sabujs@yahoo.com
মেঘবালিকার শুভ্র দেহে শ্রাবন ঘুমের ডাক
সেই ডাকেতে ঘর ছাড়ে এক মেঘমল্লার ঝাকঁ
আমি তখন বর্শা হাতে তরুন রাজার বেশে
পঙ্খীরাজের ডানায় চেপে কদম - কেয়ার দেশে
সাতসাগর আর তেরো নদী পেরিয়ে আসি যেই
ফুলঝুরিদের আসর বসে হারিয়ে কথার খেই
পাপড়ি তাদের নুইয়ে বলে - ' আমায় নেবে কী ? '
মেঘবালিকার খোঁপায় যাবো তাইতো বসেছি ,
আজলাঁ ভরে ফুরঝুরিদের কতকখানি তুলে -
কতক খানি যাই ফেলে যাই ইচ্ছে মনের ভুলে ।
হঠাৎ এসে উত্তুরে মেঘ লুটিয়ে ঘোড়ার পায়
হিমঠান্ডা জড়িয়ে বলে - 'নাও তুলে আমায় '
পথ দেখাবো তরুন রাজা - ডাইনে বাসক বন
সেথায় টেনো ঘোড়ার লাগাম , থেমো কিছুক্ষন ,
আধেক রাতে জোৎস্না কুড়োয় মেঘরাজ্যের মালি
একমুঠো তার কুড়িয়ে দিও ফুলঝুরিদের ডালি ,
এইবলে না উত্তুরে মেঘ ঈশান কোনে চায়
একপশলা ভিজিয়ে দিয়ে দখিন পানে ধায়
মেঘের আঁচল সরিয়ে তখন বৃষ্টিধোয়া চাঁদ
জোৎস্না মেয়ে উঠোন পেরোয় লুকিয়ে আলোর ফাঁদ
একমুঠো তার জোৎস্না দিয়ে মেঘমালিনীর পর
বিজন পাহাড় পেরিয়ে দেখি মেঘকন্যার ঘর ।
উঠোন তাহার জোৎস্না ধোওয়া - আকাশ রঙের নীল
ভূইচাঁমেলীর জানালা খুলে বৃষ্টিধোয়া চিল
সেই জানালায় অবাক চোখে কাজল রঙের ছায়া
হরিৎ নদী একটু থামে লুকিয়ে জলের মায়া ।
বাউল বাতাস দেয় উড়িয়ে বদ্ধ অভিমান
দীঘল চুলে ফুলঝুরি গায় মেঘমল্লার গান ,
আমায় দেখে উঠোন পেরোয় জোৎস্না মেয়ের দল
মেঘবালিকার চোখে তখন শ্রাবন জলের ঢল । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।