বাঁধার দেয়াল ভেঙ্গে মোরা এগোবোই প্রজন্ম চত্বরের বন্ধুরা, সারা দেশে শাহবাগের গন আন্দোলনের সহযোদ্ধারা তোমরা জেনে রাখ, বিএনপি আমাদের গণআন্দোলনের বিরুদ্ধে গিয়ে জামায়াতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দৃষ্টিকটু ভাবে সেটা প্রকাশ্যেই। তারা আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে বেড়াচ্ছে। যে দুর্গন্ধ যুক্ত রাজনীতির গণ্ডির বাইরে এসে আমরা রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে রাজপথে নেমেছি বিএনপি তাতে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলছে।
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল বাতিলের জন্য প্রথম থেকেই ষড়যন্ত্র করে আসছে ৩ টি জাতীয় দৈনিক।
‘আমার দেশ’, ‘নয়া দিগন্ত’ ও ‘সংগ্রামের’ অবস্থান সরাসরি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে। এতদিনের বিরোধিতা করাটা বিএনপির চোখে পড়েনি। তাদের চোখে পড়েছে পত্রিকাটিতে অগ্নি সংযোগের ঘটনাটি। আমরা এই ৩ টি পত্রকা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটাও বিএনপির ভালো লাগে নি। তারা এটাকে ফ্যাসিবাদের সাথে তুলনা করেছেন।
যাদের বিরুদ্ধে আজ আমরা রাজপথে তাদের পত্রিকা বয়কটে আমি তো কোন দোষ দেখি না।
বিএনপির চোখে কি ছানি পড়েছে?
১৯৭১ এ ‘আমার দেশ’ ও ‘নয়া দিগন্তের’ জন্ম হয়নি। যদি হত তাহলে তারাও ‘দৈনিক সংগ্রামের’ মত সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করত। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘নয়া দিগন্ত’ ও ‘সংগ্রাম’ জামায়াতি রাজাকারদের পত্রিকা।
‘আমার দেশ’ চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর পাপের টাকায় চলে। এ তিনটি পত্রিকা রাজাকারদের বাঁচাতে প্রাণপণে হলুদ সাংবাদিকতা করে যাচ্ছে। এদের বয়কট ছাড়া আমাদের কোন পথ খোলা ছিল না। যাদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন তাদের মুখপাত্রকে আমরা কেন বয়কট করব না? অথচ বিএনপি এটাকে বলছে ফ্যাসিবাদি কর্মকাণ্ড। হায় বিএনপি! অবশেষে জামায়াতের গহ্বরে হারিয়ে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার পরিচয় দিল।
বিএনপিকে বলা প্রয়োজন শাহবাগকে রাজনীতির নোংরা গণ্ডিতে আনতে চেষ্টা করবেন না। ৭১এ বিএনপির জন্ম হয় নি, হলে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না বিপক্ষে অবস্থান নিত তা তাদের বর্তমান কার্যকলাপ থেকে তরুন প্রজন্ম বুঝে নিবে।
শাহবাগ আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রকারীর ভিত ধ্বংস করে দিক এটাই সবার প্রত্যাশা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।