাইবুনালে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথবাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিম রেজা নিউটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দীন ইসলাম এঞ্জেল, অধিকারের পরিচালক এএসএম নাসিরুদ্দিন এলান, যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার ফারুক মিন্টু তাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। ট্রাইবুনালে জুরি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) মইনুল হোসেন চৌধুরী, কলামিস্ট ফরহাদ মযহার ও ঢাবির আইনের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
প্রধান জুরি মইনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, তথাকথিত ওয়ান ইলেভেনের পর যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল তা সংবিধান বিরোধী সরকার ছিল।
যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো ভিত্তি নেই। যৌথ বাহিনী গঠনের ধারণাও ছিল মনগড়া। তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীতে শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে গেলে এ ধরনের নির্যাতনের মানসিকতা তৈরি হয়। যার সর্বশেষ প্রমাণ বিডিআর হেডকোয়ার্টারে দেখা গেছে বলেও মন্তব্য করেন মইনুল হোসেন চৌধুরী।
নির্যাতনকারীদের বিচারের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের ট্রাইবুনালের উদ্দেশ্য জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, রাষ্ট্র যখন ক্ষয়প্রাপ্ত হয় তখন এ ট্রাইবুনালের প্রয়োজন হয়।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে নির্যাতনকারী ব্যক্তি যেমন দোষী, তেমনি পুরো ব্যবস্থাটাও দোষী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।