সময়কে কাধে নিয়ে চলো বন্ধু
কুমিল্লার মুরাদনগরের এই নিউজটি পত্রিকার একটি নিউজ কিন্তু ব্লগের নয়। কিন্তু পাঠকদের জ্ঞাতার্থে নিউজটি দেয়া। মুরাদনগর টনকী উনিয়ন এর চৈনপুর গ্রামের রিকশাচালক হতদরিদ্র বাবুল মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার। গত ফেব্রুয়ারীতে একই গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এর প্রেক্ষিতে থানায় মামলা করে বাবুলের স্ত্রী শিরিনা। কিন্তু এই মামলাই তার এবং তার গ্রামের মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনে।
সন্ত্রাসীদের হামলায় সেদিন রাতে কোন পুরুষ গ্রামে ঢুকেনি ভয়ে। আর মহিলারা সন্ত্রাসীদের বর্বরতার সামনে চিৎকার করে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছে। গ্রামের শোষিত শ্রেনী বলে চিহ্নিত শিরিনা আক্তার ও তার প্রতিবেশীদের উপর সেদিন বর্বর হামলা চালানো হয়। তাদের ঘরের আসবাবপত্র নষ্ট করা হয়। ঘরের টিনগুলো এবরো থেবরো করে কেটে ফেলা হয়।
হামলায় বৃদ্ধা মহিলারাও বাদ পড়েনি। কিন্তু এতো কিছুর পরও থানা মামলা নিতে গড়িমসি করে। নিউজ হয়নি পত্রিকায় ফলাও করে। কারন কলম সৈনিকরা ক্ষমতাসীনদের পকেটে ঢুকে গেছে। যারা হামলায় নেপথ্যে ছিল তারা গত নির্বাচনে বর্তমান সরকারের হয়ে কাজ করেছে তাই তাদরে জন্য এই বাড়তি সুবিধা।
ডাক্তার পর্যন্ত সার্টিফিকেট দিতে টালবাহানা করে। কিন্তু এতো কিছুর পরও যা হয়েছে উপজেলার কয়েকজন সাংবাদিকের চেষ্টায় তা হয়েছে। তাদের ধন্যবাদ। ঘটনার সময় পুলিশের উপস্থিতি না থাকলেও উপস্থিত দারোগা নিজেই অবাক হয়ে যান ঘটনার বর্বরতা দেখে। কিন্তু থানায় গিয়ে পরবর্তীতে ওসির ভূমিকা দেখে মনে হয়েছে তিনিও কারও পক্ষ নিচ্ছেন।
এবং তার বক্তব্য ছিল দু'পক্ষই অপরাধী। সেটা মানলাম। কিন্তু বাদীর প্রতিবেশী মহিলা ও শিশুদের সামনে তাদের বসতঘরগুলো যারা এভাবে তছনছ করে দিলো তারা কি একটু বেশি অপরাধী না! দু'দল অপরাধী বলে কি তাদের অপরাধটুকুকে লঘু করার প্রচেষ্টা হয়েছে।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার টনকী ইউনিয়নের চৈনপুর গ্রামে একটি সংঘবদ্ব সন্ত্রাসীচক্র বুধবার সন্ধায় প্রকাশ্য দিবালোকে নারী নির্যাতন মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের উপর হামলা চালিয়ে মহিলাসহ ১০জনকে আহত করেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা ৮টি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে এবং প্রায় ২ লাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী জানায়, বাবুল মিয়ার স্ত্রী শিরিনা আক্তারের দায়ের করা একটি নারী নির্যাতন মামলায় একই গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে খোরশেদ আলম (৪০), মৃত আব্বাস আলীর ছেলে নবী নোয়াজ (৫৫) ও আবদুল মতিনের ছেলে মনির হোসেন (২২) জেল হাজতে রয়েছেন। উক্ত মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি-ধমকি দিলে মামলার বাদী শিরিনা আক্তার থানায় একটি জিডি করেন। এতেও হুমকির উৎপাত বন্ধ না হওয়ায় কুমিল্লার আদালতে একটি পিটিশন মামলা করলে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট বিষয়টি তদন্ত করা জন্য উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। গত বুধবার সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান বিয়ষটি সরজমিন তদন্তকালে তার উপস্থিতিতেই বাদী ও স্বাীদের হুমকি-ধমকি দেয়।
সন্ধ্যায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এলাকা ত্যাগ করার পরই নারী নির্যাতন মামলায় জেলে আটক থাকা খোরশেদ আলম, নবী নোয়াজ ও মনির হোসেনের আত্বীয়- স্বজনরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। তখন মালু মিয়ার ছেলে কাইয়ুম (৩০), মোখলেছ মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (২৮), খোরশেদ আলমের ছেলে নূরে আলম (২২) ও নবী নোয়াজের ছেলে সাইদুলের (২২) নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পূর্বপরিকল্পিত ভাবে অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদী ও স্বাক্ষীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মামলার বাদী শিরিনা আক্তার (২৮) ও স্বাক্ষী নাবালক (৪৫) জোহরা খাতুন (৫০) আব্দুল মোন্নাফ (৫৫) সোহেল মিয়া (১৮) আব্দুল করিম (৫৮) ও মাহাবুবসহ (১৯) ১০ জন আহত হলে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা আব্দুল করিম, আবুল কাশেম, দানু মিয়া, মোন্নাফ মিয়া, মোহর আলী, কবির মিয়া ও বাবুল মিয়াদের ঘর-দরজা, জানালা বেড়া ও আসবাপত্রের ভাংচুর চালিয়ে ব্যাপক তিসাধন করে। এ ছাড়া ও নগদ অর্ধল টাকা, ৫ ভড়ি স্বর্ণালংকার ও ৪টি গবাদী পশুসহ প্রায় ২ ল টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
সন্ত্রাসীরা এলাকা ত্যাগ করার পূর্বে ২টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানার ওসি আমিরুল আলম ও ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম ভূইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম ভূইয়া জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এমন বর্বরতা আমি আর দেখিনি। ন্যাক্কার জনক ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তিনি উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানান।
মুরাদনগর থানার ওসি আমিরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুরনো মামলা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে। তবে এখনো কেউ থানাতে অভিযোগ করেনি।
ছবিগুলো ঝাপসা কারণ এমএস ওয়ার্ড ফাইল থেকে ফটোশপে পেষ্ট করে সেভ এস দিয়ে পোষ্ট দিয়েছি। সরাসরি জেপিজি ফরমেটের ছবি পাইনি তাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।