বাংলাদেশের পিএসটিএন টেলিফোন কোম্পানিগুলো এই ধারণা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল যে এই ফোন কোম্পানীগুলো ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষকে ল্যান্ডফোনের সুবিধা দেবে, বিটিসিএল (তৎকালীন বিটিটিবি) যা দিতে ব্যার্থ হয়েছিল। সেই সময় ব্যাপারটা এমন ছিল যে আমি ইচ্ছে করলেই এই পিএসটিএন সংযোগ নিতে পারব এবং বিটিটিবিতে লোকাল কল করতে পারব। শুরুও হয়েছিল সেভাবেই। আমরা তখন ১.৫০ টাকায় ৫ মিনিট বিটিটিবিতে কথা বলতে পারতাম (বিটিটিবি-বিটিটিবি লোকাল কলরেটও ছিল ১.৫০ টাকায়/৫ মিনিট)।
আজ অনেককিছু পরিবর্তন হয়েছে।
বিটিটিবি বিটিসিএল হয়েছে, ৫ মিনিটের পালস্ ১ মিনিট হয়েছে, ১০-১৫ পয়সা/মিনিট বিল হয়েছে। এখন বিটিটিবি-বিটিটিবি লোকাল কলরেট মিনিটে ১০ পয়সা হলেও এই পিএসটিএন টেলিফোন থেকে কল করতে এখন মিনিটে ৭০-৮০ পয়সা লাগে। পিএসটিএন টেলিফোন থেকে মোবাইলে কল করতে যা খরচ, বিটিসিএল এ (লোকাল বা এনডব্লিউডি) কল করতেও একই খরচ। তাহলে যে ধারনা নিয়ে এই পিএসটিএন টেলিফোন কোম্পানিগুলো যাত্রা শুরু করেছিল তা কি আজ মুখ থুবড়ে পড়েনি।
লোকাল কলের ধারণা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই পিএসটিএন টেলিফোন কোম্পানিগুলোর মুখ থুবড়ে পড়েছে কারণ ইন্টারকানেকশন চার্জ (আমি মনে করি)।
পিএসটিএন থেকে বিটিসিএল এ কল গেলে যে ইন্টারকানেকশন চার্জ দিতে হয় তাতে ১.৫০ টাকা প্রতি মিনিটে লোকাল কল (পিএসটিএন থেকে) সম্ভব নয়।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণ প্রয়োজন। আর এ জন্য বিআরটিএ কে এগিয়ে আসতে হবে। এমন একটা কম্পিটিটিভ মার্কেট সৃষ্টি করতে হবে যেন এই পিএসটিএন টেলিফোন কোম্পানিগুলো রোল প্লে করতে পারে। দেশের টাকা যদি দেশে থাকে তবে ক্ষতি কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।